মধ্যপ্রাচ্য
ওমান সাগরে নেমে ২ প্রবাসী ভাইয়ের মৃত্যু
মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ওমান সাগরে নেমে চট্টগ্রাম ফটিকছড়ির প্রবাসী দুই ভাইয়ের মৃত্যু হয়েছে।
সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) ভোরে সাগরের পানিতে ভাসমান অবস্থায় তাদের লাশ উদ্ধার করেছে ওমান রয়েল পুলিশ।
নিহতরা হলেন- উপজেলার নাজিরহাট পৌরসভাধীন ৪ নং ওয়ার্ডের চাঁদগাঁও পাড়ার মৃত আহমদ হোসেনের ছেলে আব্বাস (২৫ ) ও আজাদ (২০)। পরিবারে ছয় ভাইয়ের মধ্যে আব্বাস দ্বিতীয় আজাদ চতুর্থ। তারা অবিবাহিত ছিলেন বলে জানা গেছে।
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে ৩ নির্মাণ শ্রমিকের মৃত্যু
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে- দীর্ঘদিন ধরে পারিবারিকভাবে তারা ওমানের হামিরিয়া এলাকায় বসবাস করছেন। কয়েকমাস পূর্বে দেশে তাদের বাবা মারা গেলে পরিবারের সবাই দেশে আসে। সম্প্রতি মাকে রেখে আব্বাস ও আজাদ ওমান চলে যান।
সোমবার স্থানীয় সময় রাত তিনটার দিকে বন্ধুদের সঙ্গে সাগর পাড়ের শিফা এলাকায় আড্ডা দিতে যান তারা। সেখানে দুই ভাই সাগরে গোসল করতে নামলে পানিতে তলিয়ে যায়। সঙ্গে থাকা বন্ধুরা খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে পুলিশে খবর দেয়। ভোরে পুলিশ এসে পানি থেকে দুই জনের লাশ উদ্ধার করে।
নাজিরহাট পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. শাহাজাহান নিহত দুই ভাইয়ের পরিবারের বরাতে বলেন, দুই ভাই দীর্ঘদিন পরিবারসহ ওমানের হামিরিয়ায় বসবাস করেন। রবিবার রাতে দুই ভাই পাঁচ বন্ধু মিলে মাস্কাট জেবল সিফা সাগরে বেড়াতে যান। সবাই মিলে সাগরে নামলে জোয়ারের পানিতে ভেসে গিয়ে নিখোঁজ হন দুই ভাই।
তিনি আরও বলেন, রাতে খোঁজাখুঁজি করে না পেলেও সোমবার সকালে ওমান রয়েল পুলিশের একটি দল দুই ভাইয়ের লাশ উদ্ধার করে। বর্তমান তাদের লাশ ওমানের রাজধানীর কুরুম রয়েল পুলিশ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।
আরও পড়ুন: চৌগাছায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে ছেলে নিহত, বাবা আহত
কুড়িগ্রামের উলিপুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে গৃহবধূর মৃত্যু
বিশ্ব করোনা: আক্রান্ত বেড়ে ৬২ কোটি ৫৫ লাখ ছাড়াল
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া, মধ্যপ্রাচ্য ও ইউরোপে নতুন করে সংক্রমণ বৃদ্ধির মধ্যে দিয়ে বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ৬২ কোটি ৫০ লাখ অতিক্রম করেছে।
সর্বশেষ বৈশ্বিক পরিসংখ্যান অনুসারে শুক্রবার সকাল পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী করোনায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৬২ কোটি ৫৫ লাখ ৪৭ হাজার ৪২৫ জনে পৌঁছেছে। এছাড়া এ ভাইরাসে মৃতের সংখ্যা ৬৫ লাখ ৫৭ হাজার ৬৯৭ জনে পৌঁছেছে।
আরও পড়ুন: বিশ্ব করোনা: মৃত্যু ৬৪ লাখ ২০ হাজারের কাছাকাছি
করোনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এখন পর্যন্ত শনাক্তের সংখ্যা ৯ কোটি ৮৪ লাখ ৭৪ হাজার ৭৫৫জন এবং মোট মৃত্যুবরণ করেছে ১০ লাখ ৮৭ হাজার ৩৫০ জন।
বাংলাদেশের প্রতিবেশি দেশ ভারতে শুক্রবার পর্যন্ত মোট শনাক্ত চার কোটি ৪৬ লাখ ৫ হাজার ১৪৯জন এবং একই সময়ে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে পাঁচ লাখ ২৮ হাজার ৭৪৫ জনে।
