মধ্যপ্রাচ্য
বায়ুদূষণে শীর্ষ পাঁচ শহরের চারটিই মধ্যপ্রাচ্যের, ঢাকার বাতাস আজও ‘মাঝারি’
সাম্প্রতিক সময়ে মধ্যপ্রাচ্যের শহরগুলোর বায়ুদূষণের মাত্রা বাড়তে দেখা গেছে। প্রায়ই আইকিউএয়ারের দেওয়া বিশ্বের দূষিত বাতাসের শীর্ষ শহরের তালিকার প্রথম সারিতে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন শহর দেখা যায়। আজ সে ধারা অব্যাহত রয়েছে, বায়ুদূষণে শীর্ষ পাঁচ শহরের চারটিই আজ মধ্যপ্রাচ্যের।
রবিবার (৩১ আগস্ট) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে তালিকার শীর্ষে অবস্থান করছিল সৌদি আরবের রিয়াদ। শহরটির একিইআই স্কোর ছিল ১৯৬। এই স্কোরের বাতাসকে বাসিন্দাদের জন্য ‘অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ করা হয়।
আইকিউএয়ারের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রিয়াদের ক্রমবর্ধমান নগর এলাকাগুলোতে আরও বেশি লবণাক্ত পানি শোধনের প্রয়োজন দেখা দিয়েছে। কিন্তু লবণাক্ত পানি শোধনাগারগুলো (ডিস্যালিনেশন প্ল্যান্ট) গ্রিনহাউস গ্যাস উৎপাদন করে। তাছাড়া, তেলের উত্তোলনও বিপুল পরিমাণ কার্বন ডাইঅক্সাইড নির্গত করে। সেইসঙ্গে বনও উজার করা হচ্ছে। এসব কারণে শহরটির বায়ুদূষণের মাত্রা দিনদিন বেড়েই চলেছে।
অন্যদিকে, দ্বিতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম স্থানে রয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই, কুয়েতের কুয়েত সিটি ও কাতারের দোহা। শহরগুলোর স্কোর যথাক্রমে ১৫৭, ১৪২ ও ১২৭। একই সময়ে ১৫৩ স্কোর নিয়ে তৃতীয় স্থানে ছিল কঙ্গোর কিনশাসা।
এদিকে, বৃষ্টি কমতেই কয়েকদিন ধরে ঢাকার বাতাসের বাতাসের দূষণের মাত্রা বাড়তে শুরু করেছে। আজ সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসেও সেই ধারা অব্যাহত রয়েছে। যদিও গতকালের একই সময়ের তুলনায় আজ দূষণ কিছুটা কমেছে, তবে ‘ভালো’ হয়ে ওঠার ধারেকাছেও যেতে পারেনি।
সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ঢাকার বাতাসের একিউআই স্কোর ছিল ৮৮। এই স্কোর নিয়ে দূষিত বাতাসের শহরের তালিকার নবম স্থানে ছিল ঢাকা।
আরও পড়ুন: ‘মাঝারি’ হলেও ঢাকার বাতাসে বেড়েছে দূষণ
গতকাল একই সময়ে ঢাকার বাতাসের একিউআই স্কোর ছিল ৯৯। এই স্কোর ‘মাঝারি’ হলেও ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ হওয়ার একেবারেই কাছাকাছি। ৯৯ একিউআই স্কোর নিয়ে বিশ্বের দূষিত বাতাসের শীর্ষ শহরগুলোর তালিকার অষ্টম স্থানে অবস্থান করছিল ঢাকা।
কণা দূষণের এই সূচক ৫০-এর মধ্যে থাকলে তা ‘ভালো’ বলে গণ্য করা হয়। আর স্কোর ৫০ থেকে ১০০-এর মধ্যে থাকলে তা ‘মাঝারি’ হিসেবে শ্রেণিভুক্ত করা হয়। এ ছাড়া ১০১ থেকে ১৫০ হলে ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচিত হয়। এই পর্যায়ে সংবেদনশীল ব্যক্তিদের দীর্ঘ সময় বাইরে পরিশ্রম না করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
তবে এই স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে তা ‘অস্বাস্থ্যকর’, ২০১ থেকে ৩০০ হলে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ এবং ৩০১-এর বেশি হলে তা ‘বিপজ্জনক’ হিসেবে বিবেচিত হয়। জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ঝুঁকি সৃষ্টি করে ৩০০-এর বেশি যেকোনো সূচক।
বাংলাদেশে একিউআই সূচক নির্ধারিত হয় পাঁচ ধরনের দূষণের ভিত্তিতে— বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), নাইট্রোজেন ডাই-অক্সাইড (এনও₂), কার্বন মনো-অক্সাইড (সিও), সালফার ডাই-অক্সাইড (এসও₂) ও ওজোন।
৯৬ দিন আগে
খাবার নিতে আসা শিশুদের ওপর ইসরায়েলের ‘অমার্জনীয়’ হামলা
চলমান যুদ্ধবিরতি আলোচনা ও রাফায় ফিলিস্তিনিদের বিতর্কিত পুনর্বাসন পরিকল্পনার মধ্যেই ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় অন্তত ৮২ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। এদিন শিশুদের খাবার সংগ্রহ করতে গিয়ে হামলার শিকার হয়ে প্রাণ গেছে ৯টি শিশুর।
বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) ভোর থেকে চালানো হামলায় এসব হতাহতের ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে কাতার ভিত্তিক মার্কিন সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কেন্দ্রীয় গাজার দেইর আল-বালাহ এলাকায় শিশুদের জন্য পুষ্টি সহায়তা সংগ্রহ করতে আসা ফিলিস্তিনিদের ওপর চালানো বিমান হামলায় ১৫ জন প্রাণ হারিয়েছেন। তাদের মধ্যে ৯টি শিশু ও ৪ জন নারী রয়েছেন। এ ঘটনায় আরও অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে ১৯টিই শিশু।
জাতিসংঘের শিশু বিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফের নির্বাহী পরিচালক ক্যাথরিন রাসেল হামলাটিকে ‘অমার্জনীয়’ বলে অভিহিত করে বলেন, ‘সাহায্যের অপেক্ষায় থাকা পরিবারগুলোর ওপর এমন হামলা অত্যন্ত নির্মম ঘটনা। এটি গাজায় চলমান ভয়াবহতার বাস্তব প্রতিচ্ছবি।’
