বাস দুর্ঘটনা
থাইল্যান্ডের পশ্চিমাঞ্চলে বাস দুর্ঘটনায় নিহত ১৪
থাইল্যান্ডের পশ্চিমাঞ্চলে মঙ্গলবার বাস দুর্ঘটনায় ১৪ জন নিহত ও ৩০ জনেরও বেশি আহত হয়েছেন।
স্থানীয় এক পুলিশ কর্মকর্তা জানান, রাজধানী ব্যাংকক থেকে দক্ষিণের সংখলা প্রদেশের দিকে যাওয়ার পথে প্রাচুয়াপ খিরি খান প্রদেশে দুর্ঘটনাটি ঘটে। ৪৯ জনকে বহনকারী বাসটি হাট ওয়ানাকর্ন জাতীয় উদ্যানের কাছে একটি গাছের সঙ্গে ধাক্কা খায়।
প্রাচুয়াপ খিরি খান প্রদেশ থাইল্যান্ড উপসাগর ও মিয়ানমার উপসাগরের মধ্যবর্তী একটি উপকূলীয় অঞ্চলে অবস্থিত।
হুয়ে ইয়াং পুলিশ স্টেশনের সুপারিনটেনডেন্ট উইরাপাট কেতেসা বলেন, ‘আমরা ধারণা করছি, চালক হয়তো ঘুমিয়ে পড়েছিলেন। দুর্ঘটনা থেকে বেঁচে যাওয়া চালকের রক্ত পরীক্ষার ফলাফলের জন্য কর্মকর্তারা অপেক্ষা করছেন।’
তিনি আরও বলেন, কী কারণে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে তা তদন্ত করে দেখছে পুলিশ।
পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, নিহতদের অধিকাংশই থাই এবং কয়েকজন বার্মিজ।
সাওয়াং রুংরুয়েং রেসকিউ ফাউন্ডেশন জানিয়েছে, আহত ৩৫ জনকে স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রে বন্দুক হামলায় ফের নিহত ২
পাকিস্তানের উত্তরাঞ্চলে যাত্রীবাহী বাসে গুলি, নিহত ৯
ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে বাস দুর্ঘটনায় নিহত ৩০
ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মিরে একটি যাত্রীবাহী বাস খাদে পড়ে কমপক্ষে ৩০ জন নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন প্রায় দুই ডজন মানুষ।
বুধবার (১৫ নভেম্বর) হিমালয়ের একটি মহাসড়ক থেকে বাসটি পড়ে গেলে এই হতাহতের ঘটনা ঘটে।
দেশটির বেসামরিক প্রশাসক হরবিন্দর সিং জানিয়েছেন, ৪২ আসনের বাসটি কিস্তওয়ার শহর থেকে দক্ষিণ জম্মু শহরের দিকে যাওয়ার পথে প্রায় ৬৬০ ফুট (২০০ মিটার) নিচে পাহাড়ি অঞ্চলের একটি পুরোনো রাস্তায় ছিটকে পড়ে যায়।
আরও পড়ুন: ভারতে বাস দুর্ঘটনায় নিহত ৪৫
স্থানীয়রা ও কর্তৃপক্ষ ঘটনাস্থলে গিয়ে দ্রুত উদ্ধার অভিযান শুরু করে।
সিং বলেন, আহতদের নিকটবর্তী স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। গুরুতর আহত অন্তত ১০ জনকে জম্মুর একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
তাৎক্ষণিকভাবে দুর্ঘটনার সঠিক কারণ জানা যায়নি।
আরও পড়ুন: ভারতে বাস দুর্ঘটনায় নিহত ১৩
ভারতে সড়ক দুর্ঘটনার হার বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে বেশি। দেশটিতে দুর্ঘটনায় প্রতি বছর লাখ লাখ মানুষ নিহত ও আহত হয়। বেপরোয়াভাবে গাড়ি চালানোর কারণেই বেশিরভাগ দুর্ঘটনা ঘটে। এ ছাড়া, সড়কের দুর্বল রক্ষণাবেক্ষণ ও পুরোনো যানবাহনও দুর্ঘটনার জন্য দায়ী।
গত বছর ভারতের পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্য গুজরাটে একটি শতাব্দীর পুরোনো ঝুলন্ত ব্রিজ ভেঙে নদীতে পড়ে শত শত মানুষ পানিতে ডুবে যায়। গত এক দশকের মধ্যে দেশের সবচেয়ে ভয়াবহ ওই দুর্ঘটনায় কমপক্ষে ১৩২ জন নিহত হয়।