আরও পড়ুন: বিশ্ব করোনা:মৃত্যু ৫৩ লাখ ১১ হাজার
বিশ্ব করোনা: মৃত্যু ৫৩ লাখ ছুঁই ছুঁই
সংযুক্ত আরব আমিরাতের ভিসা সমাচার: গোল্ডেন ভিসা ও গ্রিন ভিসা
শুধু প্রবেশাধিকার নয়; সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) ভিসা মানে কাজের সুব্যবস্থা এবং পরিবার নিয়ে স্থায়ীভাবে বসবাসের সুবিধা। চাকরি, বিনিয়োগ, উদ্যোক্তা, শিক্ষা এবং জীবনধারণের জন্য আদর্শ গন্তব্য হয়ে ওঠার সুদূরপ্রসারী প্রকল্প নিয়ে তার অগ্রযাত্রা অব্যাহত রেখেছে মধ্যপ্রাচ্যের এই দেশটি।
বিশেষ করে তৃতীয় বিশ্বের জনসাধারণ দেশটিতে প্রবেশ করে নিজেদের ভাগ্য নির্ধারণে সফল হচ্ছে। সেই সুযোগ-সুবিধা এবার যেন আরও বিস্তৃত হলো বিশ্ব জুড়ে মেধাবী শ্রেণির জন্য। ২০২২ এর ৩ অক্টোবর থেকে ইউএইর গোল্ডেন ভিসার ক্যাটাগরি আরও বৃদ্ধি করা হবে। পাশাপাশি নতুনভাবে ইউএই গ্রিন ভিসা চালু হচ্ছে।
সম্প্রতি আলোড়ন সৃষ্টিকারি ইউএই ভিসা নিয়ে বিস্তারিত জেনে নেয়া যাক।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের গোল্ডেন ভিসা
ইউএই গোল্ডেন ভিসা প্রকল্প
এই ভিসার মাধ্যমে মেধা সম্পন্ন বিদেশিরা ১০ বছর পর্যন্ত ইউএইতে বসবাস, চাকরি ও অধ্যয়ন করতে পারেন। এই রেসিডেন্সি প্রকল্পটি পুনর্নবীকরণযোগ্য এবং এ ভিসার ক্ষেত্রে অত্যন্ত প্রতিভাসম্পন্ন ব্যক্তিদেরকে বাছাই করা হয়। এবার এর আওতাভুক্ত হবে আরও বেশি সংখ্যক মানুষ। নতুন বিভাগ সম্প্রসারণের জন্য বাড়বে আবেদনকারী মেধা শ্রেণি। নতুন সংযোজনের মধ্যে রয়েছে পেশাদার, বিশেষজ্ঞ এবং ব্যতিক্রমী প্রতিভাধর শ্রেণি।
নতুন প্রকল্পে পর্যটক, ব্যবসায়িক ভ্রমণকারী, চাকরিপ্রার্থী, বন্ধুবান্ধব এবং দেশে প্রবেশ করতে ইচ্ছুক ইউএইর বাসিন্দাদের আত্মীয়দের থাকার জন্য অতিরিক্ত প্রবেশের অনুমতি যুক্ত করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ভারতের মেডিকেল ভিসা: আবেদনের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও ভিসা প্রসেসিং ফি
ইউএই গোল্ডেন ভিসার মেয়াদ ও অন্যান্য সুবিধা
→ ছয় মাসের মধ্যে একাধিকবার ইউএইতে এন্ট্রির অনুমতি থাকে। এরপর রেসিডেন্সি পারমিট ইস্যু করা হয়
→ আবাসিক ভিসা ১০ বছরের জন্য বৈধ এবং পুনঃনবায়নযোগ্য
→ যেকোনো সময় ধরে ইউএইর বাইরে থাকা যায়; এমনকি এতে ভিসা বাতিলও হয় না
→ স্বামী/স্ত্রী ও যে কোনো বয়সের সন্তানসহ পরিবারের সদস্যদের স্পন্সর করা যায়
→ যে কোনো সংখ্যক গৃহকর্মীকে স্পনসর করা যায়
→ গোল্ডেন ভিসাধারী মারা গেলে ভিসার মেয়াদ শেষ না হওয়া পর্যন্ত তার পরিবারের লোকেরা ইউএইতে থাকতে পারেন|
আরও পড়ুন: বাংলাদেশি পাসপোর্টধারীদের জন্য ভিসা মুক্ত দেশের তালিকা ২০২১
ইউএই গোল্ডেন ভিসা লাভের যোগ্যতা
বিশ্বের সেরা প্রতিভাদের আকৃষ্ট করার লক্ষ্যে ইউএই ছয়টি নতুন বিভাগ যুক্ত করেছে এই ভিসা প্রকল্পে।
১০ বছর মেয়াদী ভিসার এই নতুন বিভাগগুলো বর্তমানে ট্রায়াল করা হচ্ছে এবং আগামী ৩ অক্টোবর থেকে কার্যকর করা হবে। গোল্ডেন ভিসা সম্প্রসারিত প্রকল্পের জন্য যোগ্যতা অর্জনকারী বিভাগগুলো হলো- পেশাদার, উদ্যোক্তা, বিশেষজ্ঞ, মানবিক ক্ষেত্রে সেরা ব্যক্তিত্ব, ডাক্তার ও নার্স এবং ফ্রন্টলাইন হিরো।
পেশাদার কর্মকর্তা
শিক্ষা, আইন, বিজ্ঞান এবং প্রকৌশল, তথ্য প্রযুক্তি, সামাজিক বিজ্ঞানসহ বিভিন্ন শাখায় পেশাদার চাকরিজীবীরা এই ক্যাটাগরিতে পড়বেন। এখানে শর্ত হলো-