তিনি বলেন, ‘অপর্যাপ্ত সহায়তার কারণে গাজায় শিশুদের না খেয়ে থাকার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে এবং বর্তমানে সেখানে দুর্ভিক্ষের ঝুঁকি বাড়ছে। জরুরি সহায়তা ও সেবা পূর্ণমাত্রায় চালু না হলে অপুষ্টিতে ভোগা শিশুদের সংখ্যা বাড়তেই থাকবে।’
আরও পড়ুন: গাজায় সেনা রাখতে অনড় ইসরায়েল, ব্যর্থ হওয়ার শঙ্কায় যুদ্ধবিরতি
ইউনিসেফের এই নির্বাহী পরিচালক ইসরায়েলকে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন মেনে চলার আহ্বান জানান এবং এই ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানান।
ফিলিস্তিনিদের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস এই হামলার নিন্দা জানিয়ে বলেছে, গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর ‘গণহত্যা অভিযান’ চলছে। এক বিবৃতি গোষ্ঠীটি জানায়, ‘ইসরায়েল বেসামরিক নাগরিকদের ওপর পরিকল্পিতভাবে একের পর এক গণহত্যা চালাচ্ছে। তারা স্কুল, রাস্তা, উদ্বাস্তু ক্যাম্প ও চিকিৎসাকেন্দ্র—সব জায়গায় হামলা চালাচ্ছে, যা সারা বিশ্বের চোখের সামনেই সংঘটিত হওয়া জাতিগত নিধনের সুস্পষ্ট প্রমাণ।’
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের হামলায় ইসরায়েলে ১২০০ জন নিহত এবং ২৫১ জন জিম্মি হয়। এরপরই গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েল।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, এরপর থেকে এখন পর্যন্ত অন্তত ৫৭ হাজার ৭৬২ ফিলিস্তিনি নিহত এবং আরও ১ লাখ ৩৭ হাজার ৬৫৬ জন আহত হয়েছেন।
এদিকে, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ইসরায়েলের সঙ্গে নতুন একটি চুক্তিতে পৌঁছেছে। এর আওতায় খাদ্য ও জ্বালানিসহ জরুরি ত্রাণ সহায়তা গাজায় প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
১৪৭ দিন আগে
গার্ডিয়ানের বিশ্লেষণ: দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধ
মধ্যপ্রাচ্যে নিজেদের চিরশত্রু ইরানের ওপর নজিরবিহীন হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। শুক্রবার (১৩ জুন) রাজধানী তেহরানসহ দেশটির শতাধিক লক্ষ্যবস্তুতে এই হামলা হয়েছে।
মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে চরম উত্তেজনার সৃষ্টি করা এ অভিযানের নাম দেওয়া হয়েছে অপারেশন রাইজিং লায়ন বা জেগে উঠা সিংহ। হামলার মূল কারণই ছিল পশ্চিমাদের ভাষায় ইরানের বিতর্কিত পারমাণবিক কর্মসূচির সক্ষমতা পুরোপুরি ধ্বংস করে দেওয়া।
হামলার পাল্টা প্রতিক্রিয়া মধ্যপ্রাচ্যকে একটি পূর্ণমাত্রার যুদ্ধের দিকে ঠেলে দিতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিশ্লেষকরা। এদিকে, ইরানও ইসরায়েলের হামলার জবাবে ‘ট্রু প্রমিস ৩’ নামের অভিযান শুরু করেছে।
শুক্রবার (১৩ জুন) ইরানের প্রধান ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কেন্দ্র নাতানজ, দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র কারখানা, শীর্ষ কমান্ডার ও পরমাণু বিজ্ঞানীরা হামলার লক্ষ্যবস্তু ছিল বলে দাবি করেছে ইসরায়েল। এই হামলায় অন্তত ২০০টি যুদ্ধবিমান অংশ নেয় বলে জানায় ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েল।
আরও পড়ুন: ইরানে ইসরায়েলের হামলা আঞ্চলিক যুদ্ধের ঝুঁকি বাড়াচ্ছে, জড়াতে পারে যুক্তরাষ্ট্রও
এদিন ভোররাত থেকে একের পর এক বিমান হামলায় প্রথমে ইরানের সামরিক নেতৃত্ব ও গোয়েন্দা কাঠামোতে আঘাত করে। এরপর ধারাবাহিক হামলায় ইরানের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ কেন্দ্র এবং শেষে দেশটির বৃহত্তম ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কেন্দ্র নাতানজে হামলা চালানো হয়।
নাতানজের আংশিক ভূ-উপরিভাগে হওয়ায় সরাসরি আঘাত করতে সক্ষম হয়েছে ইসরায়েল।
১৭৪ দিন আগে
ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্য সফর: আলোচনায় কূটনীতি, উপেক্ষিত মানবাধিকার
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয় মেয়াদে হোয়াইট হাউসে ফেরার পর গতানুগতিক বিষয়টিই যেন কোথায় হারিয়ে গিয়েছে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প কখন কী বলবেন, কীভাবে বলবেন কিংবা তার পরবর্তী পদক্ষেপ কী হবে—সেসব অনুমান করা অনেক বিশ্লেষকের কাছে রীতিমত ‘অসম্ভব’।
নিজের মধ্যপ্রাচ্য সফরেও তিনি এ ধারা বজায় রেখেছেন। দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর এটিই তার সবচেয়ে বড় রাষ্ট্রীয় সফর। নিজের স্বভাব অনুযায়ী এ সফরকালেও তিনি আলোচনার বিষয়ে ভিন্ন পথেই হেঁটেছেন।
