জো বাইডেন
পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে জো বাইডেন ও অ্যান্টনি ব্লিনকেনের শুভেচ্ছা
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং সেদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের দপ্তর হোয়াইট হাউস থেকে পাঠানো শুভেচ্ছা কার্ডে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও ফার্স্টলেডি জিল বাইডেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মোমেন এবং তার সহধর্মিণী মিসেস সেলিনা মোমেনকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
এছাড়া মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন আরেকটি শুভেচ্ছা কার্ডে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন ও তার সহধর্মিণী সেলিনা মোমেনকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: জাতিসংঘ পানি সম্মেলনের প্লেনারি অধিবেশনে সভাপতিত্ব করলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন
আব্দুল মোমেনকে স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা ভুটানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
আপনি বিশ্বের জন্য সহানুভূতি ও উদারতার দৃষ্টান্ত: শেখ হাসিনার উদ্দেশে বাইডেন
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, তার দেশ রোহিঙ্গা শরণার্থী সংকটের দীর্ঘমেয়াদি সমাধান খুঁজে বের করতে এবং নৃশংসতার অপরাধীদের জবাবদিহিতার আওতায় আনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে লেখা এক চিঠিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট লিখেছেন, ‘আপনি বিশ্বের জন্য সহানুভূতি ও উদারতার দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন।’
ঢাকায় মার্কিন দূতাবাস রবিবার চিঠিটি প্রকাশ করেছে, যা মূলত গত ২১ মার্চ পাঠানো হয়েছিল।
চিঠিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, বাংলাদেশ তার সীমান্ত খুলে দিয়েছে এবং প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থীকে স্বাগত জানিয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেয়া এই বার্তায় যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে বাইডেন তাকে এবং বাংলাদেশের জনগণকে স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
বাইডেন চিঠিতে লিখেছেন, বাংলাদেশিরা মুক্তি ও স্বাধীনতার মূল্য গভীরভাবে বোঝে, কারণ তারা ১৯৭১ সালে তাদের নিজের ভাষায় কথা বলার জন্য সাহসের সঙ্গে লড়াই করেছিল।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের সঙ্গে শক্তিশালী, ঘনিষ্ঠ অংশীদারিত্ব চান রাজা চার্লস
মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেছেন, তিনি মনে করিয়ে দিতে চান যে দুই জাতির জন্যই ‘গণতন্ত্র, সমতা, মানবাধিকারের প্রতি সম্মান এবং অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন’ ‘গভীর মূল্য’ রাখে।
তিনি শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে সবচেয়ে বড় অবদানকারী হিসেবে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণদের রক্ষায় বাংলাদেশের প্রদর্শিত অঙ্গীকারের প্রশংসা করেন।
বাইডেন বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশকে ধন্যবাদ জানাই গ্লোবাল অ্যাকশন প্ল্যান মন্ত্রী পর্যায়ের যৌথ আয়োজনের জন্য যা বৈশ্বিক মহামারি শেষ করার রাজনৈতিক অঙ্গীকারকে উল্লেখযোগ্যভাবে উন্নীত করেছে।
বাইডেন বলেন, ৫০ বছরেরও বেশি কূটনৈতিক সম্পর্কের মধ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশ একসঙ্গে অনেক কিছু অর্জন করেছে। যেমন-অর্থনৈতিক উন্নয়নের অগ্রগতি, জনগণের মধ্যে সম্পর্ক জোরদার করা, বৈশ্বিক স্বাস্থ্য ও জলবায়ু সমস্যা মোকাবিলা করা, রোহিঙ্গা শরণার্থীদের মানবিক প্রতিক্রিয়ায় অংশীদার করা এবং একটি সমৃদ্ধ, নিরাপদ, গণতান্ত্রিক ও স্বাধীন বাংলাদেশ তৈরি করা।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের অসাধারণ সাফল্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে ব্যাপকভাবে প্রশংসিত: শি জিনপিং
'দ্রুত আঞ্চলিক নেতা হয়ে উঠছে' বাংলাদেশ: ব্লিংকেন
গ্রেপ্তারের আশঙ্কা জানালেন ডনাল্ড ট্রাম্প, প্রতিবাদের আহ্বান
ডনাল্ড ট্রাম্প (৭৬) শনিবার দাবি করেছেন যে তার গ্রেপ্তার আসন্ন এবং তার সমর্থকদের এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
ট্রাম্প আরও দাবি করেন, নিউইয়র্কের গ্র্যান্ড জুরি তার বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগকারী নারীদের থেকে গোপনে টাকা নিয়ে এই মামলার তদন্ত করছেন।
যদিও ট্রাম্পের আইনজীবী এবং মুখপাত্র বলেছেন যে প্রসিকিউটরদের কাছ থেকে তাদের সঙ্গে কোনও রকম যোগাযোগ করা হয়নি।
তবে, ট্রাম্প তার সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে একটি পোস্টে ঘোষণা করেছেন যে মঙ্গলবার তাকে পুলিশি হেফাজতে নেয়ার আশঙ্কা করছেন তিনি।
পরবর্তী একটি পোস্টে ২০২৪ সালের নির্বাচনের প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ট্রাম্প তার বিরোধী বাইডেন প্রশাসনের বিপক্ষে ব্যাপক ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
ওই পোস্টে বড় হাতের অক্ষরে তিনি লিখেছেন, ‘সময় এসেছে!!!’