→ ব্যক্তির অবশ্যই ইউএইর সঙ একটি বৈধ কর্মসংস্থান চুক্তি থাকতে হবে
→ মানবসম্পদ ও আমিরাতের শ্রেণীবিভাগ অনুযায়ী ব্যক্তিকে প্রথম বা দ্বিতীয় শ্রেণীর কর্মকর্তা হতে হবে
→ ব্যক্তির শিক্ষাগত যোগ্যতা নূন্যতম স্নাতক ডিগ্রি বা তার সমতুল্য হতে হবে
→ ব্যক্তির মাসিক বেতন ৩০ হাজার আমিরাতি দিরহাম (নূন্যতম ৮,১৬৭ মার্কিন ডলার) হতে হবে|
আরও পড়ুন: বাংলাদেশিদের জন্য কার্ডে ও অনলাইনে ভিসা ফি প্রদানের সুযোগ আনল যুক্তরাজ্য
রিয়েল এস্টেট বিনিয়োগকারী
→ নূন্যতম ২ মিলিয়ন আমিরাতি দিরহাম মূল্যের সম্পত্তির মালিকানা থাকতে হবে, অথবা
→ স্থানীয় ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নিয়ে ক্রয় করা কোন সম্পত্তি থাকতে হবে, অথবা
→ অনুমোদিত স্থানীয় রিয়েল এস্টেট কোম্পানির তালিকা থেকে এক বা একাধিক ২ মিলিয়ন আমিরাতি দিরহাম মূল্যের কমপ্লিট বা অফ-প্ল্যান সম্পত্তির মালিকানা থাকতে হবে|
সফল উদ্যোক্তা
উদ্যোক্তাগণ তাদের কোম্পানিকে ইউএইতে নিবন্ধিত করলে এই ভিসা পেতে পারেন। তবে সে জন্য প্রতিষ্ঠানটিকে অবশ্যই ১ মিলিয়ন বা তার বেশি বার্ষিক আয় সহ ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগ (এসএমই) বিভাগের অধীনে পড়তে হবে। অধিকন্তু, উদ্যোক্তাদের জন্য গোল্ডেন রেসিডেন্সও পাওয়া যেতে পারে, যদি-
→ ব্যক্তিটি একজন প্রতিষ্ঠাতা বা পূর্ববর্তী উদ্যোক্তা প্রকল্পের প্রতিষ্ঠাতাদের একজন হন। এক্ষেত্রে পূর্ববর্তী বিক্রিত প্রকল্পটির মূল্য কমপক্ষে ৭ মিলিয়ন আমিরাতি দিরহাম (প্রায় ১.৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার) হতে হবে
→ প্রকল্প বা ধারণার জন্য অর্থনীতি মন্ত্রণালয় বা উপযুক্ত স্থানীয় কর্তৃপক্ষের অনুমোদন প্রয়োজন|
আরও পড়ুন: ধনী বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করতে প্রিমিয়াম ভিসা চালু করছে মালয়েশিয়া
ব্যতিক্রমী প্রতিভা সম্পন্ন
শিল্প, সংস্কৃতি, ডিজিটাল প্রযুক্তি খেলাধুলা, উদ্ভাবন, ওষুধ, আইন সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সেরা ব্যক্তিরা এই ভিসায় আবেদন করার যোগ্য। ১০ বছরের এই ভিসাটির জন্য শুধুমাত্র তাদের মেধা যাচাই করা হবে। কোন শিক্ষাগত যোগ্যতা, চাকরির অবস্থা, মাসিক বেতন বা পেশাগত অবস্থার নয়। তবে এর জন্য স্থানীয় সরকারের সুপারিশ বা অনুমোদন প্রয়োজন হবে।
বিশেষজ্ঞদের জন্য
চিকিৎসা, বিজ্ঞান ও প্রকৌশল, তথ্য প্রযুক্তি, ব্যবসা ও প্রশাসন, শিক্ষা, আইন, সংস্কৃতি এবং সামাজিক বিজ্ঞান সহ বিভিন্ন শাখায় শিক্ষাগত যোগ্যতা এবং পেশাগত অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে উচ্চ দক্ষ কর্মীরা এই ক্যাটাগরির আওতাভুক্ত।
বিজ্ঞানী বা গবেষক
বিশ্বের সেরা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রকৌশল, প্রযুক্তি, জীবন বিজ্ঞান এবং প্রাকৃতিক বিজ্ঞানে পিএইচডি বা স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারীরা এই ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন। তবে এর জন্য তাদেরকে অবশ্যই এমিরেটস সায়েন্টিস্ট কাউন্সিলের সুপারিশ লাভ করতে হবে।
অসামান্য মেধাসম্পন্ন স্নাতক শিক্ষার্থী
