প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশে শুক্রবার ইরাকে মার্কিন ড্রোন হামলায় হত্যা করা হয় সোলেইমানিকে।
বিবিসি’র প্রতিবেদনে বলা হয়, জানাজার নামাজের ইমামতি করেন ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়তুল্লাহ খোমেনি। এক পর্যায়ে তাকে কাঁদতে দেখা যায়।
সোলেইমানি হত্যার কঠোর প্রতিশোধ নেয়ার হুমকি দিয়েছে ইরান এবং রবিবার তারা ২০১৫ সালের পরমাণু চুক্তি থেকে নিজের প্রত্যাহার করে নিয়েছে।
৬২ বছর বয়সি সোলেইমানি মধ্যপ্রাচ্যে ইরানের সামরিক অভিযানের প্রধান ছিলেন এবং যাকে যুক্তরাষ্ট্র একজন সন্ত্রাসী হিসেবেই দেখতো।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেন, সোলেইমানি মার্কিন কূটনীতিক এবং ইরাক ও ওই অঞ্চলের অন্য জায়গায় থাকা মার্কিন সামরিক কর্মকর্তাদের উপর ‘আসন্ন এবং ভয়াবহ হামলার ষড়যন্ত্র’ করছিলেন।
রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে দেখানো হয় যে, তেহরানের রাস্তায় বিশাল জনসমাগম হয়েছে জানাজা ঘিরে। সোলেইমানিকে দেশটিতে জাতীয় নায়ক এবং সর্বোচ্চ নেতা খোমেনির পর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ক্ষমতাবান ব্যক্তি হিসেবে দেখা হতো।
জানাজায় অনেক মানুষকেই কাঁদতে দেখা গেছে। কেউ কেউ সোলেইমানির ছবি আঁকড়ে ধরে রেখেছেন। দেশটির গনগণ সোলেইমানির কফিন মাথার উপর দিয়ে বয়ে নিয়ে চলে এবং ‘আমেরিকার মৃত্যু’ বলে স্লোগান দিতে থাকে।
এই হত্যাকাণ্ডের জন্য যুক্তরাষ্ট্র ‘কালো দিন’ দেখবে উল্লেখ করে সোলেইমানির মেয়ে জয়নাব সোলেইমানি হুঁশিয়ার করে বলেন, ‘পাগল ট্রাম্প, তুমি ভেবো না যে আমার বাবার শাহাদাতের মধ্য দিয়ে সব কিছু শেষ হয়ে গেছে।’
সোমবারের জানাজার পর, জেনারেলের মরদেহ শিয়া ইসলামের কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত কোমে নিয়ে যাওয়া হবে। পরে মঙ্গলবার কেরমানে তার গ্রামের বাড়িতে তাকে দাফন করা হবে।
তেহরানে সোলেইমানির পরিবারের সদস্যদের সাথে দেখা করতে গিয়ে প্রেসিডেন্ট রূহানি বলেন, ‘আমেরিকানরা আসলেই বুঝতে পারেনি যে তারা কত বড় ভুল করেছে।’
‘এই এলাকার উপর থেকে যেদিন আমেরিকার নোংরা হাত কেটে ফেলা হবে, সেদিনই তার রক্তের বদলা পূরণ হবে,’ যোগ করেন তিনি।