এর আগে পশ্চিমা নেতাদের মধ্যপ্রাচ্য সফরে মানবাধিকারের মতো বিষয় গুরুত্ব পেলেও কূটনৈতিক ও দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের নানান বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন ট্রাম্প; আর মধ্যপ্রাচ্যের বর্তমান পরিস্থিতিতেও মানবাধিকারের মতো বিষয় নিয়ে আলোচনা এড়িয়ে গেছেন তিনি।
মঙ্গলবার (১৩ মে) সৌদি আরবের যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের সঙ্গে বৈঠক করেন ট্রাম্প। সে সময় আরব উপসাগরীয় ধনী দেশগুলোতে অতীতে যুক্তরাষ্ট্রের হস্তক্ষেপের সমালোচনা করেন তিনি।
ট্রাম্প বলেন, ‘এখন আর সেই দিন নেই যে আমেরিকান কর্মকর্তারা মধ্যপ্রাচ্যে উড়ে এসে আপনাদের শেখাবে—কীভাবে জীবনযাপন করতে হবে, কীভাবে দেশ চালাতে হবে।’
অনেক বিশ্লেষকের মতে, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের সবচেয়ে ভালো সময় পার করছে রিয়াদ।
আরও পড়ুন: ট্রাম্প মধ্যপ্রাচ্যে: ইসরায়েলি হামলায় ২২ শিশুসহ ৬০ ফিলিস্তিনি নিহত
তবে সৌদির সাংবাদিক, মানবাধিকারকর্মী, ব্যবসায়ী, লেখকসহ দেশটি থেকে পালিয়ে যাওয়া আরও অনেকেই তার কথা শুনেছেন। তাদের মত অবশ্য ভিন্ন।
ট্রাম্পের এই ভূমিকাকে একপ্রকার অশনি সংকেত বলে মনে করছেন তারা। তাদের আশঙ্কা, ট্রাম্পের এই বক্তব্য মানবাধিকার রক্ষায় যুক্তরাষ্ট্রের অনিয়মিত বা অসম্পূর্ণ হলেও শক্তিশালী ভূমিকা থেকে সরে আসার ইঙ্গিত বহন করে।
এ বিষয়ে যুবরাজ সালমানের শাসনামলের প্রথম দিকে জেলে থাকা এক আলেমের ছেলে আবদুল্লাহ আলআউধ বলেন, ‘তার (ট্রাম্প) এই ভূমিকা দেখা সত্যি বেদনাদায়ক ছিল।’
বিশ্বের নানা দেশের সমালোচনা ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে একপ্রকার একঘরে হয়ে পড়ার পর দেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি উন্নত করতে রাজপরিবারের শত শত সদস্য, নাগরিক সমাজের কর্মী, অধিকারকর্মীসহ অনেক বন্দিকে মুক্তি দেয় সৌদি প্রশাসন। তবে আবদুল্লাহর বাবা সালমান আলআউধ এখনও কারাবন্দি রয়েছেন।
হতাশ কণ্ঠে আবদুল্লাহ বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সেই যুবরাজের সঙ্গে সরাসরি বৈঠক করেছেন, যিনি কিনা আমার বাবাকে নির্যাতন করেছেন, আমাদের পরিবারকে দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন।’
আবদুল্লাহ যুক্তরাষ্ট্রে থেকে সৌদি আরবে আটক ও বন্দি ব্যক্তিদের জন্য কাজ করে থাকেন। এসব বিষয়ে সৌদি প্রশাসনের বক্তব্য জানতে চাওয়া হলেও তারা সাড়া দেয়নি।
এদিকে, হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র আনা কেলি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র ও সৌদির ক্রমবর্ধমান অংশীদারত্ব এবং মধ্যপ্রাচ্যের শান্তির পথে অগ্রসর হওয়ার পদক্ষেপকে প্রশংসা করেছেন ট্রাম্প।’ তবে মধ্যপ্রাচ্যের নেতাদের সঙ্গে মানবাধিকার বিষয়ে ট্রাম্প কোনো আলোচনা করেছেন কিনা, এ বিষয়ে কিছু বলেননি তিনি।
তবে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র টমি পিগট বলেছেন, ‘মধ্যপ্রাচ্যের নেতাদের সঙ্গে ট্রাম্পের আলোচনা ছিল ব্যক্তিগত।’
মানবাধিকার ইস্যুতে কম গুরুত্ব
বিশ্লেষকরা বলছেন, মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের সফরে মানবাধিকার বিষয়ে যতটা গুরত্বের সঙ্গে আলোচনা হওয়া উচিৎ, ট্রাম্পের সফরকালে বিষয়টি সেভাবে মনোযোগ পায়নি।
আরেকটি বিষয় লক্ষণীয়, এসব দেশের পরিস্থিতি নিয়ে মানবাধিকার সংস্থাগুলোকে উদ্বেগ প্রকাশ করতে দেখা গেলেও জোরালো কণ্ঠে প্রতিবাদ করতে দেখা যায়নি।
এমনকি ট্রাম্পের এবারের বৈঠকের পর যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানরত নির্বাসিত সৌদি নাগরিকদেরও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আগের মতো সরব হতে দেখা যায়নি। তাছাড়া ট্রাম্প সৌদিতে বন্দি মার্কিন নাগরিক বা অধিকারকর্মীদের মুক্তির প্রসঙ্গ তুলেছেন কিনা, এ নিয়েও তেমন প্রশ্নের মুখোমুখি হয়নি তার প্রশাসন।
মানবাধিকার সংগঠনগুলোর ভাষ্যে, সাম্প্রতিক সময়ে সৌদিতে মানবাধিকার পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হওয়ার কারণে এমন নীরবতা দেখা যেতে পারে।
অনেকে আবার বলছেন, যুক্তরাষ্ট্রের মানবাধিকার পরিস্থিতি খারাপ হওয়ার কারণেই মধ্যপ্রাচ্যের মানবাধিকারের বিষয়ে ট্রাম্পের এই নীরবতা।
আরও পড়ুন: যুদ্ধবিরতিতে সম্মত ভারত-পাকিস্তান: ট্রাম্প
ইব্রাহিম আলমাদি নামে ফ্লোরিডার এক বাসিন্দা বলেন, ‘আমার বাবা সৌদি সরকারের বিরুদ্ধে সমালোচনামূলক টুইটের জন্য কারাবন্দি হয়েছিলেন। তার দেশত্যাগেও নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। বাবাকে ফেরানোর জন্য রিপাবলিকান আইনপ্রণেতা বা অন্য কোনো কর্মকর্তার কাছ থেকে প্রতিশ্রুতি নেওয়ার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছিলাম।’
