বিষাক্ত মদ খেয়ে ভারতের দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য তামিলনাড়ুতে অন্তত ২৯ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় চিকিৎসাধীন রয়েছে আরও অন্তত ৬০ জন। তবে নিহতের সংখ্যা আরও বাড়াতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
তামিলনাড়ুর কাল্লাকুরিচি জেলায় বুধবার সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে। হঠাৎ একসঙ্গে বহু মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়লে হাসপাতালে নেয়ার পর ২৫ জনের মৃত্যু হয়। এর পর থেকে নিহতের সংখ্যা বেড়ে চলেছে।
বৃহস্পতিবার (২০ জুন) কাল্লাকুরিচি জেলা কালেক্টর এমএস প্রশান্ত ২৯ জনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এছাড়া ৬০ জনের বেশি ব্যক্তি হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন বলেও জানিয়েছেন তিনি।
বুধবার রাতে কাল্লাকুরিচি সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মোট ১০৭ জনকে ভর্তি করা হয়। পরে তাদের মধ্যে ৫৯ জনকে সালেম, ভিলুপুরম ও পুদুচেরির হাসপাতালে পাঠানো হয়। এছাড়া জওহরলাল ইনস্টিটিউট অফ পোস্ট গ্রাজুয়েশন মেডিকেল এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টারে আরও ১৫ জনতে ভর্তি করা হয়।
আরও পড়ুন: ভারতে বিনোদন পার্কে আগুন, ২৭ জন নিহত
নিহত ২৯ জনের মধ্যে ১৮ জনের মৃত্যু হয় কাল্লাকুরিচি সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। বাকি ১১ জন অন্যান্য হাসপাতালগুলোতে মারা যান।
এ ঘটনার পর বুধবার রাতেই জেলা কালেক্টর শ্রাবণ কুমার জাটাবথকে বদলি এবং পুলিশ সুপার সময় সিং মীনাকে বরখাস্ত করেছে তামিলনাড়ু সরকার। এরপর এমএস প্রশান্তকে নতুন জেলা কালেক্টর এবং রজত চতুর্বেদীকে নতুন পুলিশ সুপার হিসেবে নিযুক্ত করা হয়।
এই ঘটনায় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্ট্যালিনের পদত্যাগও দাবি করেছেন রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল এআইএডিএমকের সাধারণ সম্পাদক এডাপ্পাদি কে পালানিস্বামী।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেওয়া এক পোস্টে তিনি রাজ্য সরকারকে এই ঘটনার জন্য দায়ী করেছেন।
তবে এই ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে দোষীদের বিরুদ্ধে কঠিন পদক্ষেপ নেওয়ার কথা জানিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী স্ট্যালিন। পাশাপাশি নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন: ভারতে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১২
সেখানে তিনি লিখেছেন, ‘এই ঘটনায় আমি স্তম্ভিত। কাল্লাকুরিচিতে বিষাক্ত মদ খেয়ে যাদের মৃত্যু হয়েছে তাদের পরিবারের প্রতি আমি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি। যারা এই ঘটনার জন্য দায়ী তাদের প্রত্যেককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পাশাপাশি যে কর্মকর্তারা এই কাণ্ড রুখতে ব্যর্থ হয়েছেন তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।’
তিনি আরও বলেছেন, ‘এ ধরনের অপরাধের সঙ্গে জড়িতদের বিষয়ে তথ্য দিলে তাদের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সমাজকে ধ্বংস করে- এমন অপরাধগুলোকে শক্ত হাতে দমন করা হবে।’