এদিকে এক টুইট বার্তায় ট্রাম্প দাবি করেছেন, নির্বাচনে তিনি পরাজিত হয়েছেন বলে পূর্বাভাস দেয়া হলেও, সেখানে আসলে তিনিই বিজয়ী হতে চলেছেন। খবর: বিসিসি বাংলা।
প্রতি চার বছর পরপর যুক্তরাষ্ট্রের যে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হয়, ভোট গণনার ভিত্তিতে সেখানে বিজয়ী প্রার্থী সম্পর্কে পূর্বাভাস দিয়ে থাকে মার্কিন গণমাধ্যমগুলো।
এখনো অঙ্গরাজ্যগুলোর ভোটের ফলাফলের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসেনি। অনেক রাজ্যে এখনো ভোট গণনা চলছে। আগামী ১৪ ডিসেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের ইলেক্টোরাল কলেজের সদস্যরা বৈঠকে বসার পর চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণা করা হবে।
জো বাইডেনের বক্তব্য:
মঙ্গলবার ডেলাওয়ারের উইলমিংটনে ‘প্রেসিডেন্ট-ইলেক্ট’- এর কাছে একজন সাংবাদিক জানতে চান যে, ডোনাল্ড ট্রাম্প যে নির্বাচনে পরাজয় মানতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন, এ বিষয়ে তিনি কি মনে করেন?
জবাবে বাইডেন বলেন, ‘সত্যি বলতে, আমি মনে করি এটি বিব্রতকর একটি বিষয়।’
‘যদি কৌশলের সাথে বলতে হয়, আমার মতে এটি প্রেসিডেন্টের উত্তরাধিকারের ক্ষেত্রে কোনো সাহায্য করবে না,’ বলেন তিনি।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের অভিষেক অনুষ্ঠানের ইঙ্গিত দিয়ে এই ডেমোক্র্যাট নেতা বলেন, ‘আপনারা সবাই জানেন, শেষ পর্যন্ত ২০ জানুয়ারি তারিখেই পরিপূর্ণতা দেখা যাবে।’
দপ্তরের দায়িত্ব নেয়ার প্রস্তুতি হিসাবে মঙ্গলবার তিনি যুক্তরাজ্য ও আয়ারল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী, ফরাসি প্রেসিডেন্ট ও জার্মান চ্যান্সেলরের সাথে টেলিফোনে যোগাযোগ করেছেন জো বাইডেন।
এদিকে দায়িত্ব গ্রহণের জন্য বাইডেন ও কমলা হ্যারিস প্রস্তুতি নিলেও, হস্তান্তর আয়োজন যে ফেডারেল প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বে, সেই প্রতিষ্ঠানের প্রধান হিসাবে রয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্পের মনোনীত একজন কর্মকর্তা। যিনি হস্তান্তর কার্যক্রম বন্ধ রেখেছেন।
নতুন প্রশাসনের জন্য তহবিল বরাদ্দ এবং সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে প্রবেশাধিকারের বিষয়টি নিয়ন্ত্রণ করে জেনারেল সার্ভিস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন। এখনো এই প্রতিষ্ঠানটি বাইডেনকে প্রেসিডেন্ট-ইলেক্ট হিসাবে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দেয়নি।
ট্রাম্প এবং তার সহযোগীদের বক্তব্য:
মঙ্গলবার টুইট বার্তায় ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করে লিখেছেন, ‘ভোট গণনায় ব্যাপক অনিয়ম হয়েছে এবং আমরাই বিজয়ী হবো।’
যদিও তার এসব টুইটকে 'বিতর্কিত' বলে লেবেল দিয়ে রেখেছে টুইটার কর্তৃপক্ষ।
ট্রাম্পের দাবি, নির্বাচনে কারচুপি করে জো বাইডেন বিজয়ী হতে পারেন। তবে নিজের এসব দাবির পক্ষে কোনো প্রমাণ দেননি তিনি।
ডোনাল্ড ট্রাম্পের অনুগত হিসাবে পরিচিত যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও সম্প্রতি এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, ‘যখন প্রতিটি 'বৈধ' ভোট গণনা করা হবে, তখন ট্রাম্প প্রশাসনের দ্বিতীয় দফার মেয়াদ শুরু হবে।’
মঙ্গলবার উইসকনসিনের সিনেটর রন জনসন বলেছেন, ‘জো বাইডেনকে এখনো অভিনন্দন জানানোর মতো কিছু ঘটেনি।’
সিনেটে রিপাবলিকান নেতা মিচ ম্যাককনেল বলেছেন, ‘পেনসিলভানিয়ার মতো ব্যাটেল গ্রাউন্ডগুলোর নির্বাচনের ফলাফল চ্যালেঞ্জ করার প্রতিটি অধিকার রয়েছে ডোনাল্ড ট্রাম্পের।’