তিনি আরও লিখেছেন, ‘আমরা আর এটা হতে দিতে পারিনা। তারা আমাদের দেশকে ধ্বংস করছে, আর আমরা বসে আছি এবং দেখছি। আমাদের অবশ্যই আমেরিকাকে বাঁচাতে হবে! প্রতিবাদ, প্রতিবাদ, প্রতিবাদ!!!’
আরও পড়ুন: ধর্ষণের অভিযোগের বইয়ের কোনো অংশ কখনো পড়েননি ট্রাম্প
২০২১ সালের ৬ জানুয়ারি মার্কিন ক্যাপিটলে বিদ্রোহের কিছুদিন আগে তিনি যে বক্তৃতা দিয়েছিলেন, প্রকারান্তরে তারই পুনরাবৃত্তি করা হয়েছে তার এবারের পোস্টে।
সেদিন সকালে ওয়াশিংটনের একটি সমাবেশে তৎকালীন প্রেসিডেন্টের কাছ থেকে এই আহ্বান শোনার পর, তার সমর্থকরা ক্যাপিটলে হামলা করে এবং বিজয়ী ডেমোক্র্যাট প্রার্থী জো বাইডেনের হোয়াইট হাউস বিজয়ের কংগ্রেসনাল সার্টিফিকেশন বন্ধ করার চেষ্টা করে। তারা ক্যাপিটল ভবনের দরজা-জানালা ভেঙ্গে এবং অফিসারদের পিটিয়ে রক্তাক্ত রেখে যান।
অন্যদিকে, ডিস্ট্রিক্ট অ্যাটর্নি অ্যালভিন ব্র্যাগ তার বিরুদ্ধে করা ট্রাম্পের অভিযোগের বিষয়ে কোনও মন্তব্য করেননি।
বরং সম্প্রতি তিনি ট্রাম্পকে গ্র্যান্ড জুরির সামনে সাক্ষ্য দেয়ার সুযোগ দেয়ারও প্রস্তাব দিয়েছেন।
স্থানীয় আইন প্রয়োগকারী কর্মকর্তারা ট্রাম্পের বিচার পরবর্তী সময়ের জননিরাপত্তা নিশ্চিতের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
ট্রাম্পের বক্তব্যের পর এক ইমেইলে ব্র্যাগ বলেছেন, আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে তাকে নিশ্চিত করতে হবে যে তার অফিসে কাজ করা এক হাজর ৬০০ জন ব্যক্তি নিরাপদ থাকবে এবং ‘যে কোনও ধরনের হুমকিরই’ তদন্ত করা হবে।
তিনি লিখেছেন, ‘আমরা আমাদের নিউইয়র্ক অফিসকে ভয় দেখানো বা আইনের শাসনের ওপর হুমকি দেয়ার চেষ্টাকে সহ্য করি না।’
তিনি আরও লিখেছেন, ‘এ বিষয়েও আমরা আমাদের অন্য সকল তদন্তের মতোই সমান ও ন্যায্যভাবে আইন প্রয়োগ করবো এবং সময় হলেই জনসম্মুখে সব প্রকাশ করা হবে।’
এ মামলায় গ্র্যান্ড জুরির গোপন তদন্তের জন্য কোনও সময়সীমার কথা প্রকাশ্য ঘোষণা দেয়া হয়নি।
আরও পড়ুন: ৬ জানুয়ারি ক্যাপিটল হিলে হামলা: ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ফৌজদারি বিচারের আহ্বান আইন প্রণেতাদের
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এই বিচারকার্য সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, কমপক্ষে আরও একজন সাক্ষীর সাক্ষ্য দেয়া বাকি রয়েছে।
ট্রাম্পের একজন আইনজীবী সুসান নেচেলেস বলেছেন, ট্রাম্পের পোস্টটি ‘মিডিয়া রিপোর্টের উপর ভিত্তি করে’ এবং একজন মুখপাত্র বলেছেন যে ব্র্যাগের অফিস থেকে ‘কোনও বিজ্ঞপ্তি’ আসেনি। এবং ট্রাম্পের মঙ্গলবার গ্রেপ্তার ওেয়ার আশঙ্কার কারণ এখনও অস্পষ্ট।
জেলা অ্যাটর্নি অফিস এ বিষয়ে মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে।
ট্রাম্পের সহযোগী এবং আইনি দল অভিযুক্ত হওয়ার সম্ভাবনার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে।
যদি এমন হয়, তবে আত্মসমর্পণ করতে অস্বীকার করলেই তাকে গ্রেপ্তার করা হবে।
ট্রাম্পের আইনজীবীরা আগে বলেছিলেন যে তিনি স্বাভাবিক নিয়ম অনুসরণ করবেন। যার অর্থ সম্ভবত তিনি নিউইয়র্ক পুলিশ ডিপার্টমেন্ট প্রিন্সেন্টে বা সরাসরি ব্র্যাগের অফিসে আত্মসমর্পণ করতে রাজি হবেন।
এটা স্পষ্ট নয় যে ট্রাম্পের সমর্থকরা তার প্রতিবাদের আহ্বানে সাড়া দেবেন কিনা।
ট্রুথ সোশ্যাল-এ ট্রাম্পের পোস্টগুলো সাধারণত টুইটারের চেয়ে অনেক কম জনপ্রিয়তা পায়।
