আগামী শনিবার পারমাণবিক কূটনীতি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সাথে পুনরায় আলোচনায় বাসার ঘোষণা দেয়ার কয়েক ঘণ্টা পরই উত্তর কোরিয়া তাদের সম্প্রসারিত সামরিক সক্ষমতার এ নিদর্শন দেখাল।
দক্ষিণ কোরিয়ান কর্মকর্তারা জানান, ক্ষেপণাস্ত্রটি উত্তর কোরিয়ার পূর্বাঞ্চলে পানি থেকে নিক্ষেপ করা হয়েছে। যার অর্থ হলো এটি হয়তো ডুবোজাহাজ থেকে ছোড়া হয়েছে। তবে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিরক্ষা কর্মকর্তারা আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করেননি যে ক্ষেপণাস্ত্রটি ডুবোজাহাজ, জাহাজ বা অন্য কোনো সম্ভাব্য ভাসমান কাঠামো থেকে নিক্ষেপ করা হয়েছে কি না।
উত্তর কোরিয়ার ডুবোজাহাজ থেকে ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ার সক্ষমতা থাকা হবে উদ্বেগজনক। কারণ এমন অস্ত্র আগেভাগে শনাক্ত করা কঠিন।
সিউলের জয়েন্ট চিফ অব স্টাফের তথ্য অনুযায়ী, ক্ষেপণাস্ত্রটি কোরিয়ান উপদ্বীপ ও জাপানের মাঝে পতিত হওয়ার আগে প্রায় ৪৫০ কিলোমিটার উড়ে যায়।
এর আগে জাপানের মুখ্য মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, উত্তর কোরিয়া তাদের পূর্ব উপকূল থেকে দুটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে এবং তার একটি মনে হয় সমুদ্রে জাপানের বিশেষায়িত অর্থনৈতিক অঞ্চলে পড়েছে। তবে এতে জাপানি নৌযান বা উড়োজাহাজ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে এ নিক্ষেপের নিন্দা জানিয়ে বলেছেন, উত্তর কোরিয়া জাতিসংঘের রেজুলেশন লঙ্ঘন করেছে।
এদিকে, উত্তর কোরিয়ার পররাষ্ট্র দপ্তরের ফাস্ট ভাইস মিনিস্টার চো সুন হোই এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, শনিবার যুক্তরাষ্ট্রের সাথে ওয়ার্কিং-লেভেল আলোচনা শুরুর আগে শুক্রবার দুই দেশ প্রাথমিক যোগাযোগ করবে। তবে আলোচনা কোথায় হবে তা তিনি জানাননি।