হাওয়াই থেকে কয়েক ডজন সামুদ্রিক প্রাণী বাচ্চা স্কুইড গবেষণার জন্য মহাকাশে রয়েছে।
বাচ্চা হাওয়াইয়ান ববটাইল স্কুইডকে হাওয়াইয়ের কেওয়ালো মেরিন ল্যাবরেটরিতে বড় করা হয়েছিল এবং এ মাসের গোড়ার দিকে আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে স্পেসএক্স পুনর্নির্মাণ মিশনে মহাকাশে প্রেরণ করা হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার বিজ্ঞানীরা আশা করছেন, মহাকাশ অভিযানের সময় নভোচারীদের দেহে কী ধরনের প্রভাব পড়ে এই পরীক্ষার মাধ্যমে জানা সম্ভব হবে।
আরও পড়ুন: তিন নভোচারী নিয়ে চীনের প্রথম মহাকাশ যাত্রা
সোমবার হোনোলুলু স্টার-অ্যাডভাইটাইজার জানিয়েছে, হাওয়াই ইউনিভার্সিটিতে ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জনকারী গবেষক জেমি ফস্টার যিনি দীর্ঘ মহাকাশ মিশনের সময় মানব স্বাস্থ্যের উন্নতি করার আশায় স্পেসফ্লাইট কীভাবে স্কুইডকে প্রভাবিত করে তা নিয়ে গবেষণা করছেন।
তিনি বলেন, ‘স্কুইডের প্রাকৃতিক ব্যাকটেরিয়াগুলোর সাথে একটি সিম্বিওটিক সম্পর্ক রয়েছে যা তাদের বায়োলুমিনেসেন্স নিয়ন্ত্রণ করতে সহায়তা করে।
হাওয়াই বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মার্গারেট ম্যাকফ্যাল-এনগাই বলেন, নভোচারীরা মহাকাশে যাওয়ার পর মানবদেহে কী ধরনের পরিবর্তন ঘটে সামুদ্রিক প্রাণী স্কুইড পাঠানোর এই মিশন থেকে সে বিষয়ে জানা যাবে।
আরও পড়ুন: স্টুডিওতে নয় মহাকাশে বানানো হবে সিনেমা
করোনা আক্রান্ত রোগীর শরীরে ৬৫ শতাংশ এন্টিবডির উপস্থিতি রয়েছে: গবেষণা
তিনি বলেন, ‘আমরা দেখতে পেয়েছি যে মানুষের জীবাণুগুলোর সাথে সিম্বিওসিসটি মাইক্রোগ্রাভিটিতে বিভ্রান্ত হয়েছে এবং জেমি দেখিয়েছে যে এটি স্কুইডে সত্য। কারণ এটি একটি সহজ সিস্টেম, কী ভুল হচ্ছে তার নীচে পৌঁছে যেতে পারে।’
ফস্টার বলেন, মহাকাশে স্কুইডের কী ঘটে তা বোঝা মহাকাশচারীদের মুখোমুখি হওয়া স্বাস্থ্য সমস্যার সমাধান করতে পারে।
জুলাই মাসে পৃথিবীতে ফিরে আসবে স্কোয়াড।