২৫ বছর বয়সীর ফুসফুস তার শরীরে পর্যাপ্ত অক্সিজেন সরবরাহ করতে না পারার ফলে হাসপাতালে চিকিত্সা নেয়ার প্রয়োজন হয়েছে বলে বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
পুনরায় সংক্রমণ বিরল হলেও তিনি এখন সুস্থ হয়ে ওঠেছেন।
ল্যানসেট সংক্রামক রোগ নিয়ে করা গবেষণায় ভাইরাস সংক্রমণ থেকে কতটা প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি হতে পারে তা নিয়ে প্রশ্ন করা হয়েছে।
নেভাদারের ওই রোগীর কোনো স্বাস্থ্যগত সমস্যা বা প্রতিরোধ ক্ষমতার কোনো ত্রুটি ছিল না যা তাকে বিশেষত কোভিডের জন্য দুর্বল করে তুলবে।
কোভিড-১৯ আক্রান্ত হওয়ার পর তার কি কি হয়েছিল
২৫ মার্চ - গলা ব্যথা, কাশি, মাথাব্যথা, বমি বমি ভাব এবং ডায়রিয়ার লক্ষণ দেখা দেয়।
১৮ এপ্রিল - প্রথমবারের পরীক্ষায় করোনা ধরা পড়ে।
২৭ এপ্রিল - প্রাথমিক লক্ষণগুলো থেকে পুরোপুরি সেরে ওঠেন।
৯ ও ২৬ মে – পরপর দুইবার ভাইরাস পরীক্ষায় করোনা ধরা পড়েনি।
২৮ মে - আবার জ্বর, মাথা ব্যথা, মাথা ঘোরা, কাশি, বমি বমি ভাব এবং ডায়রিয়ার লক্ষণ দেখা দেয়।
৫ জুন – দ্বিতীয়বারে করোনা পরীক্ষায় পজেটিভ ফল পান এবং শ্বাসকষ্টসহ হাইপোক্সিক (রক্তের অক্সিজেন পরিমান) কমে যায়।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, করোনা সংক্রমণটি সুপ্ত হয়ে যাওয়ার পরিবর্তে আবার ফিরে এসেছে এবং ওই রোগী দ্বিতীয়বারের মতো করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। ভাইরাসের জিনগত কোডগুলো তুলনা করে দেখিয়েছেন যে প্রতিটি সংক্রমণ লক্ষণগুলো খুবই স্বতন্ত্র ছিল।
নেভাদা বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. মার্ক পান্ডোরি বলেন, আমাদের পাওয়া ফলাফলগুলোতে দেখা গেছে পূর্ববর্তী সংক্রমণ থেকে সেরে ওঠলেই ভবিষ্যতের সংক্রমণ থেকে রক্ষা করতে পারবে না।
ফের সংক্রমণের সম্ভাবনা আমাদেরকে কোভিড-১৯ সম্পর্কে আরও জানতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারে।
তিনি বলেন, এমনকি যারা কোভিড থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছেন তাদেরও সামাজিক দূরত্ব, মাস্ক পরা এবং হাত ধোয়ার নির্দেশনা মেনে চলা উচিত।
বিজ্ঞানীরা এখনও করোনাভাইরাস এবং ইউমিনিটি সমস্যা সমাধানে কাজ করে যাচ্ছেন।