ইউএইর মাধ্যমিক বিদ্যালয় বা বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চ স্কোর প্রাপ্ত বিদেশি শিক্ষার্থীরা ১০ বছরের ভিসাটির জন্য আবেদন করতে পারবেন। তদুপরি, বিশ্বের ১০০টি সেরা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া মেধাবী শিক্ষার্থী এবং স্নাতকরাও এই ভিসা প্রকল্পের আওতায় পড়বেন।
আরও পড়ুন: ঢাকা-তাসখন্দ এফওসি: দ্বিপক্ষীয় অর্থনৈতিক সহযোগিতা চুক্তি দ্রুত স্বাক্ষরের আহ্বান বাংলাদেশের
মানবিক ক্ষেত্রে সেরা ব্যক্তিত্ব
→ আন্তর্জাতিক এবং আঞ্চলিক সংস্থার বিশিষ্ট সদস্যরা
→ জনসাধারণের কল্যাণার্থে নিয়জিত সমিতির সেরা সদস্যরা
→ মানবিক ক্ষেত্রে স্বীকৃতি পুরস্কারপ্রাপ্তরা
→ বিশিষ্ট স্বেচ্ছাসেবক এবং মানবিক প্রচেষ্টার স্পন্সর
ডাক্তার, নার্সদের এবং ফ্রন্টলাইন হিরো
ইউএই প্রতিরক্ষার প্রথম লাইনের ডাক্তার ও নার্সদের তাদের প্রচেষ্টা এবং ত্যাগের স্বীকৃতিতে দীর্ঘমেয়াদী বসবাসের অনুমতি দিচ্ছে। ইউএইর স্বাস্থ্য নিয়ন্ত্রক সংস্থার লাইসেন্সপ্রাপ্ত সমস্ত ডাক্তাররা আইসিএ’র (ফেডারেল অথরিটি ফর আইডেন্টিটি অ্যান্ড সিটিজেনশিপ) গোল্ডেন রেসিডেন্সি পরিষেবার মাধ্যমে জুলাই ২০২১ থেকে সেপ্টেম্বর ২০২২-এর মধ্যে গোল্ডেন ভিসার জন্য আবেদন করতে পারেন। করোনা মহামারির সময় জীবন বাজী রেখে কাজ করা নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীরাও এখন মর্যাদাপূর্ণ গোল্ডেন ভিসা পাওয়ার যোগ্য। আইসিএ’র সঙ্গে সম্পৃক্ত ইউএই জুড়ে স্থাপিত সাতটি কেন্দ্র যে ডাক্তার এবং নার্সদের পরিশ্রমের ফসল, তারা ব্যক্তিগতভাবে ভিসার জন্য আবেদন করতে চান।
আরও পড়ুন: ভারতের টুরিস্ট ভিসা কীভাবে পাবেন: আবেদনের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র, প্রসেসিং ফি
সংযুক্ত আরব আমিরাতের গ্রিন ভিসা
ইউএই গ্রিন ভিসা প্রকল্প
এটি ইউএইর কাজ এবং রেসিডেন্সি পারমিট থেকে ভিন্ন একটি নতুন ভিসা ক্যাটাগরি। এর মাধ্যমে উচ্চ দক্ষ ব্যক্তি, বিনিয়োগকারী, উদ্যোক্তা, শীর্ষ ফলাফলধারী শিক্ষার্থী ও স্নাতকদের ইউএইর কোন কোম্পানির সাথে চুক্তি ছাড়াই নিজস্ব স্পন্সরে ইউএইতে বসবাসের অনুমতি দেবে। এটি মূলত ইউএই সরকারের ব্যতিক্রমী প্রতিভা আকর্ষণ এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির প্রচেষ্টার একটি অংশ।
ইউএই গ্রিন ভিসার মেয়াদ ও অন্যান্য সুবিধা
গোল্ডেন ভিসার পাশাপাশি ইউএই গ্রিন ভিসাতে কিছু উল্লেখযোগ্য উন্নতি বাস্তবায়িত হবে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে নতুন পাঁচ বছরের আবাসিক সুবিধা, যা মূলত প্রতিভাধর, দক্ষ পেশাদার, ফ্রিল্যান্সার, বিনিয়োগকারী এবং উদ্যোক্তাদের জন্য বরাদ্দ। তাদের জন্য সব ধরনের আবাসিক চাহিদাগুলোকে সহজতর করার পাশাপাশি তাদের পরিবারের সদস্যদের জন্যও উন্মুক্ত করা হচ্ছে। বসবাসের অনুমতি বাতিল বা মেয়াদ শেষ হওয়ার পরে পরিবারের লোকদের দেশে থাকার জন্য দীর্ঘ নমনীয় গ্রেস পিরিয়ডসহ আরও সুবিধা দেয়া হচ্ছে।
নতুন প্রকল্প ব্যক্তির পরিবারের সদস্যদের সুযোগ-সুবিধার পরিধি আরও প্রসারিত করেছে। একজন বাসিন্দা এখন সহজেই তাদের তাদের স্ত্রী-সন্তানদের ইউএইতে আনতে পারেন। উপরন্তু শিশুদের বয়স আগে ১৮ বছর থাকলেও এখন ২৫ বছর করা হয়েছে। অবিবাহিত মেয়েদের জন্য কোনো বয়সসীমা নেই। মেধাবী শিশুদের তাদের বয়স নির্বিশেষে বসবাসের অনুমতি দেয়া হয়। গ্রিন রেসিডেন্স ধারককে তার অতি নিকটস্থ আত্মীয়দের নিয়ে আসার অনুমতি দেয়া হবে এবং সমস্ত ক্ষেত্রে, পরিবারের সদস্যদের বসবাসের সময়কাল ভিসাধারীর মতোই হবে।
