সিডিসি পরিচালক বুধবার এ তথ্য জানান, খবর সিনহুয়া।
সিনেটের এক শুনানিতে রেডফিল্ড বলেন, তিনি মনে করেন যে প্রাথমিকভাবে চলতি বছরের নভেম্বর ও ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে টিকা পাওয়া যাবে। তবে সরবরাহ হবে অত্যন্ত সীমিত এবং অগ্রাধিকার ভিত্তিতে তা দিতে হবে।
‘যদি আপনারা আমাকে প্রশ্ন করেন যে এটি কখন আমেরিকান জনগণের জন্য সাধারণভাবে পাওয়া যাবে, যাতে আমাদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যেতে আমরা টিকার সুবিধা নেয়া শুরু করতে পারি, তাহলে আমি মনে করি আমরা সম্ভবত ২০২১ সালের দ্বিতীয় ত্রৈমাসের শেষ দিকে, তৃতীয় ত্রৈমাসের দিকে তাকিয়ে আছি।’
রেডফিল্ডের মতে, কোভিড-১৯ রোগের জন্য একটি টিকা ছাড়া হলেও পর্যাপ্ত মানুষের জন্য রোগ প্রতিরোধী ক্ষমতা সৃষ্টি করতে এটি ছয় থেকে নয় মাস সময় নেবে।
তাই বর্তমানে মানুষজনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হলো প্রশমন ব্যবস্থা গ্রহণ করা। যেমন শারীরিক দূরত্ব, মাস্ক ব্যবহার ও ভিড় এড়িয়ে চলা। মাস্ক পরা হয়তো কোভিড-১৯-এর বিরুদ্ধে টিকার চেয়ে ভালো সুরক্ষা দেবে, বলেন রেডফিল্ড।
‘আমি এমনকি এত দূর বলতে পারি যে এই মাস্ক আমাকে কোভিড থেকে রক্ষা করতে আমার টিকা নেয়ার চেয়ে বেশি নিশ্চয়তাপূর্ণ। কারণ টিকার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা হয়তো ৭০ শতাংশ হতে পারে। যদি আমি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা না পাই তাহলে টিকা আমাকে রক্ষা করবে না। রক্ষা করবে এই মাস্ক,’ বলেন তিনি।
তিনি জানান, মহামারি কার্যকরভাবে নিয়ন্ত্রণের জন্য যে পর্যায়ে মাস্ক ব্যবহার করা দরকার তা এখনও আমেরিকান জনগণের মাঝে দেখা যায়নি।
জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, বুধবার বিকাল পর্যন্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ৬৬ লাখের অধিক মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং মারা গেছেন ১ লাখ ৯৬ হাজার ৪০০-এর বেশি মানুষ।