তিনি আরও বলেন, ‘ট্রাম্প আর যুবরাজ ভালোবাসার সম্পর্কে রয়েছেন। কেউ যদি একবার ট্রাম্পের কানে বাবার বিষয়টা দিতেন আর তিনি যুবরাজকে বলতেন, আমি নিশ্চিতভাবে বাবাকে ফিরে পেতাম।’
২০২ দিন আগে
ঈদুল আজহার তারিখ নিয়ে যা জানা গেল
চলতি বছরের পবিত্র ঈদুল আজহার তারিখ ঘোষণা করেছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সংযু্ক্ত আরব আমিরাত।
দেশটির এমিরেটস অ্যাস্ট্রোনমি সোসাইটির জ্যোতির্বিদ্যা সংক্রান্ত পূর্বাভাস অনুসারে আগামী ৬ জুন শুক্রবার দেশটি পবিত্র ঈদুল আজহা পালন করা হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
গত ৪ এপ্রিল এমন পূর্বাভাস দিয়েছে সংস্থাটি।
তবে পূর্বাভাসের ওই তারিখ ঠিক থাকে, তাহলে বাংলাদেশে ৭ জুন ঈদুল আজহার নামাজ আদায় করা হতে পারে।
আমিরাত জ্যোতির্বিদ্যা সোসাইটির চেয়ারম্যান ইব্রাহিম আল জারওয়ান উল্লেখ করেছেন, আরব আমিরাতে ২৭ মে সকাল ৭টা ২ মিনিটে চাঁদ উঠবে। ওই দিন সূর্যাস্তের ৩৮ মিনিট পর পর্যন্ত চাঁদটি আকাশে দৃশ্যমান থাকবে। এতে অর্ধচন্দ্রটি সহজে দেখা যাবে।
আরও পড়ুন: জাতীয় মসজিদে ঈদুল আযহার জামাত হবে ৫টি
চন্দ্র মাসের হিসাবে বাংলাদেশ সময় অনুযায়ী ২৮ মে জিলহজ্জ মাসের প্রথম দিন পড়বে। আর জুন মাসের ৭ তারিখ হবে জিলহজ্জ মাসের ১০ তারিখ। এদিনই(১০ জিলহজ্জ) পবিত্র ঈদুল আজহার নামাজ আদায় করা হয়।
আরব আমিরাতের সংস্থাটির পূর্বাভাস যদি ঠিক থাকে এবং মধ্যপ্রাচ্যে ৬ জুন ঈদ হয়, তাহলে বাংলাদেশে ঈদ হবে ৭ জুন। কারণ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর একদিন পরে সাধারণত বাংলাদেশে চাঁদ দেখা যায়।
উল্লেখ্য, সংযুক্ত আরব আমিরাতে ৫ জুনকে আরাফাতের দিন ধরে সরকারি ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। আর ৬ থেকে ৮ জুন ঈদের ছুটি দেওয়া হয়েছে।
২১৯ দিন আগে
ইউক্রেনকে বাদ দিয়েই যুদ্ধ বন্ধে বসতে যাচ্ছে রুশ-যুক্তরাষ্ট্র
ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে কয়েকদিনের মধ্যেই মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সৌদি আরবে বসতে যাচ্ছেন রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা। তবে ইউক্রেনের পক্ষ থেকে কাউকে এই আলোচনায় রাখা হচ্ছে না।
স্থানীয় সময় শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) একজন মার্কিন আইনপ্রণেতা ও পরিকল্পনা সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা সংবাদমাধ্যমকে এমন তথ্য নিশ্চিত করেছেন।-খবর দ্য স্ট্রেইটস টাইমসের।
শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) জার্মানিতে যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্সের সঙ্গে সাক্ষাতের পর সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সৌদিতে বৈঠকে ইউক্রেন উপস্থিত না থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।
তিনি বলেন, ‘সৌদি আরবের আলোচনায় ইউক্রেনকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। কৌশলগত অংশীদারদের সঙ্গে পরামর্শ ছাড়া রাশিয়ার সঙ্গে কোনো চুক্তিতে যাবে না কিয়েভ।’
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি পরিষদের সদস্য মাইকেল ম্যাককল জানিয়েছেন, ‘দেশটির গুরুত্বপূর্ণ কয়েকজন প্রশাসনিক কর্মকর্তা ইউক্রেনের যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে আলোচনা করতে সৌদি সফরে যাবেন। তাদের মধ্যে রয়েছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়াল্টজ ও হোয়াইট হাউসের মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক দূত স্টিভ উইটকফ।’
আরও পড়ুন: ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে একমত ট্রাম্প-পুতিন, বসবেন সৌদিতে
তবে তারা সৌদি আরবে রাশিয়ার কোনো কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন তা তাৎক্ষণিকভাবে স্পষ্ট করে জানানো হয়নি।
মিউনিখে নিরাপত্তা সম্মেলনের ফাঁকে ম্যাককল জানান, সৌদিতে বৈঠকের মাধ্যমে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও জেলেনস্কির মধ্যে একটি বৈঠকের আয়োজন করা হবে। তাদের মূল লক্ষ্য রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধ শেষ করে অঞ্চলগুলোতে চূড়ান্তভাবে শান্তি আনা।
তবে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই বৈঠকের ব্যাপারে আনুষ্ঠানিক কোনো বিবৃতি দেয়নি।
প্রসঙ্গত, ২০২২ সালে ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে অভিযান শুরু করে রাশিয়া। এরপর গেল তিন বছর ধরে সেই যুদ্ধ চলছে। দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় এসে ইউক্রেনে যুদ্ধ বন্ধের উদ্যোগ নেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।
বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) ওভাল অফিসে এক সংবাদ সম্মেলনে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে সরাসরি বৈঠক করতে একমত হওয়ার কথা জানায় ট্রাম্প। মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সৌদি আরবে এই বৈঠক হতে পারে বলেও তিনি আভাস দিয়েছিলেন তিনি।
২৯২ দিন আগে
মধ্যপ্রাচ্যে ইসরায়েলের অবস্থান মজবুত করতে বৈঠকে বসছেন ট্রাম্প-নেতানিয়াহু
হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধে বিজয়, ইরানকে মোকাবিলা ও আরব দেশগুলোর সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক বাড়ানো নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে আলোচনা করতে যুক্তরাষ্ট্র সফরে যাচ্ছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।
রবিবার (২ ফেব্রুয়ারি) ওয়াশিংটনের উদ্দেশে তেল-আবিব ছেড়েছেন নেতানিয়াহু।
নিউ ইয়র্ক সময় মঙ্গলবার (৪ জানুয়ারি) ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে তার। এর মধ্য দিয়ে হোয়াইট হাউসে ফেরার পর প্রথম কোনো বিদেশি নেতার সঙ্গে বসতে যাচ্ছেন ট্রাম্প।
এদিকে গাজা যুদ্ধ বন্ধে ও হামাসের হাতে জিম্মি ইসরায়েলিদের মুক্তির বিষয়ে পরবর্তী ধাপের চুক্তি নিয়ে কাজ করছে যুক্তরাষ্ট্র ও মধ্যস্থতাকারী আরব দেশগুলো।
যুদ্ধবিরতির পরপরই গাজা উপত্যকায় নিজেদের আধিপত্য ও নিয়ন্ত্রণ পুনর্বহাল করেছে হামাস। যুদ্ধ পুরোপুরি বন্ধ ও উপত্যকাটি থেকে ইসরায়েলি সেনাদের প্রত্যাহার করা না হলে দ্বিতীয় ধাপে জিম্মিদের মুক্তি দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছে ফিলিস্তিনের এই স্বাধীনতাকামী সংগঠন।
অপরদিকে, গাজায় ফের যুদ্ধ শুরু করতে সরকারে থাকা উগ্রপন্থিদের চাপে মুখে পড়েছেন নেতানিয়াহু।
গত মার্চের প্রথম সপ্তাহে হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতি চুক্তি সই হয়। তবে হামাসের বিরুদ্ধে বিজয় ও জিম্মিদের ফিরিয়ে আনতে ইসরায়েল অঙ্গীকারাবদ্ধ বলেও মন্তব্য করেছেন নেতানিয়াহু।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর আকস্মিক হামলা চালিয়ে বহু ইসরায়েলিকে জিম্মি করে হামাস। এ যুদ্ধে এখন পর্যন্ত ৪৭ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের অধিকাংশই নারী ও শিশু।
ইসরায়েলের পাঁড় সমর্থক হিসেবে বিবেচনা করা হয় ডোনাল্ড ট্রাম্পকে। কিন্তু মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধের অবসানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি অস্ত্রবিরতি চুক্তির মধ্যস্থতায় ভূমিকা রাখার দাবি করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
আরও পড়ুন: দেশগুলো ট্রাম্পের শুল্কারোপের পাল্টা জবাব দেবে কীভাবে?
১৫ মাসের যুদ্ধ শেষে দুই পক্ষের মধ্যে চুক্তি হওয়ার পর এখন পর্যন্ত ১৭ ইসরায়েলি জিম্মি ও শত শত ফিলিস্তিনি বন্দি মুক্তি পেয়েছেন।
এর মধ্যে আজ (রবিবার) আবার মধ্য গাজায় একটি গাড়িতে ইসরায়েলি বিমান হামলায় পাঁচ ফিলিস্তিনি আহত হয়েছেন। আল-আওদা হাসপাতাল এ তথ্য জানিয়েছে।
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী বলছে, গাড়িটি একটি তল্লাশি চৌকি অতিক্রমের চেষ্টা করা হলে ওই হামলা করা হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশে রওনা দেওয়ার আগে এক বিবৃতিতে নেতানিয়াহু বলেন, ‘ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকে হামাসের বিরুদ্ধে বিজয়, জিম্মিদের মুক্তি ও ইরানি সন্ত্রাসী অক্ষ মোকাবিলা নিয়ে আলোচনা হবে।’
তিনি বলেন, ‘একসঙ্গে কাজ করে দুই দেশের নিরাপত্তা জোরদার, শান্তির পরিসর আরও বিস্তৃত ও শক্তির মাধ্যমে শান্তির এক অসাধারণ যুগে আমরা প্রবেশ করতে পারি।’
৩০৬ দিন আগে
মানবাধিকার ইস্যুতে বাংলাদেশের অবস্থান অনেক ভালো: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, বিশ্বের অনেক দেশের তুলনায় মানবাধিকার ইস্যুতে বাংলাদেশের অবস্থান ভালো।
তিনি বলেন, ‘মধ্যপ্রাচ্যসহ বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় নানাভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে। সে বিবেচনায় বাংলাদেশে মানবাধিকার লঙ্ঘনের হার অনেক কম এবং দিন দিন পরিস্থিতির আরও উন্নতি ঘটছে।’
উপদেষ্টা বলেন, জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের সঙ্গে মূলত আলোচনা হয়েছে মানবাধিকার ইস্যু নিয়ে। মানবাধিকার ইস্যুতে আমরা যেন তাদের সহযোগিতা করি, তারা এ বিষয়ে সর্বাত্মক সহযোগিতা চেয়েছে। তাছাড়া পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে উত্তরণ ও বিভিন্ন সংস্কার কমিশনের কাজেও তারা সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন।
মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার তুর্কের নেতৃত্বে প্রতিনিধিদলের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
আরও পড়ুন: যানজট নিরসনে রাস্তা ও পার্কিংয়ের স্থান বাড়ানোর নির্দেশ স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার
তিনি বলেন, মানবাধিকার প্রতিনিধিদল জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে বিভিন্ন বাহিনীর সদস্যদের পাঠানোর ক্ষেত্রে নিরপেক্ষ ও স্বাধীনভাবে যাচাই-বাছাই ও স্ক্রিনিং করে পাঠানোর পরামর্শ দিয়েছে। তবে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশ যে ভালো পারফর্ম করছে, সে বিষয়ে তারা প্রশংসা করেছে।
তিনি আরও বলেন, এছাড়া পুলিশ সংস্কার কমিশনে মানবাধিকার সংরক্ষণের বিষয়টি যেন গুরুত্ব দেওয়া হয়, সে বিষয়েও আলোচনা হয়েছে।
তিনি বলেন, তারা আমাদের বিচার প্রক্রিয়ায় সাক্ষী সুরক্ষা ও ভিকটিম সুরক্ষার বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে নিশ্চিত করার পরামর্শ দিয়েছে।
উপদেষ্টা বলেন, রোহিঙ্গা ইস্যুতে জাতিসংঘের সর্বাত্মক সহযোগিতা চেয়েছি। যদিও জাতিসংঘসহ বিভিন্ন দেশ রোহিঙ্গাদের পুনর্বাসন ও প্রত্যাবাসনে আমাদের সাহায্য করছে। তবে প্রয়োজনের তুলনায় এটি অনেক কম।
উপদেষ্টা আরও বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে মিয়ানমারে সহিংস পরিস্থিতিতে বাংলাদেশে আরও কিছু রোহিঙ্গার অনুপ্রবেশ ঘটেছে।
সেজন্য জাতিসংঘ প্রতিনিধিদলকে রোহিঙ্গা ইস্যুতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মনোযোগ আকর্ষণে আমরা চাপ প্রয়োগের আহ্বান জানিয়েছি।
ভলকার তুর্কের নেতৃত্বে প্রতিনিধিদলের অন্য সদস্যরা হলেন- বাংলাদেশে জাতিসংঘের আবাসিক প্রতিনিধি অফিসের সিনিয়র মানবাধিকার উপদেষ্টা হুমা খান, জেনেভায় অবস্থিত অফিস অব দ্য ইউএন হাইকমিশনার ফর হিউম্যান রাইটসের (ওএইচসিএইচআর) এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের প্রধান রোরি মুঙ্গোভেন, মিডিয়া ও জনসংযোগ বিভাগের প্রধান মুখপাত্র রাভিনা শামদাসানি, মানবাধিকার কর্মকর্তা লিভিয়া কোসেঞ্জা।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার নেতৃত্বে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলে ছিলেন- স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব ড. মোহাম্মদ আবদুল মোমেন, পুলিশ মহাপরিদর্শক মো. ময়নুল ইসলাম, বিজিবি’র মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী, র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) মহাপরিচালক এ কে এম শহিদুর রহমান, ডিএমপি কমিশনার মো. মাইনুল হাসান, জননিরাপত্তা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব আবু হেনা মোস্তফা জামান প্রমুখ।
আরও পড়ুন: ৩২ উপজেলায় ফায়ার সার্ভিস স্টেশন নেই: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
৪০১ দিন আগে
ইরানে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল, মধ্যপ্রাচ্যে বাড়ল যুদ্ধের ঝুঁকি
চলতি মাসের শুরুতে ইসরায়েলে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের প্রতিশোধ নিতে ইরানের সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালিয়েছে বলে জানিয়েছে ইসরায়েল।
ইরানের রাজধানী তেহরানে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। তবে এই হামলায় ক্ষয়ক্ষতি বা হতাহতের বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
ইসরায়েলের এই হামলার কারণে মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে ক্রমবর্ধমান সহিংসতার সময় পরস্পর চিরশত্রুদের সর্বাত্মক যুদ্ধের কাছাকাছি ঠেলে দেওয়ার ঝুঁকি তৈরি করেছে। যেখানে গাজার হামাসসহ ইরান সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো এবং লেবাননের হিজবুল্লাহ ইতোমধ্যেই ইসরাইলের সঙ্গে যুদ্ধ করছে।
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী শনিবার বলেছে, তারা ‘সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে সুনির্দিষ্ট হামলা’ চালিয়েছে। তবে পারমাণবিক বা তেল স্থাপনাগুলোকে হামলার লক্ষ্যবস্তু করা হয়নি বলে দুই ইসরায়েলি কর্মকর্তা জানিয়েছেন। পরিচয় প্রকাশ না করার শর্তে চলমান অভিযান নিয়ে কথা বলেছেন ওই কর্মকর্তারা।
আরও পড়ুন: গাজার স্কুলে ইসরায়েলি বোমা হামলায় ১৭ ফিলিস্তিনি নিহত
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র রিয়ার অ্যাডমিরাল ড্যানিয়েল হাগারি শনিবার এক ভিডিওতে বলেন, ‘গত ৭ অক্টোবর থেকে ইরান ও এ অঞ্চলে তাদের সমর্থিত বাহিনী ইসরাইলের ওপর অব্যাহতভাবে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। এর মধ্যে ইরানের মাটি থেকে সরাসরি হামলা অন্যতম। বিশ্বের অন্য সব সার্বভৌম দেশের মতো ইসরায়েল রাষ্ট্রেরও জবাব দেওয়ার অধিকার ও কর্তব্য রয়েছে বলে জানান তিনি।’
