ওয়ার্ল্ডোমিটার অনুসারে রবিবার সকাল পর্যন্ত মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছি ৪৭ লাখ ২০ হাজার ১৯৬ জনে।
এখন পর্যন্ত এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃতু হয়েছে ৩ লাখ ১৩ হাজার ২২০ জনের। এছাড়া আক্রান্তদের মধ্যে আরও ৪৪ হাজার ৮২৭ জন আশঙ্কাজনক অবস্থায় থাকায় মৃতের সংখ্যা আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
ওয়ার্ল্ডোমিটার থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, গত বছরের ডিসেম্বরে প্রথমবারের মতো চীনে শনাক্ত হওয়া করোনাভাইরাস মার্চ মাসের মাঝামাঝি সময়ে বাড়তে শুরু করে।
ভাইরাসটি বর্তমানে বিশ্বের ২১৩টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে।
বিশ্বের অন্যান্য দেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত এবং মৃতের সংখ্যা যুক্তরাষ্ট্রে। দেশটিতে এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন ১৫ লাখেরও বেশি মানুষ। মারা গেছেন ৯০ হাজার ১১৩ জন।
গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প চলতি বছরে বাজারে করোনার টিকা পাওয়া যাবে বলে আশাবাদ প্রকাশ করেন।
সম্প্রতি বাংলাদেশেও করোনাভাইরাস সংক্রমণের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। গত ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয় এবং ১৮ মার্চ প্রথম মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়।
বর্তমানে বাংলাদেশে নিশ্চিত করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ২০ হাজার ৯৯৫ জন এবং মৃত্যুর সংখ্যা ৩১৪ জন। সরকারি হিসাবে মৃত্যুর হার ১.৫ শতাংশ।
বাংলাদেশে এপ্রিলের মাঝামাঝি থেকে কোভিড-১৯ রোগী বাড়তে শুরু করে। এখনও পর্যন্ত ৪ হাজার ১১৭ জন রোগী সুস্থ হয়েছেন এবং চিকিৎসাধীন রয়েছেন ১৬ হাজার ৫৬৪ জন। তাদের মধ্যে একজনের অবস্থা গুরুতর।
করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে অপ্রয়োজনীয় সকল পরিষেবা বন্ধ করে দেয় সরকার। তবে সম্প্রতি কিছু খাত ধীরে ধীরে পুনরায় চালু করা হচ্ছে।
এ ভাইরাসের অর্থনৈতিক প্রভাব মোকাবিলায় একাধিক প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।