পানামার পশ্চিমাঞ্চলে একটি যাত্রীবাহী বাস পাহাড় থেকে ছিটকে পড়লে অন্তত ৩৯ জন অভিবাসী নিহত ও প্রায় ২০ জন আহত হয়েছেন।
বুধবারের এই দুর্ঘটনায় কর্মকর্তারা তাৎক্ষণিকভাবে জাতীয়তার বিষয়ে কথা বলেননি। তবে অভিবাসীরা কলম্বিয়া থেকে দারিয়েন গ্যাপ অতিক্রম করেছে।
পানামা সরকার সাধারণত দারিয়েন সীমান্ত অতিক্রমকারী অভিবাসীদের পানামার ওপারে কোস্টারিকা সীমান্তের কাছে একটি শিবিরে স্থানান্তরিত করে। অভিবাসীরা বাসের টিকিটের জন্য অর্থ প্রদান করে এবং বাসগুলো কেবল অভিবাসীদের জন্য। যেখানে সাধারণত দু'জন চালক থাকে, পাশাপাশি ন্যাশনাল ইমিগ্রেশন সার্ভিসের কর্মীরাও।
পানামার ন্যাশনাল ইমিগ্রেশন সার্ভিসের পরিচালক সামিরা গোজাইন বলেন যে দেখে মনে হচ্ছে বাসচালক গুয়ালাকার একটি আশ্রয়কেন্দ্রের প্রবেশদ্বার অতিক্রম করেছিলেন এবং যখন তিনি মহাসড়কে ফিরে যাওয়ার জন্য গাড়ি ঘুরানোর চেষ্টা করেন, তখন বাসটি অন্য একটি বাসের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে পাহাড় থেকে ছিটকে পড়ে যায়।
আরও পড়ুন: সিরিয়ার উপকূলে অভিবাসীবাহী নৌকাডুবে ৩৪ জনের মৃত্যু
ঘটনাস্থল থেকে পাওয়া ছবিতে দেখা গেছে, আশ্রয়কেন্দ্র থেকে মাত্র কয়েকশ’ গজ দূরে বনাঞ্চলের একটি বাঁকে একটি ভাঙা গার্ডরেল (রেলিং) রয়েছে। বাসটি ৬৬ জন অভিবাসীকে নিয়ে লস প্লেনস আশ্রয়কেন্দ্রে যাচ্ছিল।
অ্যাম্বুলেন্স আহতদের ডেভিডের নিকটতম হাসপাতালে নিয়ে যায়।
প্রেসিডেন্ট লরেন্টিনো কর্টিজো এক টুইটার বার্তায় বলেছেন, ‘এই সংবাদটি পানামা ও এই অঞ্চলের জন্য দুঃখজনক।’
অন্তত এক দশকের মধ্যে পানামাতে অভিবাসীদের নিয়ে এটিই হচ্ছে সবচেয়ে ভয়াবহ দুর্ঘটনা। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে পানামা দিয়ে অভিবাসীদের প্রবাহ বৃদ্ধি পেয়েছে। কারণ তারা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উত্তরে যাওয়ার চেষ্টা করার সময় বিপজ্জনক ক্রসিংটি আরও ঝুঁকিপূর্ণ ছিল।
আরও পড়ুন: সীমান্ত টহল: টেক্সাসের রিও গ্র্যান্ডে ৮ অভিবাসীর লাশ উদ্ধার