রাজ্যের স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, শনাক্ত হওয়া রোগীর বয়স প্রায় ২০। তিনি বর্তমানে ডেনভারের দক্ষিণ-পূর্বে আইসোলেশনে রয়েছেন। সাম্প্রতিক সময়ে তার ভ্রমণের কোনো ইতিহাস নেই।
ডেনভার হলো কলোরাডোর দ্বিতীয় জনবহুল অঙ্গরাজ্য।
আলবার্ট কাউন্টির জনস্বাস্থ্যের পরিচালক ডোয়াইন স্মিথের মতে, রাজ্যে এই রূপটির দ্বিতীয় সন্দেহজনক ঘটনা রয়েছে। দুজন লোক সিমলার আলবার্ট কাউন্টি সম্প্রদায়ের সাথে কাজ করছিল। তাদের কেউই এই কাউন্টির বাসিন্দা নয়। এখন পুরো রাজ্যটিতে করোনার এই রূপটির বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: করোনায় বিশ্বব্যাপী আক্রান্ত ৮ কোটি সাড়ে ১৯ লাখ ছাড়াল
কলোরাডো স্টেট ল্যাবরেটরি ভাইরাসটির রূপটি নিশ্চিত করেছে এবং রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্রগুলোকে অবহিত করা হয়েছে।
যুক্তরাজ্যের বিজ্ঞানীরা মনে করেন যে করোনার এ রূপটি পূর্ব নির্ধারিত স্ট্রেনের (ধরন) চেয়ে বেশি সংক্রমক।
কলোরাডোর স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, এখন যে ভ্যাকসিন দেয়া হচ্ছে তা নতুন রূপের করোনার বিরুদ্ধেও কার্যকর বলে মনে করা হচ্ছে।
অঙ্গরাজ্যের স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা বলছেন, করোনার নতুন ধরনে সংক্রমিত রোগীর সান্নিধ্যে কারা কারা এসেছিলেন, তাদের শনাক্তে তারা কাজ করছেন। এ ছাড়া আরও কেউ এই ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন কি না, তা তারা যাচাই করে দেখছেন।
পোলিস বলেন, ‘এই নতুন কোভিড-১৯ রূপটি সম্পর্কে আমরা অনেক কিছুই জানি না, তবে যুক্তরাজ্যের বিজ্ঞানীরা বিশ্বকে সতর্ক করে দিচ্ছেন যে এটি উল্লেখযোগ্যভাবে আরও সংক্রামক হবে।’
‘কলোরাডার স্বাস্থ্য ও সুরক্ষা আমাদের সবচেয়ে অগ্রাধিকার এবং আমরা এটি শনাক্তের পাশাপাশি খুব ভালোভাবে সব কোভিড-১৯ সূচক পর্যবেক্ষণ করব,’ বলেন তিনি।
আরও পড়ুন: দ. কোরিয়ায় নতুন ধরনের করোনাভাইরাসে আক্রান্ত প্রথম রোগী শনাক্ত
সাড়ে ৫ কোটি মানুষকে ভ্যাকসিন দিতে এক বছরের বেশি সময় লাগবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
পোলিস ও রাজ্যের স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা বুধবার একটি সংবাদ সম্মেলনে আরও বিস্তারিত তুলে ধরবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে নতুন ধরনের এই করোনাভাইরাসের রোগী শনাক্ত হচ্ছে। এর আগে কানাডায় দুজন এবং দক্ষিণ কোরিয়ায় একজন রোগী শনাক্ত হয়েছে। যুক্তরাজ্য ছাড়াও ইউরোপের কয়েকটি দেশে এই ভাইরাসে আক্রান্ত রোগী পাওয়া গেছে।
এদিকে, জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয় (জেএইচইউ) থেকে পাওয়া সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, বুধবার সকাল পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮ কোটি ১৯ লাখ ৬০ হাজার ১৪ জনে।
এছাড়া, ভাইরাসে মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ১৭ লাখ ৮৮ হাজার ৭৩১ জনে।
আরও পড়ুন: পরবর্তী মহামারি আরও ভয়াবহ হতে পারে: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা
বেসরকারি হাসপাতালে কোভিড টিকা দেয়ার উদ্যোগ থাকবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
গত বছরের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। চলতি বছরের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাকে মহামারি ঘোষণা করে। এর আগে ২০ জানুয়ারি জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করে ডব্লিউএইচও।
করোনাভাইরাসে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এ পর্যন্ত দেশটিতে ১ কোটি ৯৫ লাখ ৪৮ হাজার ৭০৬ জন করোনায় আক্রান্ত এবং ৩ লাখ ৩৮ হাজার ৫৪৪ জন মৃত্যুবরণ করেছেন।
পৃথিবীর দ্বিতীয় জনবহুল দেশ ভারত রয়েছে করোনায় আক্রান্ত দেশের তালিকায় দ্বিতীয় এবং মৃত্যু নিয়ে তৃতীয় অবস্থানে। ল্যাটিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিল আক্রান্ত দেশের তালিকায় তৃতীয় স্থানে থাকলেও সর্বাধিক মৃতের সংখ্যায় রয়েছে দ্বিতীয়তে।
দক্ষিণ এশিয়ার দেশ ভারতে মোট আক্রান্ত ১ কোটি ২ লাখ ২৪ হাজারের বেশি এবং মারা গেছেন ১ লাখ ৪৮ হাজার ১৫৩ জন। ব্রাজিলে মোট শনাক্ত রোগী ৭৫ লাখ ৬৩ হাজার ৫৫১ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ১ লাখ ৯২ হাজার ৬৮১ জনের।