এছাড়া প্রাণঘাতী এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৫৯ হাজার ৭৭ জন।
জেএইচইউর তথ্য অনুসারে, করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত দেশের তালিকায় যুক্তরাষ্ট্রের পর দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ব্রাজিল। বুধবার পর্যন্ত দেশটিতে আক্রান্ত হয়েছেন ২৪ লাখ ৮৩ হাজার ১৯১ জন এবং মারা গেছেন ৮৮ হাজারেরও বেশি মানুষ।
এদিকে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত দেশের তালিকায় তৃতীয় অবস্থানে উঠে এসেছে ভারত। দক্ষিণ এশিয়ার এ দেশটিতে এখন পর্যন্ত ১৪ লাখ ৮৩ হাজার ১৫৬ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন এবং মৃত্যু হয়েছে ৩৩ হাজার ৪২৫ জনের।
করোনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত যুক্তরাষ্ট্রে এ পর্যন্ত ৪৩ লাখের বেশি করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে এবং মারা গেছেন ১ লাখ ৪৯ হাজার ২৫৬ জন।
গত বছরের ডিসেম্বরে চীন থেকে সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর বিশ্বব্যাপী এ পর্যন্ত ২১৩টিরও বেশি দেশে ছড়িয়েছে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস। গত ১১ মার্চ করোনাভাইরাস সংকটকে মহামারি ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।
বাংলাদেশ পরিস্থিতি: মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দেশে মৃত্যুর সংখ্যা ৩ হাজারে পৌঁছেছে। সেই সাথে আক্রান্ত হিসেবে মোট শনাক্ত হয়েছেন ২ লাখ ২৯ হাজার ১৮৫ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক নাসিমা সুলতানা নিয়মিত অনলাইন ব্রিফিংয়ে মঙ্গলবার এ তথ্য জানিয়েছেন।
তার দেয়া তথ্য অনুযায়ী, দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে মৃত্যু হয়েছে ৩৫ জনের এবং শনাক্ত হয়েছেন ২ হাজার ৯৬০ জন।
নতুন মারা যাওয়াদের মধ্যে ২৬ জন পুরুষ এবং ৯ জন নারী। মোট ৩ হাজার মৃতের মধ্যে পুরুষ ২ হাজার ৩৫৮ জন বা ৭৮ দশমিক ৬০ শতাংশ এবং নারী ৬৪২ জন বা ২১ দশমিক ৪০ শতাংশ।
মোট শনাক্তের ক্ষেত্রে মৃত্যু হার এখন পর্যন্ত ১ দশমিক ৩১ শতাংশ।
নাসিমা সুলতানা জানান, দেশের ৮১টি ল্যাবে করোনাভাইরাস পরীক্ষা করা হচ্ছে। এসব ল্যাবে গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ১৩ হাজার ৭০টি এবং পরীক্ষা করা হয়েছে ১২ হাজার ৭১৪টি। এ নিয়ে দেশে মোট নমুনা পরীক্ষা করা হলো ১১ লাখ ৩৭ হাজার ১৩১টি।
নমুনা পরীক্ষার তুলনায় গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ২৩ দশমিক ২৮ শতাংশ। আর মোট পরীক্ষার ক্ষেত্রে শনাক্ত হয়েছেন ২০ দশমিক ১৫ শতাংশ।
করোনাভাইরাস থেকে গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন আরও ১ হাজার ৭৩১ জন। সব মিলিয়ে এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১ লাখ ২৭ হাজার ৪১৪ জন। সুস্থতার হার ৫৫ দশমিক ৫৯ শতাংশ।