তবে চো ডু-সুনকে সমাজের জন্য ঝুঁকি হিসাবে দেখছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
২০০৮ সালে আনসানে অবস্থিত একটি গির্জার বাথরুমে ৮ বছরের এক কিশোরীকে অপহরণ ও ধর্ষণের দায়ে দোষী সাব্যস্ত হয় চো।
এ ঘটনায় হতবাক হয় পুরো দক্ষিণ কোরিয়া। পরবর্তীতে ধর্ষণের শিকার ওই কিশোরীর প্রতি জনসাধারণের সহানুভূতির প্রবণতা প্রেরণা জাগায়, যার সূত্র ধরে ওই ঘটনা অবলম্বনে ২০১৩ সালে নির্মিত চলচ্চিত্র ‘হোপ’ ব্যাপক সাড়া পায়।
২০১৭ সালের পর থেকে প্রায় ১০ লাখ মানুষ চো’র মুক্তির বিরোধিতা করে দেশটির প্রেসিডেন্টের কাছে জমা দেয়া একাধিক অনলাইন পিটিশনে স্বাক্ষর করে আসছে।
শনিবার সকালে অসংখ্য পুলিশের উপস্থিতির মধ্যেই কয়েক হাজার বিক্ষোভকারী ‘চো ডু-সুন গো টু হেল’ লেখা প্লাকার্ড নিয়ে চো’র মৃত্যুদণ্ডের দাবিতে স্লোগান দেন এবং কারাগারের সামনে কয়েক ঘণ্টা সমাবেশ করেন।
পুলিশ কর্মকর্তারা পরে কিছু বিক্ষোভকারীকে ছত্রভঙ্গ করে দেন যারা কারাফটকের সামনে শুয়ে পড়ে কারাগারের একটি পথ অবরুদ্ধ করে রেখেছিলেন।
মুক্তির পর কারাফটকে চো ডু-সুনকে বহনকারী একটি পুলিশ ভ্যানে ডিম নিক্ষেপ করেন বিক্ষোভকারীরা।