জাপানের নতুন প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ ভেঙে দিয়ে আগামী ৩১ অক্টোবর জাতীয় নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করেছেন।বৃহস্পতিবার কিশিদা নিম্নকক্ষ ভেঙে দেয়ার ঘোষণা দেন।
এবারের নির্বাচনের মূল লক্ষ্য করোনাভাইরাসে ক্ষতিগ্রস্ত দেশীয় অর্থনীতিকে পুনরুদ্ধার এবং এই অবস্থা থেকে ঘুরে দাড়ানোর চেষ্টা করা। এখন দেখার বিষয়, কিশিদার সরকার নয় বছর ধরে শাসন ক্ষমতায় থাকা শিনজো আবের মতো দেশ শাসন করতে পারেন কিনা।
ক্ষমতা গ্রহণের ১০ দিনের মাথায় নবনির্বাচিত কিশিদাকে পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ ভেঙে দিতে হলো। প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ার পর তিনি জানান, তার সরকার নীতি-নির্ধারণ বিষয়ে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে। প্রধান চার বিরোধী দলও শিনজো আবের শাসনামলে বৃদ্ধি পাওয়া ধনী-দরিদ্রদের বৈষম্য কমিয়ে আনার জন্য বিভিন্ন নীতি-নির্ধারণে সাহায্য করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
আরও পড়ুন: তাইওয়ানে ভবনে আগুন: নিহত ২৫
গত সপ্তাহে দেয়া প্রথম ভাষণে কিশিদা দেশের শক্তি বৃদ্ধি করার অঙ্গীকার করেন। এছাড়া অর্থনীতি পুনরুদ্ধার এবং চীন ও উত্তর কোরিয়ার হুমকি থেকে দেশের সুরক্ষার জন্য নিরাপত্তা বাহিনীকে শক্তিশালী করার প্রতিশ্রুতিও দেন। দেশব্যাপী আরও করোনা পরীক্ষার ব্যবস্থা করা ও ভ্যাকসিন প্রাপ্তদের দ্রুত সার্টিফিকেট দেয়ার কথাও জানান কিশিদা।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইউশিহিদে সুগাকে মহামারি ব্যবস্থাপনা ও জরুরি অবস্থার মধ্যেই টোকিও অলিম্পিক আয়োজনের কারণে দেশজুড়ে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় জন অসন্তোষের মধ্যে পড়তে হয়। এর জেরে মাত্র একবছর ক্ষমতায় থাকার পর সুগা পদত্যাগ করেন।
ক্ষমতা গ্রহণের সময় কিশিদা রাজনীতির ওপর জনগণের বিশ্বাস ও আস্থা ফিরিয়ে আনার আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
আরও পড়ুন: আফগানিস্তানে মানবিক সহায়তা দেবে যুক্তরাষ্ট্র
এর আগে ২০১৭ সালে শিনজো আবের সময় শেষবার পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ নির্বাচন হয়। সে সময় নির্বাচনে কট্টরপন্থী কনসারভেটিভ লিবারেল পার্টি (এলডিপি) নির্বাচিত হয় এবং দীর্ঘসময় ক্ষমতায় থাকে। সেই নির্বাচনে এলডিপি ও তার শরীক দল নিউ কোমেইটো জোটবদ্ধ হয়ে ৩১০ টি আসন পায়।