যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম দোদুল্যমাণ রাজ্য নর্থ ক্যারোলাইনায় জয়ী হয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প৷ এই রাজ্য জয় করেই ২৭০টি ইলেকটোরাল ভোট পেতে চেয়েছিলেন কমলা হ্যারিস।
নির্বাচনি প্রচারের শেষ তিন দিনে এ রাজ্য সফর করেছিলেন ট্রাম্প। এ রাজ্যে হ্যারিসকে পরাজিত করার উদ্দেশ্যেই তিনি এ সফর করেন।
কমলা হ্যারিসের প্রচার শাখার চেয়ারম্যান জেন ও'ম্যালি ডিলন এক নির্দেশনায় কর্মীদের বলেছেন, মিশিগান, পেনসিলভানিয়া ও উইসকনসিনের 'নীল দেয়াল' এখন ডেমোক্র্যাটদের জয়ের 'পরিষ্কার পথ’।
আরও পড়ুন: কমলা হ্যারিসের ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে মনোনয়ন পেয়েছেন টিম ওয়ালজ
সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস যথাক্রমে রিপাবলিকান ও ডেমোক্র্যাট অঙ্গরাজ্যগুলোতে আগাম জয় পেয়েছেন।
পেনসিলভানিয়া, জর্জিয়া, মিশিগান, অ্যারিজোনা, উইসকনসিন, নর্থ ক্যারোলাইনা ও নেভাদায় ভোট গ্রহণ শেষ হয়েছে।
সাম্প্রতিক নির্বাচনে রিপাবলিকানদের দিকে ঝুঁকে পড়া এক সময়ের দোদুল্যমাল রাজ্য ফ্লোরিডায় জয়ী হয়েছেন ট্রাম্প। টেক্সাস, সাউথ ক্যারোলাইনা ও ইন্ডিয়ানার মতো রিপাবলিকান অঙ্গরাজ্যগুলোতে আগাম জয় পেয়েছেন ট্রাম্প। অন্যদিকে নিউইয়র্ক, ম্যাসাচুসেটস ও ইলিনয়ের মতো ডেমোক্র্যাটদের শক্ত ঘাঁটি দখল করেছেন কমলা হ্যারিস।
এপির ভোটকাস্ট অনুযায়ী, গত চার বছরে কৃষ্ণাঙ্গ ও লাতিনো ভোটাররা যেভাবে জো বাইডেনকে সমর্থন দিয়েছিলেন, তার তুলনায় এসব ভোটারের সমর্থন হ্যারিসের প্রতি খানিকটা কম বলে মনে হয়েছে। ২০২০ সালের তুলনায় ট্রাম্পের সমর্থন ওই ভোটারদের মধ্যে কিছুটা বেড়েছে।
দেশজুড়ে ১ লাখ ১০ হাজারের বেশি ভোটারের ওপর চালানো একটি জরিপে দেখা গেছে, ডেমোক্রেসির ভবিষ্যৎ হ্যারিসের সমর্থকদের জন্য প্রধান অনুপ্রেরণা। প্রচারের শেষ দিকে ট্রাম্পকে র ধারাবাহিকভাবে ফ্যাসিবাদী হিসেবে অভিযুক্ত করেছিলেন হ্যারিস। সেটিই সম্ভবত কার্যকর হয়েছে।
এতে আরও দেখা গেছে, দেশটি নেতিবাচকতা ও পরিবর্তনের আকাঙ্ক্ষায় ডুবে রয়েছে। ট্রাম্পের সমর্থকরা মূলত অভিবাসন ও মুদ্রাস্ফীতির উপর ফোকাস করছিলেন—দুটি সমস্যা যা সাবেক রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট তার প্রচারণার শুরু থেকেই তুলে ধরেছেন।
আরও পড়ুন: রোল কল ভোটে ডেমোক্র্যাটিক প্রেসিডেন্ট প্রার্থী নির্বাচিত কমলা হ্যারিস