ভোটের সরকারি ফলাফলে দেখা যায়, নিষেধাজ্ঞার পক্ষে ৫১ দশমিক ২ শতাংশ এবং বিপক্ষে ৪৮ দশমিক ৮ শতাংশ ভোট পড়েছে। খবর বিবিসি বাংলার।
দক্ষিণপন্থী সুইস পিপলস পার্টি এই গণভোটের প্রস্তাব করেছিল এবং তাদের প্রচারাভিযানে নিকাব পরা মুসলিম নারীর ছবি দিয়ে ‘উগ্র ইসলাম প্রতিহত করার’ শ্লোগান দেয়া হয়।
সুইজারল্যান্ডের এই নিষেধাজ্ঞা অবশ্য করোনাভাইরাসের জন্য ফেসমাস্ক পরার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে না।
এদিকে বোরকা-নিকাব নিষিদ্ধের এ দিনটি ‘মুসলিমদের জন্য একটি অন্ধকার দিন’ হিসেবে উল্লেখ করেছে দেশটির একটি প্রধান ইসলামিক গোষ্ঠী।
এ সিদ্ধান্তের বিপক্ষে আদালতে চ্যালেঞ্জ করা হবে জানিয়ে সেন্ট্রাল কাউন্সিল অব মুসলিমসের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘আজকের এই সিদ্ধান্ত পুরো ক্ষতকে আবার উন্মুক্ত করেছে, আইনি অসাম্যকে আরও সম্প্রসারিত করেছে, এবং মুসলিম সংখ্যালঘুদের একঘরে করে রাখার স্পষ্ট বার্তা দিচ্ছে।’
এদিকে জার্মানির লুসার্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষণায় বলা হয়, সুইজারল্যান্ডে প্রায় ৪ লাখ মুসলিমের মধ্যে মাত্র ৩০ জনের মতো নারী নিকাব পরে থাকেন। সুইজারল্যান্ডে ৮৬ লাখ মানুষের মধ্যে প্রায় ৫ শতাংশ মুসলিম এবং তাদের বেশিরভাগই তুরস্ক, বসনিয়া ও কসোভো থেকে আসা।
সুইস গণভোটে এর আগেও ইসলাম একটি ইস্যু হয়ে উঠেছিল। ২০০৯ সালে এক গণভোটে সেদেশের জনগণ সরকারি পরামর্শের বিরুদ্ধে গিয়ে মসজিদের মিনার নির্মাণ নিষিদ্ধ করার পক্ষে ভোট দেন।
এই প্রস্তাবটিও তুলেছিল এসভিপি। তাদের যুক্তি ছিল, মসজিদের মিনার ইসলামিকরণের একটি চিহ্ন।
এদিকে বোরকা ও নিকাবের ক্ষেত্রে এই নিষেধাজ্ঞাকে ‘বিপজ্জনক নীতি’ হিসেবে চিহ্নিত করেছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। সংগঠনটি এটি ‘নারীর অধিকার, মত প্রকাশ ও ধর্মের স্বাধীনতার লংঘন’ বলে অভিহিত করেছে।