ভারতের গুজরাটে মোরবি ব্রিজ ধসে ১৩৫ জন নিহতের ঘটনায় অভিযুক্ত এক ব্যক্তি এই দুর্ঘটনাকে ‘ঈশ্বরের ইচ্ছা’ বলে জানিয়েছেন। বুধবার মোরবি সেতু রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে থাকা ওরেভা কোম্পানির ব্যবস্থাপক দীপক পারেখ দেশটির আদালতে কথা বলার সময় এ মন্তব্য করেন।
এনডিটিভি জানিয়েছে, রবিবার ব্রিজটি ভেঙে পড়ার পর গ্রেপ্তার হওয়া নয়জনের মধ্যে তিনি একজন।
তিনি চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এম জে খানকে জানিয়েছেন, ‘... ভগবান কি ইচ্ছা (ঈশ্বরের ইচ্ছা), তাই এমন একটি দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা ঘটেছে।’
মোরবি পুলিশের ডেপুটি সুপারিনটেনডেন্ট পিএ জালা আদালতে সাক্ষ্য দিয়ে বলেছেন, মোরবি সেতুর তারে ‘মরিচা পড়ে গেছে’ এবং সংস্কারের সময় এটি বদলানো হয়নি।’
আরও পড়ুন: গুজরাটে ঝুলন্ত সেতু দুর্ঘটনায় গ্রেপ্তার ৯
এনডিটিভির প্রতিবেদনে পুলিশ কর্মকর্তাকে উদ্ধৃত করা হয়েছে, গত ২৬শে অক্টোবর কোনো অফিসিয়াল পর্যালোচনা বা মান নিয়ন্ত্রণ ছাড়াই মোরবি সেতুটি যান চলাচলের জন্য আবার খুলে দেয়া হয়।
ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘দেড়শ বছরের পুরনো সেতুটি রক্ষণাবেক্ষণ ও মেরামতের অংশ হিসেবে শুধুমাত্র প্ল্যাটফর্ম পরিবর্তন করা হয়েছিল। সেতুটি একটি তারের উপর ছিল এবং তারে কোন তেল বা গ্রীসিং করা হয়নি। যেখান থেকে তারটি ভেঙ্গে গেছে, সেখানকার তারে মরিচা ধরেছে। তারটি মেরামত করা হলে, ঘটনাটি ঘটত না।’
একজন প্রসিকিউটরের মতে, গুজরাটের ধসে পড়া মোরবি ব্রিজ মেরামতকারী ঠিকাদাররা পাবলিক অবকাঠামো মেরামত কাজে অযোগ্য ছিল। প্রসিকিউটরের মতে, ‘তা সত্ত্বেও এই ঠিকাদারদের ২০০৭ সালে এবং তারপর ২০২২ সালে সেতু মেরামতের কাজ দেয়া হয়েছিল।’
আরও পড়ুন: 'ফিটনেস সার্টিফিকেট' ছাড়াই খুলে দেয়া হয় মোরবি সেতু!