আরও পড়ুন: ভিসা ছাড়া পোল্যান্ডে ঢুকতে পারবেন ইউক্রেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা
ইউএই গ্রিন ভিসা লাভের যোগ্যতা
দক্ষ কর্মী
যে কোনো কাজে দক্ষ কর্মীদের জন্য এই ভিসা কোন স্পন্সর বা নিয়োগকর্তা ছাড়াই পাঁচ বছরের আবাসিক সময়কাল প্রদান করে।
→ আবেদনকারীদের একটি বৈধ কর্মসংস্থান চুক্তি থাকতে হবে
→ মানব সম্পদ ও আমিরাত মন্ত্রণালয় অনুযায়ী ব্যক্তিকে প্রথম, দ্বিতীয় বা তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারি হতে হবে
→ শিক্ষাগত যোগ্যতা ন্যূনতম স্নাতক ডিগ্রি বা তার সমতুল্য হওয়া বাঞ্ছনীয়
→ আবেদনকারীর বেতন নূন্যতম ১৫ হাজার আমিরাতি দিরহাম (৪,০৮৩.৭৪ মার্কিন ডলার) হতে হবে
ফ্রিল্যান্সার
→ ফ্রিল্যান্সিং এবং স্ব-কর্মসংস্থানের জন্য গ্রিন রেসিডেন্স ইউএইতে স্পন্সর বা নিয়োগকর্তার প্রয়োজন ছাড়াই পাঁচ বছরের বসবাসের ব্যবস্থা করে
→ মানব সম্পদ ও আমিরাত মন্ত্রণালয় থেকে ব্যক্তিকে ফ্রিল্যান্স বা স্ব-কর্মসংস্থানের অনুমতি প্রাপ্ত হতে হবে
→ ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা হতে হবে স্নাতক ডিগ্রি বা বিশেষ ডিপ্লোমা
→ বিগত দুই বছরে স্ব-কর্মসংস্থান থেকে বার্ষিক আয় কমপক্ষে তিন দশমিক ছয় লাখ আমিরাতি দিরহাম (৯,৮০০ মার্কিন ডলার), অথবা আবেদনকারীকে দেশে থাকার সময় তাদের আর্থিক স্বচ্ছলতা প্রমাণ করতে সক্ষম হতে হবে|
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ-ব্রাজিলের ভিসা অব্যাহতি চুক্তি স্বাক্ষর
বিনিয়োগকারী বা অংশীদার
→ বিনিয়োগে উৎসাহিত করার জন্য এই ভিসা বাণিজ্যিক কার্যক্রম প্রতিষ্ঠায় বিনিয়োগকারীদের জন্য পাঁচ বছরের বসবাসের ব্যবস্থা করে।
→ ব্যক্তির বিনিয়োগের অনুমোদন এবং কমপক্ষে এক মিলিয়ন আমিরাতি দিরহাম বিনিয়োগের প্রমাণপত্র লাগবে
→ যদি বিনিয়োগকারীর একাধিক লাইসেন্স থাকে, তাহলে মোট বিনিয়োগকৃত মূলধন গণনা করা হবে। সেক্ষেত্রে উপযুক্ত স্থানীয় কর্তৃপক্ষের অনুমোদন বাধ্যতামূলক।
জব এক্সপ্লোরেশন ভিসা
এই ভিসা মূলত তরুণ প্রতিভা এবং দক্ষ পেশাদারদের দেশে উপলব্ধ চাকরির সুযোগ অন্বেষণের জন্য আকৃষ্ট করার এক মহৎ উদ্যোগ। ভিসার জন্য স্পন্সরের প্রয়োজন নেই, তবে ব্যক্তিকে অবশ্যই-
→ মানবসম্পদ ও এমিরেটাইজেশন মন্ত্রণালয় অনুসারে প্রথম বা দ্বিতীয় বা তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারি হতে হবে
→ বিশ্বের সেরা ৫০০টি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সদ্য স্নাতক করা থাকতে হবে
→ স্নাতক ডিগ্রি বা তার সমতুল্য শিক্ষাগত যোগ্যতার নিচে গ্রহণযোগ্য নয়|
আরও পড়ুন: ঢাকা থেকে ভিসা দেয়ায় রোমানিয়াকে ধন্যবাদ পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
রিমোট ওয়ার্ক ভিসা
দুবাইয়ের এক বছরের ভিসা আনুষ্ঠানিকভাবে ভার্চুয়াল ওয়ার্কিং প্রোগ্রাম (ভিডব্লিউপি) নামে পরিচিত। এই ব্যবস্থাটি ভিসাধারীদের ইউএইর বাইরে থেকে দুবাইতে স্থানান্তরিত করতে এবং আইনত তাদের বর্তমান কোম্পানি বা সংস্থার জন্য দূর থেকে কাজ করার অনুমতি দেয়। এটি বিদেশি নাগরিকদের নিজস্ব খরচে ইউএইতে প্রবেশ করতে এবং ভিসার সঙ্গে সম্পৃক্ত শর্তাবলী অনুসারে কাজ করার অনুমতি দেয়।