তবে তার অনুগত অনেক সমর্থক রয়েছে।
আরও পড়ুন: সম্ভাব্য বিশেষ সুবিধাপ্রাপ্ত ট্রাম্প নথির পর্যালোচনা সম্পন্ন
তবে, গত ৬ জানুয়ারি দাঙ্গার পরে ট্রাম্পের শতাধিক অনুগত গ্রেপ্তার হয়েছিল এবং ফেডারেল আদালতে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছিল। এটাও সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের আবেগ কমিয়ে দিতে পারে।
তার পোস্টের পরে, রিপাবলিকান হাউস স্পিকার কেভিন ম্যাকার্থি ট্রাম্পের বিরুদ্ধে বিচার করার যে কোনও পরিকল্পনাকে ‘একজন র্যাডিক্যাল ডেপুটি অ্যাটর্নির ক্ষমতার অশোভন অপব্যবহার’ হিসেবে প্রত্যাখ্যান করেন।
তিনি দাবি করেন, ডেপুটি অ্যাটর্নি ‘রাজনৈতিক প্রতিহিংসার’ বশবর্তী হয়ে এই বিচার করছেন।
গ্র্যান্ড জুরি ট্রাম্পের সাবেক আইনজীবী মাইকেল কোহেন সহ সাক্ষীদের কাছ থেকে শুনানি করছেন।
কোহেন বলেছেন, তিনি ২০১৬ সালে ট্রাম্পের সঙ্গে যৌন নিগ্রহের বিষয়ে চুপ থাকার জন্য দুজন নারীকে অর্থ দিয়েছিলেন। এক দশক আগে ট্রাম্পের সঙ্গে তাদের সম্পর্ক ছিল।
যদিও, ট্রাম্প এই অভিযোগগুলোকে অস্বীকার করে বলেছেন, তিনি কোনও ভুল করেননি এবং রিপাবলিকানদের ২০২৪ সালের নির্বাচনী প্রচারণাকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য ডেমোক্র্যাটিক প্রসিকিউটররা তার বিরুদ্ধে ‘দাষ খুঁজছেন’।
ট্রাম্প ব্র্যাগকেও অভিযুক্ত করে বলেছে, ব্র্যা একজন কৃষ্ণাঙ্গ এবং একজন ‘বর্ণবাদী’।
তিনি প্রসিকিউটরকে অভিযুক্ত করে বলেছেনছেন যে তিনি ট্রাম্পের দিকে মনোনিবেশ করার সময় শহরে অপরাধ দমনের ব্যাপারে যথেষ্ট মনোযোগ দিচ্ছেন না।
ব্র্যাগের অফিস পরীক্ষা করে দেখছে যে ভুক্তভোগীদের মুখ বন্ধ রাখতে ট্রাম্পের কোম্পানি যেভাবে কোহেনকে দিয়ে ওই নারীদের ক্ষতিপূরণ দিয়েছিল, সেক্ষেত্রে কোনও রাষ্ট্রীয় আইন ভঙ্গ করা হয়েছে কিনা।
পারমাণবিক যুদ্ধের উত্তেজনার মধ্যেই মুখোমুখি হচ্ছেন জো বাইডেন ও শি জিনপিং
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সোমবার চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে তাদের প্রথম ব্যক্তিগত বৈঠকে বসবেন। দুই বছর আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে বাইডেন দায়িত্ব নেয়ার পরে থেকেই এই দুই পরাশক্তির মধ্যে উত্তেজনা বাড়ছে। এ পরিস্থিতির মধ্যেই এই দুই নেতা ইন্দোনেশিয়ায় অনুষ্ঠিত জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে বৈঠকে বসবেন।
ইন্দোনেশিয়া আসার আগে কম্বোডিয়ার নম পেনে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর একটি সমাবেশে অংশ নিয়েছিলেন বাইডেন।
সেখানে তিনি সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ‘আমাদের অল্প কিছু ভুল বোঝাবুঝি আছে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা শুধু খুঁজে বের করতে পেরেছি যে লাল রেখাগুলো কোথায় এবং ... আগামী দুই বছরে আমাদের প্রত্যেকের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জিনিসগুলো কী।’
যদিও বাইডেনের মেয়াদকালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে সম্পর্ক ক্রমশ উত্তেজনাপূর্ণ হয়ে উঠেছে।
আরও পড়ুন: বিতর্ক এড়াতে জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিচ্ছেন না পুতিন
