মিয়ানমারে একটি স্কুল ও গ্রামে হেলিকপ্টার হামলা চালিয়ে সাত শিশুসহ অন্তত ১৩ জনকে হত্যা করেছে করেছে দেশটির জান্তা সরকার।
সোমবার (১৯ সেপ্টেম্বর) হামলার শিকার স্কুলটির প্রশাসক এবং একজন উদ্ধারকর্মী এ তথ্য জানিয়েছেন।
সরকারের সামরিক হামলায় দেশটির গণতন্ত্রপন্থী সাধরণ মানুষ ও বিদ্রোহীদের মধ্যে প্রায়ই হতাহতের ঘটনা ঘটে। গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে অং সান সুচির নির্বাচিত সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করে সেনাবাহিনী ক্ষমতা দখলের পর থেকে গত শুক্রবারের সাগাইং অঞ্চলের তাবায়িন শহরে বিমান হামলায় নিহত শিশুর সংখ্যা সর্বোচ্চ বলে মনে করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: মিয়ানমারের সামরিক সরকারের অর্থ ও অস্ত্র সরবরাহ কমাতে পদক্ষেপের আহ্বান জাতিসংঘের
শুক্রবারের হামলাটি চালানো হয়েছে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর মান্দালয়ের উত্তর-পশ্চিমে প্রায় ১১০ কিলোমিটার(৭০ মাইল) দূরের তাবায়িনের লেট ইয়েট গ্রামে, যা ডেপাইন নামেও পরিচিত।
স্কুলের প্রশাসক মার মার বলেছেন, তিনি ছাত্রদের নিচতলার ক্লাসরুমে নিরাপদে লুকিয়ে রাখার চেষ্টা করছেন যখন গ্রামের উত্তরে ঘোরাফেরা করা চারটি এমআই-৩৫ হেলিকপ্টারগুলো মেশিনগান এবং ভারী অস্ত্রের সাহায্যে গ্রামের বৌদ্ধ বিহার প্রাঙ্গণের দু’টি স্কুলে হামলা চালাতে শুরু করে।
তিনি বলেন, কোনো ঘটনা ছাড়াই বিমানটি আগে গ্রামের উপর দিয়ে যাওয়ার কারণে তিনি কোনও সমস্যা মনে করেননি।
সোমবার ফোনে অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসকে মার মার বলেন, ‘যেহেতু ছাত্ররা কোনো ভুল করেনি, আমি কখনই ভাবিনি যে তাদের মেশিনগান দিয়ে নির্মমভাবে গুলি করা হবে।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে উত্তেজনা: ৩০০ পরিবারকে সরিয়ে নেয়ার পরিকল্পনা
মার মার আরও বলেন, ‘আমি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে শিশুদের হত্যার বিচার চাই। মানবিক সাহায্যের পরিবর্তে, আমাদের প্রকৃতপক্ষে যা প্রয়োজন তা হল প্রকৃত গণতন্ত্র এবং মানবাধিকার ‘
‘মিয়ানমার নাউ’ নামের একটি অনলাইন নিউজ সার্ভিস এবং অন্যান্য স্বাধীন মিয়ানমার গণমাধ্যমও হামলা এবং ছাত্রদের মৃত্যুর খবর দিয়েছে।
জাতিসংঘের শিশু অধিকার কমিটি গত জুন মাসে বলেছে, দেশটিতে সামরিক অভ্যুত্থানের পর থেকে স্কুল ও শিক্ষা কর্মীদের ওপর ২৬০টি হামলার ঘটনা নথিভুক্ত করেছে।
আরও পড়ুন: মিয়ানমারের বিরুদ্ধে নিষ্পত্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়ার দাবি আন্তর্জাতিক আইনপ্রণেতাদের