জাতীয় কোভিড-১৯ টিকাদান কার্যক্রমের প্রস্তুতি ও বাস্তবায়ন পরিকল্পনা নিয়ে বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত জরুরি সভায় এ তথ্য জানানো হয়।
সভায় করোনা টিকার ব্যবহার পরিকল্পনা নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর একটি পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন দেয়।
বাংলাদেশ সরকার, সিরাম ইনস্টিটিউট ইন্ডিয়া ও বেক্সিমকো ফার্মাসিটিক্যালস লিমিডেটের মধ্যে চুক্তি অনুযায়ী বাংলাদেশ অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা উদ্ভাবিত কোভিড-১৯ টিকার তিন কোটি ডোজ ক্রয় করবে। এ টিকা দুই থেকে আট ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রায় সংরক্ষণযোগ্য, যা বাংলাদেশে বিদ্যমান রয়েছে। প্রথম ডোজ নেয়ার ২৮ দিন পর দ্বিতীয় ডোজ প্রয়োগ করা হবে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ কোভিড-১৯ টিকা আসলে কবে পেতে পারে?
টিকার পর্যায় ভিত্তিক প্রাপ্যতা বিবেচনা করে প্রাথমিকভাবে কোভিড-১৯ সংক্রামণের সর্বোচ্চ ঝুঁকিতে থাকা জনগোষ্ঠী টিকা প্রাপ্তির ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাবেন। তাদের মাঝে রয়েছেন মহামারি মোকাবিলায় নিয়োজিত স্বাস্থ্য কর্মী, সম্মুখসারির কর্মী, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাহীন জনগোষ্ঠী, বয়োজ্যেষ্ঠ জনগোষ্ঠী, দীর্ঘ মেয়াদি রোগে আক্রান্ত প্রাপ্তবয়স্ক জনগোষ্ঠী, শিক্ষা কর্মী এবং গণপরিবহন কর্মী।
টিকাদান কার্যক্রম আরম্ভ হওয়ার আগে অগ্রাধিকার প্রাপ্ত জনগোষ্ঠীর তালিকা প্রণয়ন এবং টিকা প্রদানে জাতীয়, জেলা এবং উপজেলা পর্যায়ে মনিটরিং কমিটি গঠন করা হবে মর্মে সভায় সিদ্ধান্ত হয়।
প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালিক। তিনি প্রধানমন্ত্রীর উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, বাংলাদেশের সব জনগোষ্ঠী পর্যায়ক্রমে করোনা টিকা পাবে।
আরও পড়ুন: বৃদ্ধদের মাঝে শক্তিশালী প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তুলতে পারে অক্সফোর্ডের টিকা
এ সময় বেক্সিমকো ফার্মার ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজমুল হাসান পাপন উল্লেখ করেন, বিশ্বের যে ১৭ দেশ অগ্রাধিকার ভিত্তিতে করোনার টিকা পাচ্ছে তার মধ্যে বাংলাদেশ একটি।
এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক জুয়েনা আজিজ ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া এছাড়াও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সচিব ও মহাপরিচালক, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতিনিধি, জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা সভায় উপস্থিত ছিলেন।