আরও পড়ুন: ভারতে বাস দুর্ঘটনায় ১৫ জন নিহত
মিশরে বাস দুর্ঘটনায় ৩২ জনের মৃত্যু
মিশরের রাজধানী কায়রো এবং ভূমধ্যসাগরীয় শহর আলেকজান্দ্রিয়ার সংযোগকারী মহাসড়কে বাস দুর্ঘটনায় অন্তত ৩২ জন নিহত হয়েছেন।
স্থানীয় সময় শনিবার(২৮ অক্টোবর) সকালে সড়কে একটি যাত্রীবাহী বাস পার্ক করা একটি গাড়ির সঙ্গে ধাক্কা দিলে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বেশ কয়েকটি গাড়িতে আগুন লেগে অন্তত ৬৩ জন আহত হয়েছেন।
কায়রো-আলেকজান্দ্রিয়া মরুভূমি সড়কে দুর্ঘটনাস্থলথেকে আহতদের নিকটবর্তী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য অ্যাম্বুলেন্স পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
স্থানীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, বাসটি কায়রো যাওয়ার পথে পার্ক করা একটি গাড়ির সঙ্গে ধাক্কা লাগে। এতে অন্য গাড়িগুলোও বাসটির সঙ্গে ধাক্কা লাগলে কয়েকটিতে আগুন ধরে যায়।
আরও পড়ুন: মিশরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১৭
অনলাইনে ছড়িয়ে পড়া ফুটেজে দেখা গেছে, রাস্তার পাশে অনেক পুড়তে থাক গাড়ির আগুন নেভানোর চেষ্টা করছেন দমকল কর্মীরা। একটি ফুটেজে অনেক যানবাহনে আগুন লেগেছে এবং সেখান থেকে ঘন ধোঁয়া বের হতে দেখা গেছে।
দেশটির রাষ্ট্রীয় দৈনিক আল-আহরাম জানিয়েছে, কায়রো থেকে প্রায় ১৬০ কিলোমিটার উত্তরে নুবারিয়া শহরে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
মিশরের আবহাওয়া কর্তৃপক্ষ একদিন আগেই মহাসড়কে ঘন কুয়াশার বিষয়ে সতর্ক করেছিল বলে স্থানীয় প্রতিবেদনে বলা হয়।
মিশরের পরিবহন নিরাপত্তা রেকর্ড দুর্বলতার কারণে মারাত্মক সড়ক দুর্ঘটনায় প্রতি বছর হাজার হাজার মানুষের মৃত্যু হয়। বেশিরভাগ দুর্ঘটনা এবং সংঘর্ষের কারণ হলো দ্রুত গতি, খারাপ রাস্তা বা ট্র্যাফিক আইনের দুর্বল প্রয়োগ অন্যতম।
আরও পড়ুন: মিশরের নীল ডেল্টায় খালে বাস পড়ে ২১ জনের মৃত্যু
মেক্সিকোর দক্ষিণাঞ্চলে বাস দুর্ঘটনায় ১৬ অভিবাসী নিহত, আহত ২৯
ভেনেজুয়েলা ও হাইতি থেকে আসা অন্তত ১৬ অভিবাসী শুক্রবার মেক্সিকোর দক্ষিণাঞ্চলে বাস দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন।
মেক্সিকোর ন্যাশনাল ইমিগ্রেশন ইন্সটিটিউট প্রাথমিকভাবে ১৮ জনের মৃত্যুর খবর দিলেও পরে সংখ্যা কমিয়ে আনে। দক্ষিণাঞ্চলীয় ওক্সাকা রাজ্যের প্রসিকিউটররা পরে বলেছেন, কিছু লাশ টুকরো হয়ে যাওয়ায় অতিরিক্ত গণনা করা হয়েছে এবং প্রকৃত নিহতের সংখ্যা ১৬।
উভয় সূত্র জানিয়েছে, নিহতদের মধ্যে দুই নারী ও তিন শিশু রয়েছে এবং ২৯ জন আহত হয়েছে। তাদের অবস্থা সম্পর্কে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
ঘটনাস্থল থেকে পাওয়া ছবিতে দেখা যায়, দক্ষিণাঞ্চলীয় ওক্সাকা রাজ্যের মহাসড়কের একটি বাঁকা অংশে বাসটি উল্টে গেছে।
প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, গাড়িতে মোট ৫৫ জন অভিবাসী ছিলেন, যাদের বেশিরভাগই ভেনেজুয়েলার।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্র ও মেক্সিকোয় আঘাত হানতে যাচ্ছে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় হিলারি