প্রাথমিকভাবে, ইরানের ১ অক্টোবরের হামলার প্রতিক্রিয়ার জন্য ইসরায়েলের হামলার সম্ভাব্য লক্ষ্যবস্তু হিসেবে ইরানের পারমাণবিক স্থাপনা এবং তেল স্থাপনাগুলো সবই দেখা হয়েছিল। তবে অক্টোবরের মাঝামাঝি ইসরায়েলের কাছ থেকে বাইডেন প্রশাসন আশ্বাস পায় যে তারা এ জাতীয় লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানবে না।
তেহরানে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে বলে স্বীকার করেছে ইরানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম। এছাড়া কিছু শব্দ শহরের আশপাশের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা থেকে এসেছে বলে জানিয়েছে।
তবে সংক্ষিপ্ত উদ্বৃতি ছাড়া ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন এ বিষয়ে বিস্তারিত আর কিছু জানায়নি এবং এমনকি তেহরানের একটি সবজি বাজারে লোকজনের ট্রাক লোড করার লাইভ ফুটেজও দেখিয়েছে।
তেহরানের এক বাসিন্দা বার্তা সংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসকে (এপি) জানিয়েছেন, অন্তত সাতটি বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। পরিচয় প্রকাশ না করার শর্তে ওই বাসিন্দা কথা বলেছেন।
আরও পড়ুন: লেবাননে ইসরায়েলি বিমান হামলায় ৩ গণমাধ্যমকর্মী নিহত
তেহরানের লোকজন বিস্ফোরণের শব্দের সঙ্গে সঙ্গে আকাশে আগুনের আভাস দেখতে পাচ্ছিল। অন্যান্য ফুটেজে দেখা গেছে, ভূমি থেকে আকাশে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র আকাশের দিকে ছুটছে এবং অন্যান্য বিস্ফোরণ ঘটছে।
ইরান শনিবার ভোরে দেশের আকাশসীমা বন্ধ করে দিয়েছে এবং অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের ফ্লাইট-ট্র্যাকিং ডেটা বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে যে বাণিজ্যিক বিমান সংস্থাগুলো ইরান এবং ইরাক, সিরিয়া এবং লেবাননের আকাশ এড়িয়ে গেছে।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের হামলায় প্রায় ১২০০ মানুষ নিহত হয় এবং ২৫০ জনকে জিম্মি করে গাজায় আনা হয়। গাজা ও ইসরায়েলের চলমান যুদ্ধের মধ্যে ইসরায়েলের হামলায় হামাস ও হিজবুল্লাহর শীর্ষ নেতৃত্ব ইসমাইল হানিয়া ও হাসান নাসরুল্লাহ নিহত হওয়ার প্রতিক্রিয়ায় দেশটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইরান।
বেসামরিক নাগরিক ও যোদ্ধাদের পৃথক না করে স্থানীয় স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা জানিয়েছে, এই সময়ের মধ্যে গাজায় ইসরায়েলের হামলায় ৪২ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
এদিকে লেবাননের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে ইসরায়েলি হামলায় তিন সাংবাদিক নিহত হয়েছেন।
আরও পড়ুন: হিজবুল্লার হামলায় দক্ষিণ লেবাননে ৫ ইসরায়েলি সেনা নিহত
৪০৫ দিন আগে
মধ্যপ্রাচ্যের জলসীমায় জাহাজে হুথিদের হামলা বন্ধের আহ্বান জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের
লোহিত সাগরে জাহাজে সব ধরনের হামলা বন্ধ করতে ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে একটি প্রস্তাব অনুমোদন করেছে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ।
বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) অনুমোদন দেওয়া ওই প্রস্তাবে মধ্যপ্রাচ্যের গুরুত্বপূর্ণ নৌপথে সামুদ্রিক নিরাপত্তা বিঘ্ন হওয়ার বিষয়ে জরুরিভাবে সমাধানের আহ্বানও জানানো হয়।
তবে গাজায় ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধের কারণে ইরান সমর্থিত বিদ্রোহীরা এ হামলা চালাচ্ছে- এমন কোনো দাবি প্রস্তাবে উল্লেখ করা হয়নি।
লোহিত সাগর ও এডেন উপসাগরে হুথিদের হামলা নিয়ে জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের মাসিক প্রতিবেদনের শর্ত বাড়িয়েও ১২-০ ভোটে প্রস্তাবটি অনুমোদিত হয়। তবে রাশিয়া, চীন ও আলজেরিয়া ভোট দেওয়া থেকে বিরত ছিল।
আরও পড়ুন: ইয়েমেনের হুদেইদায় মার্কিন-ব্রিটিশ বিমান হামলায় নিহত ১৬
হুথিরা বলছে, এশিয়া, মধ্যপ্রাচ্য ও ইউরোপের বাজারে গুরুত্বপূর্ণ রুট দিয়ে জাহাজ চলাচল ব্যাপকভাবে কমে গেছে। গাজা উপত্যকায় যতদিন যুদ্ধ চলবে ততদিন জাহাজ চলাচলে বিঘ্ন ঘটবে।
প্রস্তাবে হুথিদের অব্যাহত হামলার নিন্দা জানানো হয়েছে। আর বিদ্রোহীরা বলছে, তাদের হামলার উদ্দেশ্য গাজায় ৯ মাস ধরে চলা যুদ্ধের অবসান ঘটানো। প্রস্তাবে ‘আঞ্চলিক উত্তেজনা এবং সামুদ্রিক সুরক্ষা ব্যাহত করার ক্ষেত্রে দ্বন্দ্বসহ মূল কারণগুলো সমাধানের প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দেওয়া হয়েছে।’