এক বছরের ভিসাটি বিশেষভাবে দক্ষ কর্মী ও উদ্যোক্তাদের পাশাপাশি অন্যান্য অবস্থান-স্বাধীন ব্যক্তিদের সুবিধার জন্য প্রণয়ন করা হয়েছে। দুবাইতে বসবাসের জন্য আবেদন যদি ইউএই দ্বারা অনুমোদিত হয়, তাহলে পরিবারকেও সঙ্গে আনা যাবে। সেক্ষেত্রে শর্তগুলো হলো-
→ বর্তমান নিয়োগকর্তার কাছ থেকে এক বছরের একটি বৈধ চুক্তিসহ কর্মসংস্থানের প্রমাণ লাগবে
→ প্রতি মাসে উপার্জিত বেতন ন্যূনতম পাঁচ হাজার মার্কিন ডলার হতে হবে। এর জন্য বিগত মাসের বেতন স্লিপ এবং আগের তিন মাসের ব্যাংক স্টেটমেন্ট দিতে হবে।
→ কোম্পানির মালিক হলে, এক বছর বা তার বেশি সময়ের জন্য কোম্পানির মালিকানার প্রমাণ লাগবে
→ উদ্যোক্তার মাসিক গড় আয় পাঁচ হাজার মার্কিন ডলার হতে হবে। এর জন্য পূর্ববর্তী তিন মাসের জন্য কোম্পানির অ্যাকাউন্টের ব্যাংক স্টেটমেন্ট দিতে হবে।
আরও পড়ুন: মালদ্বীপে অবৈধ বাংলাদেশি প্রবাসীদের ভিসা সংগ্রহের আহ্বান
পরিশেষে
কর্মক্ষেত্র হিসেবে সেরা গন্তব্য হওয়ায় বাংলাদেশিদের কাছে সংযুক্ত আরব আমিরাতের ভিসা প্রাপ্তি বরাবরই আকর্ষণীয় ছিল। এখন গোল্ডেন ভিসার নতুন ক্যাটাগরি ও গ্রিন ভিসার মাধ্যমে অপার সম্ভাবনার দুয়ার খুলে দিলো মধ্যপ্রাচ্যের দেশটি। মেধাবী শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে নিজেদের কর্মক্ষেত্রে সেরা ব্যক্তিরা এখন নিমেষেই অতি প্রত্যাশিত সুবিধাগুলো অর্জন করে নিতে পারবে। মানবসম্পদ উন্নয়নের এই মহান উদ্যোগ অচিরেই উন্নত সংস্কৃতি ও সমৃদ্ধশালী অবকাঠামোর অধিকারি হয়ে ওঠার দৃষ্টান্তমূলক নকশা।
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া, মধ্যপ্রাচ্য ও ইউরোপে করোনায় শনাক্ত বেড়েছে
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া, মধ্যপ্রাচ্য ও ইউরোপে গত এক সপ্তাহে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে। তবে এ সময়ে ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে বিশ্বব্যাপী মৃত্যুর সংখ্যা ১৬ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে।
বুধবার সর্বশেষ সাপ্তাহিক মহামারি প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
বিশ্ব স্বাস্থ্য জানায়, গত এক সপ্তাহে তিন দশমিক তিন মিলিয়ন মানুষ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন যা চার শতাংশ হ্রাস এবং সাড়ে সাত হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে।
আরও পড়ুন: দেশে করোনায় মৃত্যু ১, বেড়েছে শনাক্তের হার
তবে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া ও মধ্যপ্রাচ্যে ৪৫ শতাংশ এবং ইউরোপে ছয় শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। শুধু দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় একমাত্র অঞ্চল যেখানে করোনায় মৃত্যু চার শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে এবং অন্যত্র কমেছে।
মহামারি বিশেষজ্ঞ ও দক্ষিণ আফ্রিকার কোয়াজুলু-নাটাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সেলিম আবদুল করিম বলেন, কোভিড-১৯ এর শনাক্তের সংখ্যা ‘ট্রফ’ স্তরে পৌঁছেছে এবং গত আড়াই বছরে খুব বেশি দেখা যায়নি। তবে তিনি সতর্ক করে বলেছেন, ব্রিটেনসহ কিছু দেশে করোনায় শনাক্ত ফের বাড়তে শুরু করেছে।
আরও পড়ুন: বিশ্বজুড়ে করোনায় আক্রান্ত সাড়ে ৫৪ কোটি ছাড়াল
যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে রেমিট্যান্স বাড়ছে