ওয়াশিংটন ছাড়ার আগে বাইডেন বলেছিলেন যে তিনি ইউক্রেনে প্রায় ৯মাস ধরে চলা আগ্রাসনের মধ্যে তাইওয়ানের স্ব-শাসিত দ্বীপ, বাণিজ্য চর্চা এবং মস্কোর সঙ্গে চীনের সম্পর্কের বিষয়ে তাদের দৃষ্টিভঙ্গির পার্থক্যগুলো শি জিনপিংয়ের সঙ্গে আলোচনা করার পরিকল্পনা করেছেন।
চীনা কর্মকর্তারা মূলত জনসমক্ষে রাশিয়ার ইউক্রেনের ওপর চালানো আগ্রাসনের সমালোচনা করা থেকে বিরত থাকেন। তবে বেইজিং রাশিয়ায় অস্ত্র সরবরাহের মতো সরাসরি সমর্থন এড়িয়ে গেছে।
তাইওয়ান সম্প্রতি ওয়াশিংটন ও বেইজিংয়ের মধ্যে সবচেয়ে বিতর্কিত ইস্যু হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে বাইডেন একাধিকবার বলেছেন যে তাইওয়ানের ওপর বেইজিং-এর চালানো আক্রমণ থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র দ্বীপটিকে রক্ষা করবে। চীন এ বিষয়টিকে কখনোই ভালো চোখে দেখেনি।
উত্তেজনা আরও বেড়ে যায় যখন হাউস স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি, ডি-ক্যালিফ গত আগস্ট মাসে তাইওয়ান সফর করেন। চীন এ বিষয়টিকে চূড়ান্ত সীমা লঙ্ঘণ হিসেবেই দেখেছে। চীন সেসময় সামরিক মহড়া এবং নিকটবর্তী সমুদ্রে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে।
আরও পড়ুন: জি-২০ সম্মেলন: পুতিন ও এমবিএসের সঙ্গে সাক্ষাত হতে পারে বাইডেনের
জি-২০ সম্মেলনে বাংলাদেশকে অতিথি দেশ হিসেবে আমন্ত্রণ জানাবে ভারত
জি-২০ সম্মেলন: পুতিন ও এমবিএসের সঙ্গে সাক্ষাত হতে পারে বাইডেনের
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন আগামী মাসে এক সপ্তাহে তিনটি দেশ সফর করবেন। তিনি একটি সম্মেলনের চতুর্থভাগে যোগ দেবেন। এসময় তিনি সম্ভাব্যভাবে চীনের শি জিনপিং এবং রাশিয়ার ভ্লাদিমির পুতিনের মতো বিশ্ব নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করতে পারেন।
হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি কারিন জিন-পিয়ের শুক্রবার জানিয়েছেন, বাইডেন দক্ষিণ-পূর্বের ইউএস-আসিয়ান শীর্ষ সম্মেলনে অংশ নিতে কম্বোডিয়ার নমপেনে যাওয়ার আগে ১১ নভেম্বর প্রথম কপ-২৭ জলবায়ু সম্মেলনের জন্য মিশরের শার্ম আল-শেখ যাবেন। পরে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার নেতাদের আসিয়ান শীর্ষ সম্মেলনে অংশ নেবেন। এরপর তিনি বিশ্বের বেশিরভাগ বৃহত্তম অর্থনীতির দেশের নেতাদের একটি সমাবেশ গ্রুপ অব-২০ শীর্ষ সম্মেলনের জন্য ইন্দোনেশিয়ার বালিতে যাবেন।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে মধ্যবর্তী নির্বাচনের মাত্র কয়েক দিন পরে প্রেসিডেন্টের বিদেশ ভ্রমণ শুরু হবে। যেটি নির্ধারণ করবে কোন দল হাউস এবং সিনেট নিয়ন্ত্রণ করবে।
বাইডেন জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে অংশগ্রহণ করলে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে মুখোমুখি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
একইসঙ্গে ধারণা করা হচ্ছে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং সৌদি ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের (এমবিএস) সঙ্গেও তিনি মিলিত হতে পারেন।
আরও পড়ুন: জর্জিয়ায় জিতলেন জো বাইডেন
তবে পুতিন, শি এবং এমবিএস এখনও তাদের ভ্রমণ পরিকল্পনা ঘোষণা করেননি।
বাইডেন এবং শি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং চীনে একসঙ্গে ভ্রমণ করেছিলেন যখন উভয়ই ভাইস প্রেসিডেন্ট ছিলেন। ২০২১ সালের জানুয়ারিতে বাইডেন প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর থেকে বেশ কয়েকবার তিনি আমন্ত্রণ পেয়েছেন৷ কিন্তু মার্কিন ও চীনের মধ্যে সম্পর্ক ক্রমশ তিক্ত হয়ে উঠেছে৷