মেক্সিকোয় অভিবাসন কেন্দ্রে অগ্নিকাণ্ডে ৩৯ জন নিহত
ইতালির ভেনিসের কাছে বাস দুর্ঘটনায় ইউক্রেনীয় পর্যটকসহ নিহত ২১
পুরাতন ভেনিস থেকে ভেনিসীয় লেগুনের ঠিক ওপারে ইতালির মেস্ট্রেতে বাস দুর্ঘটনায় কমপক্ষে ২১ জন নিহত এবং ১৮ জন আহত হয়েছেন।
ভেনিসের এক কর্মকর্তা বলেন, বাসটি ইউক্রেনীয়সহ বিদেশি পর্যটকদের বহন করার সময় মঙ্গলবার মার্ঘেরা সম্প্রদায়ের কাছে একটি ক্যাম্পিং সাইটে যাওয়ার পথে একটি উঁচু রাস্তা থেকে পড়ে যায়।
ভেনিস ফায়ার ফাইটার টিমের কমান্ডার মাউরো লুঙ্গো বলেন, ‘বাসের যাত্রীদের আগুন ঘিরে ফেলে। আমরা যে দৃশ্য পেয়েছি তা ছিল ভয়াবহ। কিছু লাশ বের করতেই প্রায় ঘণ্টাখানেক সময় লেগে যায়।’
আরও পড়ুন: জলবায়ু পরিবর্তনে আফ্রিকাকে ৩ বিলিয়ন ইউরো সহায়তা দেবে ইতালি: জি-২০ সম্মেলনে দেশটির প্রধানমন্ত্রী
ভেনিসের মেয়র লুইগি ব্রুগনারো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) বলেন, ‘দুর্ঘটনার দৃশ্যটি সর্বনাশা ছিল এবং শহরটিতে শোকের ছায়ায় ঘিরে ফেলে।’
ভেনিস শহরের কর্মকর্তা রেনাতো বোরাসো বলেন, পুরাতন শহর ভেনিস থেকে মাত্র ৯ কিলোমিটার (৩ দশমিক ৭ মাইল) উত্তর-পশ্চিমে মূল ভূখণ্ডে ঘটে যাওয়া এই দুর্ঘটনার পর আহতদের মধ্যে চারজনের অবস্থা গুরুতর। ভেনিসের প্রিফেক্ট (ঊর্ধতন কর্মকর্তা) মিশেল ডি বারি বলেন, নিহতদের মধ্যে দু’জন শিশু রয়েছে।
আহতদের ওই অঞ্চলের পাঁচটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, বাসটি কয়েক মিটার আগে মেস্ট্রের রেললাইনের কাছে পড়ে এবং এতে আগুন ধরে যায়।
ভেনেটো অঞ্চলের গভর্নর লুকা জাইয়া আরএআই রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনকে বলেন, দুর্ঘটনার কারণ এখনও অস্পষ্ট।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে ইতালির বিনিয়োগকারীদের প্রতি রাষ্ট্রপতির আহ্বান
মহারাষ্ট্রে বাস দুর্ঘটনার পর আগুন লেগে নিহত ২৫
পশ্চিম ভারতে শুক্রবার দিবাগত রাতে টায়ার বিস্ফোরণে বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের বিভাজকের সঙ্গে ধাক্কায় এবং গাড়িটিতে আগুন লেগে যায়। এতে ২৫ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে পুলিশ ও স্থানীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে।
পুলিশ কর্মকর্তা সুনীল কাদাসনে প্রেস ট্রাস্ট অব ইন্ডিয়াকে জানিয়েছেন, রাত দেড়টার দিকে মহারাষ্ট্র রাজ্যের বুলধানা জেলার একটি মহাসড়কে দুর্ঘটনার সময় বাসটিতে ৩৩ জন ছিলেন।
তিনি আরও জানান, বেঁচে যাওয়া আটজনকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: সিগন্যালিং সিস্টেমের ত্রুটির কারণে প্রাণঘাতী এই ট্রেন দুর্ঘটনা ঘটেছে: ভারতের রেলমন্ত্রী
বেসরকারি ট্রাভেল বাসটি নাগপুর থেকে পুনে শহরের দিকে যাচ্ছিল।
পুলিশ সূত্র বলছে যে বেপরোয়া গাড়ি চালানো, দুর্বল রক্ষণাবেক্ষণ করা সড়ক এবং পুরানো যানবাহনের কারণে ভারতে মারাত্মক সড়ক দুর্ঘটনা প্রায়শই ঘটে। ভারতে প্রতি বছর সড়ক দুর্ঘটনায় ১ লাখ ১০ হাজারেরও বেশি মানুষ মারা যায়।
