ফর্টিফাই রাইটসের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এবং সহ-প্রতিষ্ঠাতা ম্যাথিউ স্মিথ বলেন, ‘পরিচয় এবং নাগরিকত্ব অস্বীকার করা গণহত্যার অন্ধকার এক দিক এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে তা স্বীকৃতি দিয়ে জরুরি ভিত্তিতে এ বিষয়ে কাজ করতে হবে।
বৃহস্পতিবার ফর্টিফাই রাইটস জানিয়েছে, মিয়ানমারের আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে প্রার্থী দেয়ার ক্ষেত্রে রোহিঙ্গা নেতৃত্বাধীন রাজনৈতিক দলগুলোর অধিকার নিশ্চিত করা উচিত।
সম্প্রতি মিয়ানমারের সিত্ত্বয়ে জেলার নির্বাচন কমিশন ডেমোক্রেসি অ্যান্ড হিউম্যান রাইটস পার্টির (ডিএইচআরপি) রোহিঙ্গা সদস্য আবদুল রশিদের প্রার্থীতা নিবন্ধন প্রত্যাখ্যান করেছে।
ফর্টিফাই রাইটস’র তথ্য অনুসারে, আরও কয়েক ডজন রোহিঙ্গা প্রার্থী নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধনের জন্য নথি জমা দিয়েছেন।
নিজের প্রার্থিতা বাতিল হয়ে যাওয়ার বিষয়ে আবদুল রশিদ ফর্টিফাই রাইটসকে বলেন, ‘তারা সংসদে রোহিঙ্গা প্রতিনিধিত্ব চায় না এবং এটি হলো একমাত্র কারণ। কেন রোহিঙ্গাদের জন্য এতো বাধা? কেন রোহিঙ্গাদের জন্য আলাদা আলাদা প্রশ্ন? এসবই আমার প্রশ্ন।’
আবদুল রশিদের আবেদন প্রত্যাখ্যান করার সময় সিত্ত্বয়ে জেলা নির্বাচন কমিশন একটি চিঠি জারি করেছিল, যেটি ফর্টিফাই রাইটস কর্তৃপক্ষ দেখেছিল। ১৭ সদস্য দ্বারা স্বাক্ষরিত ওই চিঠিতে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, ‘আবদুল রশিদের জন্মের সময় তার বাবা-মা মিয়ানমারের নাগরিক ছিলেন না।’
তবে আবদুল রশিদ তার জন্মের সময় তার পিতা-মাতার নাগরিকত্ব প্রমাণের নথিপত্র নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তাদের কাছে জমা দিয়েছিলেন এবং উল্লেখ করেছিলেন যে তার বাবা ৩০ বছরেরও বেশি সময় ধরে মিয়ানমারের সরকারি বেসামরিক কর্মচারী ছিলেন। এ বিষয়ে আপিল করার পরিকল্পনা করছেন তিনি।
ফর্টিফাই রাইটসের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ম্যাথিউ স্মিথ বলেন, ‘এই প্রত্যাখ্যান বৈষম্যমূলক এবং রোহিঙ্গাদের ওপর চলমান গণহত্যার সাথে এটি সম্পর্কিত।’