স্থানীয় এপির অনুরোধে কেন্দ্রীয় পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় এ সিদ্ধান্ত নেয় বলে টাইমস অব ইন্ডিয়ার সংবাদে জানানো হয়েছে।
ভারতের বিরোধী দল কংগ্রেসের সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধি কেন্দ্রীয় সরকারকে উত্তর প্রদেশ ও বিহারের বন্যা পরিস্থিতির প্রতি নজর দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি জানান, বন্যায় দুই রাজ্যে ৪৮ জন মারা গেছেন। তাদের মধ্যে বিহারে মৃত্যু হয়েছে ১৩ জনের।
জিনিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়, সোমবার ফারাক্কার সব গেট খুলে দেয়ায় পশ্চিবঙ্গের মুর্শিদাবাদের একাংশ ও বাংলাদেশে বন্যার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। মালদা জেলার ফুলহর, মহানন্দা ও কালিন্দী নদীতে পানি বাড়ছে। সেখানে একাধিক জায়গায় নদীর বাঁধ ভেঙে প্লাবিত হয়েছে বিস্তীর্ণ এলাকা। চরম বিপদসীমার ওপর দিয়ে বইছে গঙ্গা ও ফুলহর।
এদিকে ইউএনবির রাজশাহী প্রতিনিধি জানিয়েছে, হঠাৎ করে সব গেট খুলের দেয়ার বিষয়ে রাজশাহী পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী (চলতি দায়িত্ব চাঁপাইনবাবগঞ্জ) সৈয়দ সাহিদুল আলম বলেন, সোমবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত এক দিনে ১১ সেন্টিমিটার পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে ধারণা করা হচ্ছে হয়তো সব গেট খুলে দেয়া হয়েছে। এছাড়াও টানা বর্ষণের কারণেও পদ্মার পানি বেশী বৃদ্ধি পাচ্ছে।
তিনি জানান, বর্তমানে রাজশাহী পয়েন্টে পদ্মায় পানি প্রবাহিত হচ্ছে ১৭ দশমিক ৯৮ সেন্টিমিটারে। দুই দিনের মধ্যে বিপদসীমা ১৮ দশমিক ৫০ সেন্টিমিটার অতিক্রম করতে পারে। এতে বন্যার আশঙ্কা রয়েছে।