যুক্তরাষ্টের প্রেসিডেন্ট উইঘুর এবং অন্যান্য জাতিগত সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য চীনকে দায়ী করেছেন। এছাড়াও হংকংয়ে গণতন্ত্রপন্থীদের কণ্ঠস্বর রোধ করা, জবরদস্তিমূলক বাণিজ্যের অনুশীলন, গণতান্ত্রিক, স্বশাসিত তাইওয়ানের বিরুদ্ধে তার সামরিক উস্কানি এবং ইউক্রেনের বিরুদ্ধে আট মাস ধরে চলমান যুদ্ধের জন্য রাশিয়ার বিচারের বিষয়ে মতপার্থক্য রয়েছে।
এদিকে, চীনের প্রেসিডেন্ট শির সরকার তাইওয়ানের প্রতি বাইডেন প্রশাসনের নীতির সমালোচনা করেছে। এবং বেইজিং শেষ পর্যন্ত চীনের সার্বভৌমত্ব এবং আঞ্চলিক অখণ্ডতাকে ক্ষুণ্ন করার নামান্তর উল্লেখ করে তাইওয়ানকে কমিউনিস্ট মূল ভূখণ্ড চীনের সঙ্গে একত্রিত করতে উৎসাহিত করেছে।
হোয়াইট হাউস ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের মুখপাত্র জন কিরবি এই সপ্তাহের শুরুতে বলেছিলেন যে মার্কিন ও চীনের কর্মকর্তারা নেতাদের একটি বৈঠকের ব্যবস্থা করার জন্য কাজ করছেন। তবে এটি এখনও নিশ্চিত করা যায়নি।
বুধবার প্রতিরক্ষা বিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকের শুরুতে বাইডেন ‘চীনের সঙ্গে ক্রমবর্ধমান তীব্র প্রতিযোগিতা পরিচালনা করার দায়িত্ব’-এর ওপর জোর দিয়েছিলেন।
বাইডেন বলেন, ‘যেমনটি আমি বলেছি, আমাদের যে সামরিক সুবিধা তা আমাদের অবশ্যই বজায় রাখতে হবে। তবে আমরা এটি স্পষ্ট করছি যে আমরা সংঘাত চাই না।’
বাইডেন পুতিন বা এমবিএসের সঙ্গে একের পর এক বৈঠক করবেন এমন সম্ভাবনা কম।
বাইডেন প্রশাসন ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের পর মস্কোর উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে সংগঠিত করেছে। যুদ্ধ দ্বারা প্রভাবিত ইউক্রেন ও এর প্রতিবেশীদের সহায়তার জন্য ৪০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারেরও বেশি অর্থনৈতিক ও সামরিক সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
রাশিয়া ইউক্রেনের সীমান্তে সেনা মোতায়েন শুরু করার কয়েক মাস আগে বাইডেন এবং পুতিন ২০২১ সালের জুনে সুইজারল্যান্ডের জেনেভাতে মুখোমুখি বৈঠক করেছিলেন। তারা ফেব্রুয়ারিতে ফোনে শেষ কথা বলেছিল, বাইডেন পুতিনকে সতর্ক করে দিয়েছিলেন যে রাশিয়া আক্রমণের জন্য অগ্রসর হলে ‘গুরুতর মূল্যের’ সম্মুখীন হবে।
চলতি মাসের শুরুর দিকে বাইডেন ঘোষণা করেছিলেন যে রিয়াদের নেতৃত্বাধীন ওপেক + জোট তেল উৎপাদন কমানোর পদক্ষেপ নেয়ার পরে সৌদি আরবের জন্য ‘পরিণাম’ ভোগ করতে হবে। হোয়াইট হাউস আরও বলেছে যে এটি তেল উৎপাদন হ্রাসের আলোকে রাজ্যের সঙ্গে তার সম্পর্কের পুনর্মূল্যায়ন করছে যে হোয়াইট হাউসের কর্মকর্তারা বলছেন যে রাশিয়া, অপর ওপেক + সদস্য, ইউক্রেনে প্রায় আট মাসের যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার কারণে রাশিয়াকে সাহায্য করবে।
হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস ১৮ থেকে ১৯ নভেম্বর এশিয়া-প্যাসিফিক ইকোনমিক কো-অপারেশন লিডারদের বৈঠকে যোগদানের জন্য থাইল্যান্ডের ব্যাংককে আলাদাভাবে ভ্রমণ করবেন। তারপরে ফিলিপাইনের ম্যানিলা যাবেন।
আরও পড়ুন: ট্রাম্পের পরাজয় স্বীকার না করা 'বিব্রতকর': জো বাইডেন