আরও পড়ুন: তীব্র ঘূর্ণিঝড় ‘বিপর্যয়’: মোকাবিলায় প্রস্তুতি নিচ্ছে ভারত ও পাকিস্তান
ভারতে তীব্র তাপপ্রবাহের মধ্যে ঘন ঘন বিদ্যুৎ বিভ্রাট, হাসপাতালগুলোতে বেড়েই চলেছে মৃতের সংখ্যা
ভারতে মিউজিশিয়ানদের বহনকারী বাস দুর্ঘটনায় নিহত ১৩
ভারতের একটি মিউজিক দলের বেশ কিছু সদস্যকে বহনকারী বাস মহাসড়ক থেকে ছিটকে খাদে পড়ে ১৩ জন নিহত হয়েছে। এতে আহত হয়েছে আরও ২৯ জন।
শনিবার পশ্চিম ভারতে দুর্ঘটনায় এই হতাহত হয় বলে জানিয়েছে দেশটির পুলিশ।
বাসটি পুনে শহর থেকে ভারতের আর্থিক রাজধানী মুম্বাইয়ের পথে মহারাষ্ট্র রাজ্যে যাচ্ছিল, যেখানে সঙ্গীতশিল্পীরা একটি পারফরম্যান্স করেছিলেন।
পুলিশ কর্মকর্তা অতুল জেন্দে বলেছেন, তাৎক্ষণিকভাবে দুর্ঘটনার সঠিক কারণ জানা যায়নি।
জেন্দে বলেন, নিহত যাত্রীদের বেশিরভাগই মুম্বাই থেকে আসা সঙ্গীত দলের অংশ।
তিনি বলেন, উদ্ধারকর্মীরা বাসের ধ্বংসাবশেষ থেকে গুরুতর আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দুর্ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছেন এবং নিহতদের পরিবারকে আর্থিক সহযোগিতা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
বেপরোয়া ড্রাইভিং, সড়কের ক্রটিপূর্ণ রক্ষণাবেক্ষণ এবং পুরাতন যানবাহনের কারণে ভারতে প্রাণঘাতী সড়ক দুর্ঘটনা সাধারণ বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। পুলিশের মতে, গোটা ভারতে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রতি বছর এক লাখ ১০ হাজারেরও বেশি মানুষ মারা যায়।
সৌদি আরবে বাস দুর্ঘটনায় ১৩ বাংলাদেশি নিহত
সৌদি আরবের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে সোমবার এক দুর্ঘটনায় অন্তত ১৩ বাংলাদেশি ওমরাহযাত্রী নিহত ও ১৭ জন আহত হয়েছেন। যে ঘটনায় অন্তত ২৪ ওমরাহযাত্রী নিহত ও ২৩ জন আহত হয়েছেন।
বুধবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা এ কথা জানান।
নিহতরা হলেন নোয়াখালী জেলার সেনবাগের শরীয়ত উল্লার ছেলে শহিদুল ইসলাম, কুমিল্লা জেলার মুরাদনগরের আব্দুল আওয়ালের ছেলে মামুন মিয়া, একই এলাকার রাসেল মোল্লা, নোয়াখালী জেলার মোহাম্মদ হেলাল, লক্ষ্মীপুর জেলার সবুজ হোসাইন, কক্সবাজার জেলার মহেশখালীর মো. আসিফ ও সিফাত উল্লাহ, গাজীপুর জেলার আব্দুল লতিফের ছেলে মো. ইমাম হোসাইন রনি, চাঁদপুর জেলার কালু মিয়ার ছেলে রুক মিয়া, কুমিল্লা জেলার দেবিদ্বারের গিয়াস হামিদ, যশোর জেলার কাওসার মিয়ার ছেলে মোহাম্মদ নাজমুল ও ইস্কান্দারের ছেলে রনি এবং কক্সবাজার জেলার মোহাম্মদ হোসেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সেহেলী সাবরিন জানান, বাসটি ৪৭ জন ওমরাহযাত্রীকে মক্কায় নিয়ে যাচ্ছিল এবং তাদের মধ্যে ৩৫ যাত্রী ছিলেন বাংলাদেশি নাগরিক।
