শ্রীলঙ্কায় তীব্র অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যে মঙ্গলবার বিদেশি ঋণ পরিশোধ স্থগিত করার ঘোষণা দিয়েছে দেশটির সরকার।
দক্ষিণ এশিয়ার দেশটি দেউলিয়া হওয়ার দ্বারপ্রান্তে রয়েছে। দ্বীপ রাষ্ট্রটির বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভ হ্রাস পেয়েছে। আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে দেশটিকে ২৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিদেশি ঋণ পরিশোধ করা লাগবে। আর এ বছরই পরিশোধ করা লাগবে সাত বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
লঙ্কান অর্থ মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘১৯৪৮ সালে স্বাধীনতার পর থেকে বিদেশি ঋণ পরিশোধের ক্ষেত্রে শ্রীলঙ্কার নিখুঁত রেকর্ড রয়েছে। তবে করোনা মহামারি ও ইউক্রেনের সংঘাত শ্রীলঙ্কার আর্থিক অবস্থান এতটাই ক্ষতিগ্রস্ত করেছে যে বিদেশি সরকারি ঋণ পরিশোধ করা অসম্ভব হয়ে পড়েছে।’
আরও পড়ুন: গণবিক্ষোভের মুখে জরুরি অবস্থা প্রত্যাহার শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্টের
দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর নন্দলাল ওয়েরাসিংহে সাংবাদিকদের বলেন, বিদেশি ঋণ পরিশোধ স্থগিত করার ঘোষণাটি জরুরি ছিল। কেননা শ্রীলঙ্কার আগামী সপ্তাহে প্রায় ২০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার পরিশোধের কথা এবং যদি দেশটি সেই অর্থ সংগ্রহ করতে না পারে তবে এটি ‘হার্ড ডিফল্ট’ এর মুখোমুখি হবে যা খারাপ পরিণতির দিকে নিয়ে যাবে।
শ্রীলঙ্কানরা গ্যাস, জ্বালানি ও দুধ কিনতে দীর্ঘ লাইনে অপেক্ষা করতে বাধ্য হচ্ছেন এবং চিকিৎসকরা সতর্ক করে বলেছেন, সরকারি হাসপাতালে প্রয়োজনীয় ওষুধের বিপর্যয়কর ঘাটতি রয়েছে।
আরও পড়ুন: শ্রীলঙ্কার সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারালো ক্ষমতাসীন জোট
এদিকে তীব্র এ অর্থনৈতিক সংকটের কারণ হিসেবে প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসেকে দায়ী করে তার পদত্যাগের দাবিতে টানা চারদিনের মতো প্রেসিডেন্টের কার্যালয়ের আশ-পাশে বিক্ষোভ করেছেন বিক্ষোভকারীরা।
লঙ্কান প্রধানমন্ত্রী ও বর্তমান প্রেসিডেন্টের বড় ভাই মাহিন্দা রাজাপাকসে সোমবার রাতে এক ভাষণে জনগণকে আশ্বস্ত করে বলেছেন, সরকার দেশের আর্থিক সমস্যা সমাধানে কাজ করছেন।