প্রথমেই যেসব পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছেন জো বাইডেন
মার্কিন প্রেসিডেন্টকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ প্রধানমন্ত্রীর
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বুধবার সন্ধ্যায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন আয়োজিত অভ্যর্থনা অনুষ্ঠানে যোগ দেন। সেখানে তিনি মার্কিন প্রেসিডেন্টকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান।
রাষ্ট্রপ্রধান ও সরকার প্রধান যারা নিউইয়র্কে ৭৭তম জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনে যোগ দিতে এসেছেন তাদের সম্মানে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ও তার স্ত্রী আমেরিকান মিউজিয়াম অব ন্যাচারাল হিস্ট্রিতে অনুষ্ঠানটি আয়োজন করেন।
হোটেল লোটেতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন সাংবাদিকদের বলেন, ‘মিস্টার ও মিসেস বাইডেন তাকে (শেখ হাসিনা) অনুষ্ঠানস্থলে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান।’
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী বাইডেনকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। তবে তিনি দুই নেতার আলোচনার বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানাননি।
আরও পড়ুন: সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় নারীদের আরও বেশি যুক্ত করুন: প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, ‘পরে আমি প্রধানমন্ত্রীকে জিজ্ঞেস করেছিলাম। তিনি উত্তর দিলেন হ্যাঁ আমরা আলোচনা করেছি...আমি তাকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছি।’
মোমেন বলেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে জানতে চেয়েছেন এটি কি জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে তার প্রথম অংশগ্রহণ।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের প্রধানমন্ত্রী উত্তর দিয়েছেন যে এটি জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে তার ১৮তম অংশগ্রহণ।’
আরও পড়ুন: ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে সৃষ্ট সংকট কাটিয়ে উঠতে বিশ্বব্যাপী সংহতি প্রয়োজন: প্রধানমন্ত্রী
নিউইয়র্কে পদ্মা সেতুর আলোকচিত্র প্রদর্শনী পরিদর্শন প্রধানমন্ত্রীর
ইসরায়েলি ফ্লাইটে সৌদি আরবের আকাশসীমা উন্মুক্ত
সব ধরনের ইসরায়েলি বিমানের ফ্লাইটের ওপর আকাশসীমা উন্মুক্ত করেছে সৌদি আরব। শুক্রবার সৌদি আরবের জেনারেল অথরিটি অব সিভিল এভিয়েশন এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
এর ফলে ইসরায়েলি ফ্লাইটের ওপর সৌদি আরব আরোপিত দীর্ঘ নিষেধাজ্ঞার অবসান ঘটবে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের এ অঞ্চলে সফর এক্ষেত্রে দুই জাতির মধ্যকার সম্পর্ক স্বাভাবিককরণে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।
বাইডেন হবেন বিমানে করে ইসরায়েল থেকে সরাসরি সৌদি আরব যাওয়া প্রথম মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তিনি এ যাত্রা করার কয়েক ঘণ্টা আগেই সৌদি আরবের জেনারেল অথরিটি অব সিভিল এভিয়েশন এক টুইটারে পোস্টে দেয়া বিবৃতিতে ইসরায়েলি বিমানের জন্য তাদের আকাশসীমা অবমুক্ত করার কথা জানায়।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘ইসরায়েলের সব ধরনের বিমানের ফ্লাইটের জন্য সৌদি আরবের আকাশসীমা উন্মুক্ত করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।’
