এছাড়া প্রাণঘাতী এ ভাইরাসে এ পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৪ লাখ ৬৭ হাজার ৬৩৬ জনের এবং সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৪৪ লাখেরও বেশি মানুষ।
জেএইচইউর তথ্য অনুসারে, সোমবার পর্যন্ত ব্রাজিল ও রাশিয়া যথাক্রমে ১০ লাখ ৮৩ হাজার ৩৪১ এবং ৫ লাখ ৮৩ হাজার ৮৭৯ জন কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগী নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পর দ্বিতীয় এবং তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে।
রাশিয়ার পর সবচেয়ে বেশি করোনা আক্রান্ত রোগীর তালিকায় চতুর্থ স্থানে রয়েছে দক্ষিণ এশিয়ার দেশ ভারত। দেশটিতে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছে প্রায় ৪ লাখেরও বেশি মানুষ এবং মৃত্যু হয়েছে ১৩ হাজার ২৫৪ জনের।
করোনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্থ যুক্তরাষ্ট্রে এ পর্যন্ত ২২ লাখেরও বেশি মানুষ আক্রান্ত এবং মৃত্যু হয়েছে ১ লাখ ১৯ হাজার ৯৬৯ জনের।
যুক্তরাষ্ট্রের পর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে ব্রাজিলে। দেশটিতে এ পর্যন্ত করোনায় ৫০ হাজারেরও বেশি মানুষ মারা গেছে।
গত বছরের ডিসেম্বরে চীন থেকে সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর বিশ্বব্যাপী এ পর্যন্ত ২১৩টিরও বেশি দেশে ছড়িয়েছে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস। গত ১১ মার্চ করোনাভাইরাস সংকটকে মহামারি ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।
বাংলাদেশ পরিস্থিতি:
গত ৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্তের পর ১৮ মার্চ প্রথম একজনের মৃত্যু হয়। তবে সাম্প্রতিক সময়ে দেশে নতুন করে এ ভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে।
দেশে নতুন করে আরও ৩৫৩১ জনের শরীরে মহামারি করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যুবরণ করেছেন আরও ৩৯ জন।
রবিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় ১৩ হাজার ৭৭৯টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। আগের নমুনাসহ মোট পরীক্ষা করা হয়েছে ১৫ হাজার ৫৮৫টি। মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে পাঁচ লাখ ৯৬ হাজার ৫৭৯টি।
দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা এক লাখ ১২ হাজার ৩০৬ জন। শনাক্তের হার ২৩. ০৯ শতাংশ। সেই সাথে মারা গেছেন মোট এক হাজার ৪৬৪ জন। শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার ১.৩০ শতাংশ।
গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ৩৯ জনের মধ্যে পুরুষ ৩৫ এবং নারী চারজন। এদিকে, করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন আরও এক হাজার ৮৪ জন। এ নিয়ে দেশে মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪৫ হাজার ৭৭ জন।