শনিবার জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয় (জেএইচইউ) থেকে প্রকাশিত সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, সকাল পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ কোটি ১৫ লাখ ৯২ হাজার ৯৫ জনে।
এছাড়া কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা ১৪ লাখ ৪১ হাজার ৯৩৬ জনে দাঁড়িয়েছে।
আরও পড়ুন: অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কোভিড টিকা পেতে যাওয়া ১৭ দেশের মাঝে বাংলাদেশ
গত বছরের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। চলতি বছরের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাকে মহামারি ঘোষণা করে। এর আগে ২০ জানুয়ারি জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করে ডব্লিউএইচও।
করোনাভাইরাসে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এ পর্যন্ত দেশটিতে ১ কোটি ৩০ লাখ ৮৮ হাজার ২৮২ জন করোনায় আক্রান্ত এবং ২ লাখ ৬৪ হাজার ৯৪৪ জন মৃত্যুবরণ করেছেন।
পৃথিবীর দ্বিতীয় জনবহুল দেশ ভারত রয়েছে করোনায় আক্রান্ত দেশের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে। ল্যাটিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিল আক্রান্ত দেশের তালিকায় তৃতীয় স্থানে থাকলেও সর্বাধিক মৃতের সংখ্যায় রয়েছে দ্বিতীয় স্থানে।
দক্ষিণ এশিয়ার দেশ ভারতে মোট আক্রান্ত প্রায় ৯৩ লাখ ৯ হাজার ৭৮৭ মানুষ এবং মারা গেছেন ১ লাখ ৩৫ হাজার ৭১৫ জন। ব্রাজিলে মোট শনাক্ত রোগী প্রায় ৬২ লাখ ৩৮ হাজার ৩৫০ এবং মৃত্যু হয়েছে ১ লাখ ৭১ হাজার ৯৭৪ জনের।
রোগী শনাক্তের দিক দিয়ে তালিকার পরবর্তী কয়েকটি দেশ হলো- ফ্রান্স (২২ লাখ সাড়ে ৪৮ হাজার), রাশিয়া (২১ লাখ সাড়ে ৯৬ হাজার), স্পেন (১৬ লাখ ২৮ হাজারের বেশি) ও যুক্তরাজ্য (১৫ লাখ ৯৩ হাজারের বেশি)।
মৃতের দিক দিয়ে বিশ্বে চতুর্থ স্থানে আছে মেক্সিকো (১ লাখ ৪ হাজার ২৪২ জন)। তারপরে যুক্তরাজ্যে ৫৭ হাজার ৬৪৮ জন, ইতালিতে ৫৩ হাজার ৬৭৭ জন, ফ্রান্সে ৫১ হাজার ৯৯ জন ও ইরানে ৪৭ হাজার ৯৫ জন মারা গেছেন।
বাংলাদেশ পরিস্থিতি
প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে আরও ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে শুক্রবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
এ নিয়ে দেশে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৬ হাজার ৫৪৪ জনে।
এছাড়া, নতুন করে ২ হাজার ২৭৩ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হওয়ায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৪ লাখ ৫৮ হাজার ৭১১ জনে পৌঁছেছে।
এদিকে, করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন আরও ২ হাজার ২২৩ জন। এ নিয়ে দেশে মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ৭৩ হাজার ৬৭৬ জনে। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮১ দশমকি ৪৬ শতাংশ।
গত ৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্তের পর ১৮ মার্চ প্রথম একজনের মৃত্যুর কথা জানায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।