ঘোষণাটি সৌদি আরব ও ইসরায়েলের মধ্যে সম্পর্কের স্বাভাবিকীকরণের বিষয়ে এবং এ অঞ্চলে ইরানের ক্রমবর্ধমান প্রভাব নিয়ে তাদের যৌথ উদ্বেগ প্রশমনে নেয়া একটি পদক্ষেপ।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সৌদি আরব ইসরায়েল ও উপসাগরীয় রাষ্ট্রগুলোর ফ্লাইটগুলোকে তার আকাশসীমা অতিক্রম করার অনুমতি দিয়েছে।
২০২০ সালে তৎকালীন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য সৌদি আরবে উড়ে এসেছিলেন। এবং গত সপ্তাহেও বেশ কয়েকজন ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বিষয়ক সাংবাদিক সৌদি আরবে গিয়েছিলেন এবং তাদের অভ্যর্থনার (সৌদি আরবের পক্ষ থেকে করা উষ্ণ অভ্যর্থনা) বিষয়ে তারা সংবাদ প্রকাশ করেছিলেন।
আরও পড়ুন: ইসরায়েলি আক্রমণের হুমকি নাকচ করল হামাস ও ফাতাহ
ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরায়েলি বাহিনীর ফের হামলা
কিশিদার জয়, জাপানে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী
জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদার সাথে সোমবার টোকিওতে সাক্ষাত করেছেন দেশটিতে সফররত মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন।
এর আগে রবিবার সংসদীয় নির্বাচনে জাপানের ক্ষমতাসীন দল এবং তার জোট শরীকরা বিপুল ভোটে জয়লাভ করে, যা সদ্য প্রয়াত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে হত্যার পর অর্থপূর্ণ ছিল।
সাক্ষাতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ কূটনীতিক প্রয়াত সাবেক প্রধানমন্ত্রী নেতা শিনজো আবের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন এবং একটি শক্তিশালী দ্বিপক্ষীয় জোটের আশ্বাস দিয়েছেন।
শিনজো আবের গুলিবিদ্ধ হওয়ার সময় মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইন্দোনেশিয়ার বালিতে জি-২০ জোটভুক্ত দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সম্মেলনে ছিলেন।
সাক্ষাতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের একটি চিঠি আবের পরিবারকে হস্তান্তর করেন ব্লিঙ্কেন।
এসময় ব্লিঙ্কেন বলেন, ‘আমরা তাদের জানাতে চাই যে ব্যক্তিগত পর্যায়েও আমরা গভীরভাবে ক্ষতি অনুভব করি। আমি এখানে এসেছি কারণ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং জাপান মিত্রের চেয়ে বেশি -আমরা বন্ধু।’
ব্লিঙ্কেন বলেন, ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং জাপানের মধ্যে সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় উন্নীত করার জন্য আবের অবদান সবার চেয়ে বেশি।
ব্লিঙ্কেন হলেন আবের মৃত্যুর পর জাপানে যাওয়া সবচেয়ে সিনিয়র মার্কিন কর্মকর্তা।
আবের মৃত্যু পর রবিবারের ভোটে একটি নতুন অর্থ বহন করে, যেখানে জাপানের সমস্ত রাজনৈতিক নেতা বাকস্বাধীনতার গুরুত্ব এবং সহিংসতার বিরুদ্ধে গণতন্ত্র রক্ষার ওপর জোর দেন।
কিশিদা নির্বাচনকে অত্যন্ত অর্থবহ বলে অভিহিত করে বলেছেন, ‘গণতন্ত্র রক্ষায় আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।’
নির্বাচনে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি এবং এর জুনিয়র কোয়ালিশন পার্টনার কোমেইটো কম শক্তিশালী উচ্চ কক্ষের অর্ধেক আসনের জন্য সংখ্যাগরিষ্ঠ ২৪৮ সিটের নির্বাচনে তাদের সম্মিলিত অংশ ১৪৬-এ উন্নীত করেছে।
