তবে একই সাথে টিকার ক্ষেত্রে সংরক্ষণের বিষয়টি এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ বলে তারা জানিয়েছে, খবর এনপিআর।
মডার্না ইনকরপোরেশন দাবি করেছে, তাদের তৈরি করোনা ভ্যাকসিন মহামারি ঠেকাতে প্রায় ৯৫ শতাংশ কার্যকর। চার সপ্তাহের ব্যবধানে প্রায় ৩০ হাজার করোনা রোগীর দেহে টিকা পরীক্ষা চালানো হয়। ফলাফলে দেখা যায়, ভ্যাকসিনটি ৯৪.৫ শতাংশ কার্যকর।
এদিকে, করোনাভাইরাসের টিকার অগ্রগতি বিষয়ে ফাইজার জানায়, তাদের টিকা করোনাভাইরাস থেকে ৯০ শতাংশ পর্যন্ত সুরক্ষা দিতে পারে। তবে তারা এফডিএর কাছে অনুমোদন চাওয়ার আগে যথেষ্ট সুরক্ষা তথ্য পাওয়ার জন্য অপেক্ষা করবে।
মডার্না ও ফাইজার দুটি টিকা প্রস্তুতের ক্ষেত্রে একই প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে। দুটি টিকার ক্ষেত্রেই পরীক্ষার তৃতীয় বা চূড়ান্ত ধাপে একই রকম সুরক্ষা ও কার্যকারিতার তথ্য পাওয়া গেছে। সে বিবেচনায় উভয় আবেদনই গ্রহণযোগ্য হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
ফাইজারের টিকাটি জটিল ধরনের। এটি মাইনাস ৭০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় রাখতে হয়। চিকিৎসকের কার্যালয় বা ফার্মাসিতে সাধারণত এ ধরনের শীতলীকরণ যন্ত্র থাকে না। এমনকি যুক্তরাষ্ট্রের অনেক উন্নত স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও হাসপাতালে জটিল ও সুপার-কোল্ড স্টোরেজ সুবিধা নেই।
মডার্না বলছে যে তাদের টিকাটিও হিমশীতল করা প্রয়োজন, তবে কেবল নিয়মিত ফ্রিজারের মতো মাইনাস ২০ সেলসিয়াসে রাখলেই হবে।
জনস্বাস্থ্যের উপর দৃষ্টি দেয়া আন্তর্জাতিক অলাভজনক সংস্থা পিএটিএইচের টিকা উদ্ভাবন এবং সরবরাহ চেইনের দেবর ক্রিস্টেনসেন এনপিআরকে বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি এটি করা সম্ভব। উদাহরণস্বরূপ, কয়েকটি আফ্রিকার দেশগুলোতে সফলভাবে ইবোলা টিকা ব্যবহার করা হয়েছিল এবং অতি-ঠান্ডা অবস্থার প্রয়োজন ছিল।’
তিনি বলেন, ‘এই পরিস্থিতিতে টিকা বিতরণ’সম্ভব, তবে এটি অবশ্যই আরও ব্যয়বহুল এবং আরও কঠিন হতে চলেছে।’
এই ঠান্ডা তাপমাত্রার মাধ্যমে উপস্থাপিত চ্যালেঞ্জগুলো সম্পর্কে ফাইজার উদ্বেগকে শান্ত করার চেষ্টা করেছেন। এটি শুকনো বরফের সাথে ডোজগুলো শীতল রাখার জন্য নিজস্ব প্যাকেজিং ডিজাইন করেছে, যাতে বিশেষায়িত ফ্রিজ ছাড়াই কয়েক সপ্তাহের জন্য সেগুলো সংরক্ষণ করা যায় (প্যাকেজিংটি অনানুষ্ঠানিকভাবে ‘পিৎজা বাক্স’নামে পরিচিত)।
মডার্নার টিকা সম্পর্কে ক্রিস্টেনসেন বলেন, ‘অনেক বেশি স্ট্যান্ডার্ড ফ্যাশনে বিতরণ করা যেতে পারে-স্বাস্থ্যকর্মীরা এটির সুযোগ-সুবিধাগুলোতে অভ্যস্ত-এটি আরও নরমাল।’