গত ১ ফেব্রুয়ারি সামরিক অভ্যুত্থানের পর অন্তত নয়জন সাংবাদিককে গ্রেপ্তার বা আটক করেছে মিয়ানমার সেনাবাহিনী।
ফর্টিফাই রাইটসের আঞ্চলিক পরিচালক ইসমাইল ওল্ফ বলেন, ‘এ ধরনের সঙ্কটের সময়ে, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা বিশেষভাবে প্রয়োজনীয়। জান্তা স্পষ্টতই সত্যকে হুমকী মনে করে। স্বাধীন গণমাধ্যমকে লক্ষ্য করে তাদের (মিয়ানমার সেনাবাহিনীর) দমনমূলক পদক্ষেপগুলো অগ্রহণযোগ্য।’
মিয়ানমারে সু চির বিরুদ্ধে নতুন অভিযোগ দায়ের
গত ১৪ ফেব্রুয়ারি দেশটির সেনাবাহিনী রাতারাতি মিয়ানমারের পাঁচ সাংবাদিককে আটক করে যারা কাচিন রাজ্যের একটি শহরে বিক্ষোভ চলাকালীন নিরাপত্তা বাহিনীর ধরপাকড় নিয়ে সংবাদ করছিলেন।
সেনাবাহিনীর হাত থেকে মুক্তি পাওয়ার একদিন পর এক সাংবাদিক ফর্টিফাই রাইটসকে বলেন, ‘আমাদের আসামি পরিবহনের একটি গাড়িতে রাখা হয়েছিল। আমাদের রাত ৮টা ৪৫ মিনিটে আটক করা হয় এবং পরের দিন সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ছেড়ে দেয়া হয়।’
‘ধরপাকড় এবং সেখানে কতো সংখ্যক সেনা এবং পুলিশ ছিল সে সম্পর্কে তথ্য প্রকাশ করার কারণে আমাদের আটক করা হয়েছিল বলে ব্যাখ্যা দিয়েছে সেনা সদস্যরা,’ বলেন তিনি।
এদিকে মিয়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত নেত্রী অং সান সু চির বিরুদ্ধে নতুন অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে বলে মঙ্গলবার তার আইনজীবী জানিয়েছেন। এদিকে, দেশটিতে অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতার দখল নেয়া সামরিক বাহিনী বিরোধীদের বিরুদ্ধে তাদের তৎপরতা আরও বৃদ্ধি করেছে।
রাজধানী নাইপেদোর এক আদালতে বিচারকের সাথে বৈঠক শেষে আইনজীবী খিন মাউং জাও সাংবাদিকদের বলেন, গত ১ ফেব্রুয়ারির সামরিক অভ্যুত্থানের পর গ্রেপ্তার হওয়া সু চির বিরুদ্ধে ইতোমধ্যে অবৈধভাবে ওয়াকি-টকি রাখার অভিযোগ আনা হয়েছে। নতুন করে আনা অভিযোগে তার বিরুদ্ধে এমন এক আইন ভঙ্গের অভিযোগ করা হয়েছে যা করোনাভাইরাস বিধিনিষেধ লঙ্ঘনকারীদের বিচারের জন্য ব্যবহৃত হয়ে আসছে।
এ আইনে সর্বোচ্চ তিন বছরের কারাদণ্ড দেয়ার বিধান আছে।
মিয়ানমারে সেনা অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে মানবাধিকার কাউন্সিলে প্রস্তাব গৃহীত
সু চি’র আইনজীবী সাংবাদিকদের বলেন, গ্রেপ্তার হওয়ার পর থেকে সু চির সাথে দেখা হয়নি এবং আটক থাকার পর তার সাথে শুধু ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে কথা হয়েছে। দ্বিতীয় অভিযোগটি বিচারের জন্য আদালত গ্রহণ করেছে কি না তা এখনও পরিষ্কার নয়। তবে, গত সপ্তাহে সামরিক জান্তার দায়ের করা মামলায় এমনকি আদালতে আনুষ্ঠানিকভাবে অভিযুক্ত না হলেও সু চিকে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্দি থাকতে হতে পারে।
গত ১ ফেব্রুয়ারি মিয়ানমারের ক্ষমতাসীন দল ন্যাশনাল লীগ ফর ডেমোক্রেসির (এনএলডি) প্রধান অং সান সু চি, দেশটির প্রেসিডেন্ট উইন মিন্টসহ বেশ কয়েকজনকে আটক করে জরুরি অবস্থা জারি করে সেনাবাহিনী।
মিয়ানমার জান্তা সরকারের কারফিউ জারি, সমাবেশ নিষিদ্ধ
সামরিক অভ্যুত্থানের পর মিয়ানমারের বিরুদ্ধে বাইডেনের নিষেধাজ্ঞা