প্রসঙ্গত, ৬৭ বছর বয়সী শিনজো আবে দক্ষিণ জাপানে নির্বাচনী প্রচারণার বক্তৃতা দেয়ার সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান।
গুলিবিদ্ধ আবে তাৎক্ষণিকভাবে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন এবং হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার আগেই তিনি মারা যান।
জাপানের সবচেয়ে দীর্ঘমেয়াদী প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের ওপর হামলা পুরো বিশ্বকে হতবাক করেছে।
পড়ুন: শিনজো আবের হত্যাকাণ্ড: নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন
আবের মৃত্যুর পরও জাপানের ক্ষমতাসীন দলের বিপুল জয়
বাংলাদেশ একটি গুরুত্বপূর্ণ দেশ: বাইডেন
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এম শহীদুল ইসলাম হোয়াইট হাউসে মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে দেখা করেছেন এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমন্ত্রণ প্রেসিডেন্ট বাইডেনের কাছে পৌঁছে দিয়েছেন।
বৈঠকে বাইডেন বলেন, বাংলাদেশ একটি গুরুত্বপূর্ণ দেশ।
বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত বলেছেন, ‘হোয়াইট হাউসের ওভাল অফিসে মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে পেরে করতে পেরে সম্মানিত বোধ করছি।’
চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় দুই পক্ষই সম্পর্ক জোরদার করতে চায় বলে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্র এ বছর একাধিক দ্বিপক্ষয়ি বৈঠক করেছে।
আরও পড়ুন: পদ্মা সেতু শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের বিপুল আস্থার প্রতিফলন: নেপাল
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে কমনওয়েলথ দেশগুলোর সহায়তা চায় ঢাকা
যুক্তরাষ্ট্রে ৫ বছরের কম বয়সীদের ভ্যাকসিন প্রয়োগ শুরু
পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুদের জন্য ভ্যাকসিন অনুমোদনের পর আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন একটি টিকা ক্লিনিক পরিদর্শন করেছেন।
মঙ্গলবার বাইডেন ওয়াশিংটনের একটি টিকা ক্লিনিক পরিদর্শন করেন, যেখানে টিকার জন্য অযোগ্য বিবেচিত হয়ে আসা ছোট শিশুদের প্রথম কিছু শট দেয়া হয়েছে। এটিকে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হিসাবে দেখা হচ্ছে যা দেশের মহামারি অবস্থা পুনরুদ্ধারে সহায়তা করবে।
দেশটিতে এখন ছয় মাস বা তার বেশি বয়সী যে কেউ ভ্যাকসিনের জন্য যোগ্য বিবেচিত হবে।
যদিও প্রশাসন সতর্ক করে বলছে, ছোট বাচ্চাদের শট নেয়ার গতি বয়স্কদের তুলনায় ধীর হবে, কারণ বাবা-মায়েদের তাদের বাচ্চাদের শিশুরোগ বিশেষজ্ঞের ওপর নির্ভর করার সম্ভাবনা বেশি থাকে।
হোয়াইট হাউসে বাইডেন বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এখন বিশ্বের প্রথম দেশ যারা ছয় মাস বয়সী শিশুদের জন্য নিরাপদ এবং কার্যকর করোনা টিকা দিচ্ছে।
অভিভাবকদের উদ্দেশে বাইডেন বলেন, ‘আপনার সন্তানের টিকা দেয়ার পরিকল্পনা করার পরে আমি আপনাদের ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করতে উৎসাহিত করি।’
আরও পড়ুন: শ্রীলঙ্কায় তীব্র সংকটের মুখে সরকারের পদত্যাগ দাবি শিক্ষার্থীদের
রেকর্ড ১০৩.৫ মিলিয়ন ডলারে রুশ সাংবাদিকের নোবেল পদক বিক্রি