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে হামাসের অতর্কিত হামলায় প্রায় ১ হাজার ২০০ মানুষ নিহত ও ২৫০ জনকে জিম্মি করা হয়। আর গাজা -ইসরায়েল যুদ্ধে এখন পর্যন্ত ৩৭ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
হুথিরা নৌপথে ৬০টিরও বেশি জাহাজ লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালিয়েছে। নভেম্বর থেকে বিদ্রোহীদের হামলায় চার নাবিক নিহত, একটি জাহাজ জব্দ এবং আরও দুটি ডুবে গেছে।
আরও পড়ুন: লোহিত সাগরে হুথিদের ৪টি নৌকা ও ২টি ড্রোন ধ্বংস করার দাবি যুক্তরাষ্ট্রের
হুথিদের দাবি, তারা ইসরায়েল, যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেনের সঙ্গে সম্পৃক্ত জাহাজগুলোকে লক্ষ্যবস্তু করে। তবে যেসব জাহাজে হামলা চালানো হয়েছে সেগুলোর বেশিরভাগেরই সঙ্গে ইরানসহ ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধের কোনো সম্পর্ক নেই।
বিদ্রোহীদের মতে, হুথিদের হামলার প্রতিক্রিয়ায় জানুয়ারি থেকে হামলা হুথিদের লক্ষ্য করে মার্কিন নেতৃত্বাধীন বিমান চালানো হয়েছে। ধারাবাহিক হামলার অংশ হিসেবে মে মাসের ৩০ তারিখের হামলায় অন্তত ১৬ জন নিহত এবং ৪২ জন আহত হয়েছেন।
২০১৪ সাল থেকে ইয়েমেন গৃহযুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে। সেসময় হুথিরা উত্তর ইয়েমেনের বেশিরভাগ অংশ দখল করে নেয়। ফলে রাজধানী সানা থেকে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত সরকার পালাতে বাধ্য করে। পরের বছর সৌদি নেতৃত্বাধীন জোট সরকারি বাহিনীর সমর্থনে হস্তক্ষেপ করে। একপর্যায়ে এই সংঘাত সৌদি আরব ও ইরানের মধ্যে প্রক্সি যুদ্ধে রূপ নেয়।
যদিও ২০২২ সালে ছয় মাসের যুদ্ধবিরতির পর থেকে লড়াই উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে। তবে এই যুদ্ধের ফলে আরব অঞ্চলের দরিদ্রতম দেশটিকে ধ্বংস করে ফেলেছে। বিশ্বের সবচেয়ে খারাপ মানবিক বিপর্যয়ের মুখোমুখি হয়েছে দেশটি।
বৃহস্পতিবারের প্রস্তাবটি গত ১০ জানুয়ারি গৃহীত একটি প্রস্তাবের ফলো-আপ রেজোলিউশন। এতে হুথিদের হামলার নিন্দা ও অবিলম্বে হামলা বন্ধের দাবি জানানো হয়। ‘লোহিত সাগর এবং বিস্তৃত অঞ্চলে পরিস্থিতির আরও অবনতি এড়াতে সতর্কতা ও সংযমের আহ্বান জানানো হয়েছে।’
বৃহস্পতিবারের ভোটের পর প্রস্তাবটি উত্থাপনকারী যুক্তরাষ্ট্র ও জাপানের পক্ষে বক্তব্য দেওয়ার সময় যুক্তরাষ্ট্রের উপরাষ্ট্রদূত রবার্ট উড বলেন, হুথিদের হামলা 'আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য হুমকি।' এটি একটি 'বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ' এবং এর 'বৈশ্বিক সমাধান প্রয়োজন।’
তিনি বলেন, এই প্রস্তাবের মাধ্যমে পরিষদ আবারও হুথিদের একটি স্পষ্ট বার্তা দিচ্ছে। ‘অবিলম্বে এই হামলা বন্ধ করুন।’
আরও পড়ুন: গাজায় আবারও ফিলিস্তিনিদের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ বন্ধ করেছে মার্কিন সেনাবাহিনী
তিনি হুথিদের অস্ত্র সরবরাহ বন্ধ করার প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দিয়েছেন। তিনি উল্লেখ করেন, প্রস্তাবটি ইয়েমেনের স্থিতিশীলতা ক্ষুণ্ন করে এমন হুথি ও অন্যদের উপর ২০১৫ সালের জাতিসংঘের অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়ন করতে সব দেশকে মনে করিয়ে দেয়।
রাশিয়ার উপরাষ্ট্রদূত আন্না ইভস্টিগনেভা বলেছেন, মস্কো লোহিত সাগর এবং ইয়েমেন সংলগ্ন অন্যান্য জলসীমায় নৌ চলাচলের নিরাপত্তাকে সমর্থন করেন। তবে তিনি অভিযোগ করেছেন যে ‘তথাকথিত মার্কিন জোট’ হুথিদের উপর তার আক্রমণকে বৈধতা দিতে জানুয়ারির প্রস্তাবটি ব্যবহার করছে।
ইভস্টিগনেভা বলেন, 'আমরা জোটের সব অংশগ্রহণকারীকে অবিলম্বে অবৈধ হামলা বন্ধ করার এবং ইয়েমেনসংলগ্ন জলসীমায় উত্তেজনা কমাতে রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক উপায়ে কাজ করার আহ্বান জানাচ্ছি।’
জাতিসংঘে চীনের উপরাষ্ট্রদূত গেং শুয়াং বলেছেন, বেইজিং হুথিদের বারবার বাণিজ্যিক জাহাজের ওপর হামলা বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে, কিন্তু জানুয়ারিতে তারা ভোটদানে বিরত থেকেছে। কারণ, প্রস্তাবের কিছু মূল উপাদান 'নেতিবাচক পরিণতি ডেকে আনতে পারে এবং আঞ্চলিক উত্তেজনা আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে।’
তিনি ইয়েমেনের বিরুদ্ধে 'নির্দিষ্ট কিছু দেশের' পদক্ষেপের দিকে ইঙ্গিত করে বলেন, যারা কেবল বেসামরিক লোককে হত্যা করেনি বরং অবকাঠামোই ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। সেই সঙ্গে লোহিত সাগরে নিরাপত্তা ঝুঁকিও বাড়িয়ে তুলেছে।’
গেং বলেন, ‘গাজায় দ্রুত ও স্থায়ী যুদ্ধবিরতি ইয়েমেন ও লোহিত সাগরের পরিস্থিতি শান্ত করতে সহায়তা করবে।’
আরও পড়ুন: গাজায় ইসরায়েলের ‘যুদ্ধ-পরবর্তী পরিকল্পনা’ হামাসের প্রত্যাখ্যান
৫২৫ দিন আগে