সোমবার বিকাল ৪টার দিকে জেদ্দা থেকে ৬৫০ কিলোমিটার দূরে সৌদি আরবের আসির প্রদেশে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, ব্রেক ফেইল হওয়ার পর বাসটি একটি সেতুর সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে উল্টে যায় এবং আগুনে পুড়ে যায়।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, লাশ পুড়ে যাওয়া ও বিকৃত হওয়ার কারণে জাতীয়তা নির্ণয় করা খুবই কঠিন।
জেদ্দায় বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দুর্ঘটনায় পতিত বাংলাদেশিদের সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে কনস্যুলেটের একটি দল পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: সৌদি আরবে সেতুর সঙ্গে বাসের ধাক্কায় নিহত ২০
সৌদি আরবের আসির প্রদেশের আভা জেলায় মর্মান্তিক বাস দুর্ঘটনায় ১৩ জন বাংলাদেশি অভিবাসী শ্রমিকের মৃত্যু ও ১৭ জন আহত হওয়ার দুর্ভাগ্যজনক সংবাদ পেয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গভীরভাবে শোকাহত।
জেদ্দার বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেলের দুই কর্মকর্তা ঘটনার পরপরই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন এবং হতাহতদের সহনাক্তকরণ ও বাংলাদেশে তাদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করছেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় যারা প্রাণ হারিয়েছেন এবং আহত ও হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন তাদের স্বজনদের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা জানিয়েছে এবং নিহতদের দ্রুত প্রত্যাবাসনের জন্য কাজ করছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সৌদি আরবের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে বাস দুর্ঘটনায় ২৪ জন ওমরাহযাত্রী নিহত ও প্রায় ২৩ জন আহত হওয়ার ঘটনায় গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন।
এক শোকবার্তায় তিনি নিহতদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত ও আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেন।
তিনি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা ও সৌদি মিশনের কর্মকর্তাদের বাংলাদেশি নাগরিকদের লাশ উদ্ধার এবং আহতদের যথাযথ চিকিৎসা নিশ্চিত করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন।
আরও পড়ুন: সৌদি আরবে সড়ক দুর্ঘটনায় বাংলাদেশির মৃত্যু
পানামায় বাস দুর্ঘটনায় ৩৯ অভিবাসী নিহত
পানামার পশ্চিমাঞ্চলে একটি যাত্রীবাহী বাস পাহাড় থেকে ছিটকে পড়লে অন্তত ৩৯ জন অভিবাসী নিহত ও প্রায় ২০ জন আহত হয়েছেন।
বুধবারের এই দুর্ঘটনায় কর্মকর্তারা তাৎক্ষণিকভাবে জাতীয়তার বিষয়ে কথা বলেননি। তবে অভিবাসীরা কলম্বিয়া থেকে দারিয়েন গ্যাপ অতিক্রম করেছে।
পানামা সরকার সাধারণত দারিয়েন সীমান্ত অতিক্রমকারী অভিবাসীদের পানামার ওপারে কোস্টারিকা সীমান্তের কাছে একটি শিবিরে স্থানান্তরিত করে। অভিবাসীরা বাসের টিকিটের জন্য অর্থ প্রদান করে এবং বাসগুলো কেবল অভিবাসীদের জন্য। যেখানে সাধারণত দু'জন চালক থাকে, পাশাপাশি ন্যাশনাল ইমিগ্রেশন সার্ভিসের কর্মীরাও।