মার্চে যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স এসেছে যা অভ্যন্তরীণ রেমিট্যান্স প্রবাহে পরিবর্তন নির্দেশ করে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, স্বাধীনতার পর থেকে রেমিট্যান্সের ক্ষেত্রে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর প্রাধান্য রয়েছে। কিন্তু এখন অনেক বাংলাদেশি দক্ষ মানুষ উন্নত দেশে কাজ করায় পরিস্থিতির পরিবর্তন হচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ ব্যাংকের আগের রেকর্ড বিশ্লেষণ করে আমরা দেখতে পেয়েছি মধ্যপ্রাচ্যের বাইরে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে অভ্যন্তরীণ রেমিট্যান্স প্রবাহ ধীরে ধীরে বাড়ছে।’
আরও পড়ুন: চলতি অর্থবছরের ৮ মাসে রেমিট্যান্স কমেছে ৩.২৫ বিলিয়ন ডলার
তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের মতো উন্নত দেশগুলোতে ফ্রিল্যান্সিং কাজের কারণে রেমিট্যান্স আয় বৈচিত্র্যময় হবে।
রেমিট্যান্স নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ তথ্যে দেখা যায়, বাংলাদেশ মার্চে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ৩০৮ দশমিক ৮২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স পেয়েছে যা এখন পর্যন্ত দেশটি থেকে এক মাসে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স।
মার্চে বাংলাদেশ সৌদি আরব থেকে ৩৭৭ মিলিয়ন, যুক্তরাজ্য থেকে ২১৪ দশমিক ১৬ মিলিয়ন, সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে ১৮৪ দশমিক ১৪ মিলিয়ন, কুয়েত থেকে ১৪৪ দশমিক ৪৮, কাতার থেকে ১১৯ দশমিক ৫৯ মিলিয়ন, ইতালি থেকে ৮৫ দশমিক ৮৮ মিলিয়ন, মালয়েশিয়া থেকে ৮১ দশমিক ৪৩ মিলিয়ন, ওমান থেকে ৭৪ দশমিক ৩০ ও বাহরাইন থেকে ৮৭ দশমিক ৪৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স পেয়েছে।
আরও পড়ুন: রেমিট্যান্স প্রবাহ নিয়ে আত্মতৃপ্তির সুযোগ নেই, বলছেন অর্থনীতিবিদরা
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য থেকে দেখা যায়, কোভিড-১৯ মহামারির সময়ে যুক্তরাষ্ট্র থেকে অভ্যন্তরীণ রেমিট্যান্স প্রবাহ বেড়েছে।
প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এক কোটি ২০ লাখ বাংলাদেশি বসবাস করছেন।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা যায়, মধ্যপ্রাচ্য, আমেরিকা ও ইউরোপের দেশগুলোর প্রবাসীরা বাংলাদেশের রেমিট্যান্স আয়ে বড় ভূমিকা রাখছেন।
মধ্যপ্রাচ্যের বাইরেও শ্রমবাজার খোঁজার তাগিদ পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন বলেছেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে আমাদের মিশনগুলোর দায়িত্ব হবে নতুন নতুন শ্রমবাজার খুঁজে বের করা এবং সেখানে আমাদের শ্রমশক্তি নিয়োগের ব্যবস্থা করা। এর ফলে একদিকে ওই দেশের উন্নয়নে বাংলাদেশ সরাসরি ভূমিকা রাখবে অন্যদিকে আমাদের শ্রমিকেরা রেমিটেন্স পাঠিয়ে বাংলাদেশের উন্নয়নে অবদান রাখতে সক্ষম হবে।
