চট্টগ্রামের পাইকারি পণ্যের বৃহৎ বাজার খাতুনগঞ্জ ব্যবসায়ীদের দাবি, চাহিদা বাড়ায় পেঁয়াজ, আদা, রসুনের দাম কিছুটা বাড়তি। একই সাথে বেড়েছে মরিচ, এলাচ, দারুচিনি, জিরাসহ সব ধরনের মসলার চাহিদাও।
এ বাজারের বেশির ভাগ আদা আমদানি করা হয় চীন থেকে। তবে দেশটিতে আদার দাম বাড়ায় কমেছে সরবরাহ। ফলে গত সপ্তাহের তুলনায় পাইকারি বাজারে আদার দাম বেড়েছে কেজি প্রতি ১০-১৫ টাকা। তবে ভারত থেকে পেঁয়াজ এবং চীন থেকে রসুনের আমদানি যথেষ্ট থাকায় পণ্য দুটির দাম এখন নিম্নমুখী।
বাজার ঘুরে দেখা যায়, ঈদের আগে খুচরা বাজারে কেজি প্রতি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩৪-৩৫ টাকা, আর রসুন ১৮০ টাকায়।
দাম বেড়েছে মরিচ, হলুদ ও দারুচিনির। কেজিতে ১২০ টাকা বেড়ে দারুচিনি বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ টাকায়। শুকনো মরিচ ২০ টাকা বেড়ে ২০০, আর হলুদ বিক্রি হচ্ছে ১১০-১২০ টাকায়। তবে স্থিতিশীল রয়েছে জিরা, ধনিয়া, এলাচ ও লবঙ্গের দাম।
এছাড়াও খাতুনগঞ্জে প্রতি কেজি এলাচ ২২৫০ টাকা, দারুচিনি ৩০০, জিরা ৩০০, তেজপাতা ১০০, সাদা গোল মরিচ ৭০০ টাকা, কালো গোল মরিচ ৫০০ টাকা, জায়ফল ৪৫০ টাকা, কিসমিস ৩০০-৩৭০ টাকা, আলু বোখরা ৩৩০, পোস্তদানা ৯৮০- ১১৫০টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
ঈদকে ঘিরে পণ্যের বাজারে এমন পরিস্থিতিতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ক্রেতারা। তাদের অভিযোগ, ঈদুল আজহার আগে সুযোগ বুঝে দাম বাড়িয়েছে ব্যবসায়ীরা। বাজারে মসলার সংকট না থাকলেও এমন পরিস্থিতির জন্য আমদানিকারকদের দুষছেন পাইকাররা।
মসলা পাইকাররা বলেন, আমদানিকারকরা বলছে এখন খরচ বেশি পড়ছে তাই একটু দামও বাড়বে। মূলত কোথায় কিভাবে দাম বাড়ছে সেটা আমদানিকারকরাই বলতে পারবে।
মসলা আমদানিকারক সোলাইমান আলম বাদশা বলেন, যেহেতু এটি আর্ন্তজাতিক বাজারের একটি অংশ। তাই সেখানে পণ্যের দাম বেড়ে গেলে এখানেও বেড়ে যায়। কমলে এখানেও কমে।
নিত্যপণ্যের বাজার দরের এমন ঊর্ধমুখী লাগাম টানতে মাঠে নামার কথা থাকলেও শেষ মুহূর্তে এ নিয়ে প্রশাসনের কোন তৎপরতা দেখা যায়নি বলে অভিযোগ করেছে ভোক্তারা।
তারা বলছেন, নিয়মিত বাজারে তদারকির ব্যবস্থার করতে হবে। যদি সরকার এটি করে তাহলে সাধারণ মানুষের জন্য ভালো হয়।
কিছু মসলার দাম বেড়েছে স্বীকার করে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আলী হাসান বলেন, ‘এক শ্রেণির লোক এ সুযোগে ভেজাল তৈরির চেষ্টা করছে। আমরা বেশ কিছু স্থানে অভিযান চালিয়েছি। আরও চালানো হবে’