বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে নেপাল সরকারকে সহায়তা প্রদানের লক্ষ্যে এ চুক্তি হলো।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের সাথে সম্পর্ক গভীর করতে চায় নেপাল
বৃহস্পতিবার শিল্প মন্ত্রণালয়ে বিসিআইসি চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মো. আমিন উল আহসান এবং কেএসসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নেত্র বাহাদুর ভান্ডারি নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে এ চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।
শিল্প সচিব কেএম আলী আজম ও বাংলাদেশে নিযুক্ত নেপালের রাষ্ট্রদূত ডা. বংশীধর মিশ্রসহ শিল্প মন্ত্রণালয়, বিসিআইসি এবং কর্ণফুলী ফার্টিলাইজার কোম্পানি লিমিটেডের (কাফকো) ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি ও নেপাল সরকারের কৃষি ও প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রণালয় এবং কেএসসিএলের প্রতিনিধিবৃন্দরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: নেপালকে করোনার চিকিৎসা সামগ্রী প্রদান করল বাংলাদেশ
অনুষ্ঠানে শিল্প সচিব আলী আজম জানান, নেপালের জনগণের প্রয়োজনীয়তা বিবেচনা করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ সহযোগিতার জন্য নির্দেশনা প্রদান করেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ নিজস্ব চাহিদা পূরণে সার আমদানি করলেও বন্ধুপ্রতিম প্রতিবেশী দেশ নেপালের জরুরি প্রয়োজনে বাংলাদেশ সার রপ্তানির চুক্তি করে বন্ধুত্বের হাত সম্প্রসারিত করেছে।
আরও পড়ুন: দেশে ৯ লাখ ৩৫ হাজার টন ইউরিয়া মজুদ আছে: মন্ত্রণালয়
বাংলাদেশ নেপালের সাথে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয় উল্লেখ করে শিল্প সচিব বলেন, সার সহযোগিতার মাধ্যমে দুদেশের মধ্যে সহযোগিতার যে নতুন মাত্রা যুক্ত হয়েছে তাতে উভয় দেশ উপকৃত হবে। এ সহযোগিতা ভবিষ্যতে অব্যাহত থাকবে বলে তিনি জানান।
বাংলাদেশে নিযুক্ত নেপালের রাষ্ট্রদূত বংশীধর মিশ্র তার বক্তৃতায় সার সহযোগিতার জন্য বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি বিশেষ কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন।
আরও পড়ুন: ৮০ হাজার মে. টন ইউরিয়া সার আমদানিসহ ৭ প্রস্তাবে মন্ত্রিসভার অনুমোদন
নেপাল ও বাংলাদেশকে পরস্পরের সত্যিকারের বন্ধু উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে নেপাল বাংলাদেশকে সহযোগিতা করেছিল, আবার নেপালের যে কোনো দুর্যোগে বাংলাদেশ সব সময় পাশে এসে দাঁড়িয়েছে। দুদেশের এ সম্পর্ককে জনগণের কল্যাণে কাজে লাগানোর সময় এসেছে বলে তিনি মন্ত্রব্য করেন।
নেপালকে সার সহায়তা প্রদানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অভিপ্রায় ও নির্দেশনার পরিপ্রেক্ষিতে আজ এ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
আরও পড়ুন: চাল, সার, পেট্রোলিয়াম ক্রয় প্রস্তাব মন্ত্রিসভায় অনুমোদন
চুক্তির আওতায় ৫০ হাজার মেট্রিক টন সার কাফকো থেকে নেপাল সরকারকে দেয়া হবে। এক কোটি ২৯ লাখ ১৮ হাজার ৭৫০ মার্কিন ডলারের সম পরিমাণ বাংলাদেশি প্রায় ১০৯ কোটি ৭৪ লাখ ৪৭ হাজার ৮১২ টাকায় নেপাল এ সার ক্রয় করছে।
সার সহযোগিতা চুক্তি স্বাক্ষরের মাধ্যমে কৃষি ক্ষেত্রে নেপাল-বাংলাদেশের সহযোগিতার এক নতুন অধ্যায় রচিত হলো। নেপালের সাথে আলোচনাধীন অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তি (পিটিএ) স্বাক্ষরিত হলে শিল্প ও বাণিজ্য ক্ষেত্রে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও বেগবান হবে।