পানামার ন্যাশনাল ইমিগ্রেশন সার্ভিসের পরিচালক সামিরা গোজাইন বলেন যে দেখে মনে হচ্ছে বাসচালক গুয়ালাকার একটি আশ্রয়কেন্দ্রের প্রবেশদ্বার অতিক্রম করেছিলেন এবং যখন তিনি মহাসড়কে ফিরে যাওয়ার জন্য গাড়ি ঘুরানোর চেষ্টা করেন, তখন বাসটি অন্য একটি বাসের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে পাহাড় থেকে ছিটকে পড়ে যায়।
আরও পড়ুন: সিরিয়ার উপকূলে অভিবাসীবাহী নৌকাডুবে ৩৪ জনের মৃত্যু
ঘটনাস্থল থেকে পাওয়া ছবিতে দেখা গেছে, আশ্রয়কেন্দ্র থেকে মাত্র কয়েকশ’ গজ দূরে বনাঞ্চলের একটি বাঁকে একটি ভাঙা গার্ডরেল (রেলিং) রয়েছে। বাসটি ৬৬ জন অভিবাসীকে নিয়ে লস প্লেনস আশ্রয়কেন্দ্রে যাচ্ছিল।
অ্যাম্বুলেন্স আহতদের ডেভিডের নিকটতম হাসপাতালে নিয়ে যায়।
প্রেসিডেন্ট লরেন্টিনো কর্টিজো এক টুইটার বার্তায় বলেছেন, ‘এই সংবাদটি পানামা ও এই অঞ্চলের জন্য দুঃখজনক।’
অন্তত এক দশকের মধ্যে পানামাতে অভিবাসীদের নিয়ে এটিই হচ্ছে সবচেয়ে ভয়াবহ দুর্ঘটনা। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে পানামা দিয়ে অভিবাসীদের প্রবাহ বৃদ্ধি পেয়েছে। কারণ তারা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উত্তরে যাওয়ার চেষ্টা করার সময় বিপজ্জনক ক্রসিংটি আরও ঝুঁকিপূর্ণ ছিল।
আরও পড়ুন: সীমান্ত টহল: টেক্সাসের রিও গ্র্যান্ডে ৮ অভিবাসীর লাশ উদ্ধার
মিশরের নীল ডেল্টায় খালে বাস পড়ে ২১ জনের মৃত্যু
মিশরের নীল নদের ডেল্টা অঞ্চলে খালে বাস পড়ে কমপক্ষে ২১ জন নিহত হয়েছে।
শনিবার দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়েছে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা ড. শেরিফ মাকেন বলেছেন, নিহতদের মধ্যে তিন শিশুও রয়েছে।
এক বিবৃতিতে মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, রাজধানী কায়রো থেকে প্রায় ১০০ কিলোমিটার (৬২ মাইল) উত্তর-পূর্বে দাকাহলিয়া প্রদেশে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। অন্যান্য আহত যাত্রীদের স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: মিশরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৭
প্রদেশটির পুলিশের তদন্ত বিভাগের প্রধান ব্রিগেডিয়ার মো. মোহাম্মদ আবদেল হাদি বলেন, চালক হয়তো গাড়ির স্টিয়ারিং-এর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেছিল।
দেশটির পরিবহন নিরাপত্তার রেকর্ড খারাপ হওয়ায় মারাত্মক ট্রাফিক দুর্ঘটনায় প্রতি বছর মিশরে হাজার হাজার প্রাণ ঝরে যায়। বেশিরভাগ সংঘর্ষ এবং দুর্ঘটনা ঘটে খারাপ রাস্তা বা ট্রাফিক আইনের দুর্বল প্রয়োগ এবং দ্রুতগতির কারণে।
জুলাই মাসে, দক্ষিণাঞ্চলীয় প্রদেশ মিনিয়ায় একটি হাইওয়েতে একটি যাত্রীবাহী বাস একটি পার্ক করা ট্রেলার ট্রাকের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে ২৩ জন নিহত এবং ৩০ জন আহত হয়।
কর্তৃপক্ষ জানায়, অক্টোবরে ডাকাহলিয়ায় একটি ট্রাক একটি মিনিবাসকে ধাক্কা দেয়। এতে অন্তত ১০ জন নিহত হয়।
আরও পড়ুন: মিশরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১৭
রোহিঙ্গা নির্যাতন: আন্তর্জাতিক আদালতে মিশরের সহযোগিতা চায় বাংলাদেশ