মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সম্ভাব্য অনুমোদনের কয়েকদিন আগে বুধবার এ অনুমোদন আসল।
কানাডার স্বাস্থ্য নিয়ন্ত্রক তাদের ওয়েবসাইটে এক পোস্টের মাধ্যমে জানিয়েছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফাইজার এবং জার্মানির বায়োএনটেকের তৈরি করা ভ্যাকসিন অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এই ভ্যাকসিন ইতিমধ্যেই যুক্তরাজ্য ও বাহরাইনে অনুমোদন দেয়া হয়েছে এবং শিগগিরই যুক্তরাষ্ট্রে অনুমোদন দেয়া হবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে।
কানাডার স্বাস্থ্য নিয়ন্ত্রকের প্রধান স্বাস্থ্য পরামর্শক ডা. সুপ্রিয়া শর্মা বলেন, ‘এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক।’
‘কানাডিয়ানরা আমাদের তীক্ষ্ণ পর্যালোচনা প্রক্রিয়ায় আস্থা রাখতে পারেন এবং ভ্যাকসিনটির সুরক্ষা, কার্যকারিতা ও মানদণ্ডগুলো নিখুঁত নিরীক্ষার মাধ্যমে প্রমাণিত হওয়ার পরই এর অনুমোদন দেয়া হয়েছে।’
কানাডার স্বাস্থ্য বিভাগ বলেছে যে অনুমোদনের শর্ত হিসেবে প্রস্তুতকারককে ভ্যাকসিনের সুরক্ষা, কার্যকারিতা এবং গুণগতমান সম্পর্কে তথ্য সরবরাহের বিষয়টি অব্যাহত রাখতে হবে।
কানাডা এই মাসে ২ লাখ ৪৯ হাজার ডোজ গ্রহণ করবে এবং কানাডিয়ান কর্মকর্তারা কয়েকদিনের মধ্যেই এগুলো প্রয়োগের ব্যবস্থা করবেন বলে আশা করছেন।
বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে ব্রিটেন গত মঙ্গলবার ফাইজার এবং বায়োএনটেকের ভ্যাকসিন প্রয়োগ শুরু করেছে।
আরও পড়ুন: যুক্তরাজ্যে করোনার টিকা প্রয়োগ শুরু
মঙ্গলবার মার্কিন নিয়ন্ত্রকরা ফাইজারের কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন সম্পর্কে তাদের প্রথম বৈজ্ঞানিক মূল্যায়নও প্রকাশ করেছেন এবং নিশ্চিত করেছেন যে এটি করোনা থেকে ভালো সুরক্ষা দেবে।
কানাডা জানিয়েছে যে এই ভ্যাকসিনটি ১৬ বছর বা তার বেশি বয়সীদের ক্ষেত্রে ব্যবহারের জন্য, তবে ফাইজার-বায়োএনটেক সব বয়সের বাচ্চাদের জন্য আরও ক্লিনিকাল ট্রায়াল চালিয়ে যাচ্ছে এবং এটি পরিবর্তিত হতে পারে।
কানাডা সম্প্রতি ফাইজারের সাথে চুক্তি সংশোধন করেছে যাতে তারা এই মাসে ২ লাখ ৪৯ হাজার ডোজ সরবরাহ করতে পারে। এর অর্থ হলো সর্বোচ্চ ঝুঁকির মধ্যে থাকা প্রায় ১ লাখ ২৪ হাজার ৫০০ কানাডিয়ান প্রথমে ভ্যাকসিনটি গ্রহণ করবেন। কেননা কয়েক সপ্তাহ পর এর আরও একটি ডোজ নিতে হবে।
ফাইজার ও বায়োএনটেক জানিয়েছে যে এটি ২০২১ সালের মধ্যে কানাডায় সর্বনিম্ন ২০ মিলিয়ন ডোজ সরবরাহ করবে।
কানাডা আরও ছয়টি ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারীদের সাথে যোগাযোগ করেছে এবং বর্তমানে মর্ডানাসহ তিনটি ভ্যাকসিন পর্যালোচনা করছে। কানাডার স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা জানিয়েছেন যে শিগগিরই মর্ডানার ভ্যাকসিন অনুমোদন দেয়া হতে পারে।