এক সময়ের রিপাবলিকানদের শক্তিশালী ঘাঁটি জর্জিয়ায় বুধবারের নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে চার বছর আগে এই রাজ্যে ডেমোক্রেটিক দলের পক্ষে ভোট পড়েছিল।
ট্রাম্পের জর্জিয়া ও উত্তর ক্যারোলাইনায় জয় লাভের ফলে কমলা হ্যারিসের বিজয়ের আশা ক্ষীণ হয়ে পড়েছে। একই সঙ্গে ট্রাম্পের ২৭০টি ইলেকটোরাল ভোট পাওয়ার পথ সুগম হয়েছে। এটি তাকে পরবর্তী প্রেসিডেন্ট হতে সাহায্য করবে।
এদিকে ট্রাম্পের এই বিজয়ের ফলে হ্যারিসের হোয়াইট হাউসে যাওয়া এখন মিশিগান, পেনসিলভানিয়া ও উইসকনসিনের "নীল প্রাচীর" এর ওপর ব্যাপকভাবে নির্ভরশীল করে তুলেছে।
ওয়াশিংটনে হাওয়ার্ড ইউনিভার্সিটিতে তার ওয়াচ পার্টিতে উপস্থিত জনতা মধ্যরাতের পর বের হতে শুরু করে।
ডেমোক্র্যাটিক ভাইস প্রেসিডেন্টের কথা বলার কোনো পরিকল্পনা নেই উল্লেখ করে হ্যারিসের একজন শীর্ষ সহযোগী তার সমাবেশ থেকে সমর্থকদের বাড়ি পাঠিয়েছেন।
হ্যারিসের ক্যাম্পেইনের কো-চেয়ার সেড্রিক রিচমন্ড বলেন, ‘আমরা রাতভর লড়াই চালিয়ে যাব যাতে নিশ্চিত করা যায় যে প্রতিটি ভোট গণনা করা হয়েছে। প্রতিটি কণ্ঠস্বরে নিজেদের কথা বলা হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘আজ রাতে ভাইস প্রেসিডেন্ট কোনো কথা বলবেন না। তবে আগামীকাল আপনার তার কথা শুনতে পাবেন। তিনি আগামীকাল আবার এখানে ফিরে আসবেন।’
এদিকে, বুধবার ভোরে ফ্লোরিডায় ওয়াচ পার্টি থেকে সমর্থকদের উদ্দেশ্যে ভাষণ দেওয়ার কথা ছিল রিপাবলিকান সাবেক প্রেসিডেন্টের।
এক সময়ের ব্যাটলগ্রাউন্ড ফ্লোরিডায়ও জয় পেয়েছেন ট্রাম্প। টেক্সাস, সাউথ ক্যারোলাইনা ও ইন্ডিয়ানার মতো রিপাবলিকান অঙ্গরাজ্যগুলোতেও আগাম জয় পেয়েছেন তিনি।
ভার্জিনিয়া রাজ্যে জয় লাভ করেছেন হ্যারিস। ডেমোক্রেটিকদের শক্তিশালী ঘাঁটি নিউ ইয়র্ক, নিউ মেক্সিকো ও ক্যালিফোর্নিয়াও জিতেছেন। এছাড়া, হ্যারিস নেব্রাস্কায় একটি ইলেকটোরাল কলেজ ভোটও জিতেছেন।
ট্রাম্প তার প্রচারে বলেছিলেন, কৃষ্ণাঙ্গ ও লাতিনো ভোটারদের মধ্যে ডেমোক্র্যাটদের ঐতিহ্যগত শক্তিকে কমিয়ে দেবে।
এপির ভোটকাস্ট অনুযায়ী, গত চার বছরে কৃষ্ণাঙ্গ ও লাতিনো ভোটাররা যেভাবে জো বাইডেনকে সমর্থন দিয়েছিলেন, তার তুলনায় এসব ভোটারের সমর্থন হ্যারিসের প্রতি খানিকটা কম বলে মনে হয়েছে। ২০২০ সালের তুলনায় ট্রাম্পের সমর্থন ওই ভোটারদের মধ্যে কিছুটা বেড়েছে।
দেশজুড়ে ১ লাখ ১০ হাজারের বেশি ভোটারের ওপর চালানো একটি জরিপে দেখা গেছে, ডেমোক্রেসির ভবিষ্যৎ হ্যারিসের সমর্থকদের জন্য প্রধান অনুপ্রেরণা। প্রচারের শেষ দিকে ট্রাম্পকে ধারাবাহিকভাবে ফ্যাসিবাদী হিসেবে অভিযুক্ত করেছিলেন হ্যারিস। সেটিই সম্ভবত কার্যকর হয়েছে।
এতে আরও দেখা গেছে, দেশটি নেতিবাচকতা ও পরিবর্তনের আকাঙ্ক্ষায় ডুবে রয়েছে। ট্রাম্পের সমর্থকরা মূলত অভিবাসন ও মুদ্রাস্ফীতির উপর ফোকাস করছিলেন—দুটি সমস্যা যা সাবেক রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট তার প্রচারণার শুরু থেকেই তুলে ধরেছেন।