ড. মোমেন বলেন, আমাদের শ্রমশক্তিকে আরও দক্ষ করে গড়ে তুলে বিদেশে নিয়োজিত করতে পারলে আমাদের কেউ দাবিয়ে রাখতে পারবে না। তিনি বলেন, আমাদের প্রবাসী শ্রমিকদের অধিকাংশ প্রায় ৮০ ভাগই মধ্যপ্রাচ্যে। কিন্তু আমরা অন্যান্য অঞ্চলেও আমাদের শ্রমশক্তি প্রেরণ করতে চাই।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বিদেশে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনারগণের সঙ্গে অনুষ্ঠিত ভার্চ্যুয়াল সভায় ইংরেজি নববর্ষের শুভেচ্ছা বিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: এটি রাতারাতি সমাধান হবে না: মার্কিন নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ২০৩১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উচ্চ মধ্যম আয়ের দেশ এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত সমৃদ্ধশালী দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কৌশলগত কূটনৈতিক পদক্ষেপ হিসেবে ইকোনমিক ডিপ্লোম্যাসি ও পাবলিক ডিপ্লোম্যাসি বাস্তবায়নে বিভিন্ন নির্দেশনা প্রদান করেন।
সম্প্রতি রোমানিয়াতে লোক নেয়ার বিষয় উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, অন্যান্য দেশেও আমাদের শ্রমশক্তি প্রেরণের লক্ষ্যে কূটনৈতিক প্রচেষ্টা বাড়াতে হবে। তিনি আফ্রিকা অঞ্চলে কনট্রাক্ট ফার্মিং-এর মাধ্যমে বাংলাদেশের শ্রমিকদের সেখানে পাঠানোর সুযোগ সৃষ্টির জন্য ঐসব দেশের সরকারের সঙ্গেও যোগাযোগ বৃদ্ধির তাগিদ দেন।
আরও পড়ুন: দেশের সমুদ্রাঞ্চলে মেরিন জেনেটিক রিসোর্সের বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
ড. মোমেন বাংলাদেশে বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করার মাধ্যমে দেশের জনশক্তিকে কাজে লাগানোর সুযোগ সৃষ্টির প্রতি গুরুত্বারোপ করেন। একইসঙ্গে বিদেশে বাংলাদেশের বাণিজ্য বৃদ্ধির লক্ষেও কূটনৈতিক তৎপরতা চালাতে বাংলাদেশ মিশনসমূহের কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেন। তিনি বলেন, উন্নত বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে দেশকে এগিয়ে নিতে প্রযুক্তি স্থানান্তরেও ভূমিকা রাখতে হবে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিদেশে বাংলাদেশের মর্যাদা বৃদ্ধির লক্ষ্যে, বিশেষ করে প্রবাসী বাংলাদেশিদের পাশে থাকতে এবং মিশনগুলোতে সেবার মান বাড়াতে সেখানে নিয়োজিত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সমন্বিতভাবে কাজ করার আহ্বান জানান।
উটের জকি হিসেবে বাংলাদেশি শিশুদের ব্যবহার শেষ হওয়ার গল্প
খুব বেশি বছর আগের কথা নয় যখন আমরা বাংলাদেশি শিশুদের নিজ বাড়ি থেকে অনেক দূরের বিভিন্ন আরব দেশে উটের জকি হিসেবে ব্যবহৃত হতে দেখেছি। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে করুণ এই পরিস্থিতি পরিবর্তিত হলেও বাংলাদেশের শিশুদের উটের জকি হিসেবে ব্যবহার শেষ করার পেছনে রয়েছে অজস্র গল্প। আমরা ২০০৫ সালের আগস্টে সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই) থেকে উটের জকিদের প্রত্যাবাসনও দেখেছি।
আটকে পড়া প্রবাসী বাংলাদেশিদের ফিরিয়ে নিতে বাহরাইনের প্রতি আহ্বান
করোনা মহামারির কারণে আটকে পড়া বাহরাইন প্রবাসী বাংলাদেশিদের সেদেশে ফিরিয়ে নিতে বাহরাইনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ।
ভাস্কর্য নিয়ে উসকানি দিলে সরকার বসে থাকবে না: হাছান মাহমুদ
ভাস্কর্য নিয়ে উসকানিমূলক বক্তব্য অনবরত করতে থাকলে সরকার বসে থাকবে না বলে হুঁশিয়ারি করে দিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।
কুয়েতের আমির শেখ সাবাহ মারা গেছেন
কুয়েতের আমির শেখ সাবাহ মঙ্গলবার ৯১ বছর বয়সে মারা গেছেন।