১২ আগস্ট আন্তর্জাতিক যুব দিবস উপলক্ষে এক বার্তায় তিনি বলেন, ‘তারা (যুবক) সামাজিক দূরত্বের সময়ে সামাজিক সংহতি প্রচার করছে, বিশ্বব্যাপী সহিংসতার অবসান ঘটাচ্ছে এবং ক্রমবর্ধমান বিদ্বেষের সময়ে সম্প্রীতির পক্ষে কথা বলছে।’
এ বছরের আন্তর্জাতিক যুব দিবসের প্রতিপাদ্য- ‘বৈশ্বিক কর্মে যুবশক্তি’- যুবকদের কণ্ঠস্বর এবং সক্রিয়তা যেভাবে একটি পার্থক্য তৈরি করছে এবং বিশ্বকে জাতিসংঘ সনদের মান এবং দৃষ্টিভঙ্গির নিকটে নিয়ে চলেছে তা স্পষ্ট করে।
জাতিসংঘের প্রধান বলেন, এ বছরের যুব দিবসটি এমন সময়ে এসেছে যখন যুবকদের জীবনযাত্রা এবং আকাঙ্খাগুলো কোভিড-১৯ বৈশ্বিক মহামারির কারণে সাধারণ নিয়মে চলছে না।
তিনি বলেন, কেউ কেউ প্রাণ হারিয়েছেন এবং অনেকে পরিবারের সদস্য এবং অন্যান্য প্রিয়জনদের হারাতে দেখেছেন।
গুতেরেস বলেন, ‘সংঘাত বা দুর্যোগে জর্জরিত যুবক শরণার্থী, বাস্তুচ্যুত ব্যক্তি, তরুণী এবং অন্যদের দুর্বলতা আরও তীব্র আকার ধারণ করেছে।’
তিনি বলেন, এ প্রজন্মের বেড়ে উঠা খুব বিপদে পড়েছে, তাদের প্রাপ্তবয়স্কতা, পরিচয় এবং স্বনির্ভরতার পদক্ষেপগুলো একেবারে নষ্ট হয়ে গেছে।
গুতেরেস বলেন, কেউ কেউ ক্ষুধার ঝুঁকি, বাড়িতে সহিংসতা বা পড়াশুনা আর কখনও করতে না পারার ঝুঁকিতে ভুগছেন।
তবে, এ প্রজন্মটি প্রাণবন্ত, করিতকর্মা এবং কর্মমুখী বলে তিনি জানান।
তারা সেই যুব সমাজ যারা জলবায়ুর বিষয়ে পদক্ষেপের দাবিতে সোচ্চার, গুতেরেস যোগ করেন।
জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, ‘তারা বর্ণবাদের বিরুদ্ধে এবং লিঙ্গ সমতার জন্য আন্দোলন করছেন এবং তারাই একটি অধিকতর টেকসই বিশ্বের রক্ষক।’
তিনি বলেন, অনেক তরুণী ন্যায়বিচার ও জলবায়ু বিষয়ক পদক্ষেপের জন্য আন্দোলনের ক্ষেত্রে প্রথম সারিতে রয়েছেন। পাশাপাশি কোভিড-১৯ রোধে প্রথম সারিতে কাজ করছেন।
গুতেরেস বলেন, এ প্রজন্মের সম্ভাবনার পূর্ণ ব্যবহারের জন্য তরুণদের অন্তর্ভুক্তি, অংশগ্রহণ, সংগঠন এবং উদ্যোগগুলোতে অনেক বেশি বিনিয়োগ করা প্রয়োজন।