'‘আমেরিকা ঘুরে দাঁড়িয়েছে', উল্লেখ করে এক ঘোষণায় বাইডেন বলেন, ‘বিশ্ব থেকে মুখ ফিরিয়ে নয়, বরং বিশ্বকে নেতৃত্ব দেয়ার জন্য প্রস্তুত।’
বিবিসি’র প্রতিবেদনে বলা হয়, বাইডেনের ঘোষণা অনুমোদন পেলে এভ্রিল হাইনেস হবেন যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ইন্টেলিজেন্সের প্রথম নারী পরিচালক। আলেহান্দ্রো মায়োর্কাস হবেন প্রথম ল্যাটিনো হোমল্যান্ড সিকিউরিটি প্রধান।
এদিকে, ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রক্রিয়া শুরুর পক্ষে সম্মতি দিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। ফলে এখন থেকে সর্বোচ্চ গোপনীয় বা টপ সিক্রেট গোয়েন্দা তথ্য পেতে শুরু করবেন জো বাইডেন।
হস্তান্তর প্রক্রিয়া শুরু হওয়ায় বাইডেন এখন প্রতিদিন আন্তর্জাতিক হুমকি এবং নানা বিষয়ের তথ্যের পাশাপাশি সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ এবং দায়িত্বভার গ্রহণের প্রস্তুতির জন্য কয়েক মিলিয়ন ডলারের তহবিল পাবেন।
নতুন প্রশাসনে যারা আসছেন:
মঙ্গলবার ছয়জন প্রধান কর্মকর্তার নাম ঘোষণা করেছেন জো বাইডেন।
>>পররাষ্ট্র মন্ত্রী হিসাবে অ্যান্টনি ব্লিনকেন: ব্লিনকেন বলেন, বিশ্বের অন্যান্য দেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র খুব শীঘ্রই নম্রতা এবং আস্থার সঙ্গে সমতার সম্পর্ক গড়ে তুলবে।
>>জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক দূত জন কেরি: প্যারিস জলবায়ু সমঝোতার অন্যতম প্রধান উদ্যোক্তা ছিলেন জন কেরি, যে চুক্তি থেকে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রকে বের করে নিয়ে গিয়েছিলেন। কেরি বলেন, জলবায়ু সংকট সামলাতে বিশ্বকে অবশ্যই একতাবদ্ধ হতে হবে।
>>ন্যাশনাল ইন্টেলিজেন্সের পরিচালক হিসাবে এভ্রিল হাইনেস: বাইডেন বলেছেন, আমি একজন পেশাদার ব্যক্তিকে বেছে নিয়েছি... সত্য বলার মতো একজন সাহসী লোক।
>>হোমল্যান্ড সিকিউরিটি মন্ত্রী হিসাবে আলেহান্দ্রো মায়োর্কাস: মায়োর্কাস বলেন, সবাইকে নিরাপদ রাখা এবং সবাইকে গ্রহণ করে নেয়ার মতো একটি দেশের গর্বিত ইতিহাস রক্ষায় এই দপ্তরের মহান দায়িত্ব রয়েছে।
>>হোয়াইট হাউজের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা হিসাবে জ্যাক সুলিভান: জো বাইডেনের প্রশংসা করে সুলিভান বলেন, তার কাছ থেকে তিনি রাষ্ট্রের অনেক কায়দাকানুন শিখেছেন, তবে সবচেয়ে বেশি শিখতে পেরেছেন মানুষ সম্পর্কে।
>>জাতিসংঘে যুক্তরাষ্ট্রের দূত লিন্ডা থমাস-গ্রীনফিল্ড: তিনি বলেন, তার পেশার সঙ্গে দক্ষিণ লুইজিয়ানার শেকড় জড়িয়ে রয়েছে। সেখানকার একটি নাচ এবং রান্নার ধরণের সঙ্গে তুলনা করে তিনি প্রচলিত নিয়মের বাইরে গিয়ে বহুমাত্রিক কূটনীতির ইঙ্গিত দিয়েছেন।
এছাড়া ফেডারেল রিজার্ভের সাবেক প্রধান জ্যানেট ইয়েলেনকে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থমন্ত্রী করা হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে, যদিও সেই ঘোষণা এখনো আসেনি।
কেরি অথবা সুলিভান ছাড়া অন্যসব নিয়োগের ক্ষেত্রে সিনেটের অনুমোদন দরকার হবে। তবে সাধারণত কোনো নিয়োগ প্রত্যাখ্যাত হয় না। যদিও সর্বশেষ ১৯৮৯ সালে বেশ কিছু মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেয়া হয়েছিল।