নির্বাচনে অবিস্মরণীয় জয়ের পর সাবেক প্রেসিডেন্ট রদ্রিগো দুতার্তের মেয়ে সারা দুতার্তে ফিলিপাইনের ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিয়েছেন। রবিবার দেশটির দক্ষিণের বন্দর নগরী দাভাওতে সিটি হলের কাছে একটি পাবলিক স্কয়ারে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
দেশটির সাবেক স্বৈরশাসক ফার্দিনান্দ মার্কোসের ছেলে সদ্য নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ফার্দিনান্দ মার্কোস জুনিয়র আগামী ৩০ জুন ম্যানিলায় শপথ নেবেন।
সুপ্রিম কোর্টের একজন সহযোগী বিচারকের সামনে তার মায়ের হাতে থাকা বাইবেলের ওপরে তার হাত রেখে সারা শপথ নেন।
শপথ নেয়ার পরে সবুজ ঐতিহ্যবাহী গাউন পরিহিত সারা তার বক্তৃতায় বলেন, ‘আমি ফিলিপাইন ও বিশ্বের সেরা বা সবচেয়ে বুদ্ধিমান ব্যক্তি নই। তবে ফিলিপিনো হিসাবে কেউ আমার হৃদয়ের দৃঢ়তাকে টলাতে পারবে না।
সারার বাবা প্রেসিডেন্ট রদ্রিগো দুতার্তে (৭৭) ১৯৮০’র দশকের শেষের দিকে মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। প্রেসিডেন্ট থাকার সময় তার বিরুদ্ধে নৃশংস মানবতাবিরোধী কর্মকাণ্ডের অভিযোগ ওঠে।
সারা দুতার্তে এবং মার্কোস জুনিয়রের নির্বাচনী বিজয় বামপন্থী এবং মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলিকে শঙ্কিত করেছে। কারণ তারা সাবেক স্বৈরশাসক ফার্দিনান্দ মার্কোসসহ তাদের বাবার অধীনে সংঘটিত ব্যাপক মানবাধিকার নৃশংসতা স্বীকার করেনি।
আরও পড়ুন: ফিলিপাইনের নতুন প্রেসিডেন্ট মার্কোস জুনিয়র
তিন সন্তানের মা ৪৩ বছর বয়সী সারা দুতার্তে দেশটির দাভাও সিটির বিদায়ী মেয়র। ২০১৬ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার আগে এটি ছিল তার বাবার নির্বাচনী এলাকা।
দুতার্তে একটি মেডিকেলে পড়াশোনা শেষ করেও পরবর্তীতে আইনজীবী এবং ফিলিপাইনের সেনাবাহিনীর রিজার্ভ অফিসার হিসেবে ক্যারিয়ার শুরু করেন এবং ২০০৭ সালে রাজনীতিতে প্রবেশ করেন। তিনি দাভাও এর ভাইস মেয়র হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন এবং তিন বছর পর মেয়র নির্বাচিত হন।
অনেক সমালোচকই তাকে তার বাবার তুলনায় অনেক বেশি ঠাণ্ডা মাথার মানুষ ও বাস্তববাদী বলে মনে করে।
দুতার্তের দল মূলত তাকে তার বাবার স্থলাভিষিক্ত করতে চেয়েছিল। কিন্তু এর বদলে তিনি নিজেই ভাইস-প্রেসিডেন্ট পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
ভাইস প্রেসিডেন্ট ছাড়াও তিনি শিক্ষা সচিব হিসেবে কাজ করতে রাজি হয়েছেন। যদিও তার প্রাথমিক পছন্দ ছিল জাতীয় প্রতিরক্ষা বিভাগের প্রধানের পদটি।