বুধবার শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূনের সাথে অনলাইনে বিদায়ী সাক্ষাৎকালে তিনি একথা বলেন।
এসময় করোনা মোকাবিলায় বাংলাদেশ সরকার গৃহীত পদক্ষেপ, জাহাজ নির্মাণ ও জাহাজ রিসাইক্লিং শিল্পখাতে দক্ষ জনবল তৈরি, পরিবেশবান্ধব সবুজ শিল্পায়নে সহায়তা জোরদার এবং দুদেশের মধ্যে অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও বাণিজ্য প্রসারে পারস্পরিক সহযোগিতাসহ দ্বিপাক্ষিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য বিষয় আলোচনা হয়।
বিদায়ী রাষ্ট্রদূত করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ সরকার গৃহীত উদ্যোগের প্রশংসা করে বলেন, ‘করোনাকালীন এবং করোনা পরবর্তী সময়ের জন্য সরকার গৃহীত বিভিন্ন কার্যক্রম ও উন্নয়ন পরিকল্পনা বাস্তবায়নের মাধ্যমে বাংলাদেশ দ্রুত করোনার ক্ষতি কাটিয়ে ওঠবে এবং আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের অভীষ্ট লক্ষ্য অর্জনে সক্ষম হবে।’
তিনি করোনা-উত্তর বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন অভিযাত্রায় নরওয়ের সহায়তা অব্যাহত থাকবে বলে জানান।
নরওয়েকে বাংলাদেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন অংশীদার হিসেবে উল্লেখ করে শিল্পমন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতার পর থেকেই নরওয়ে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক অগ্রগতিতে অব্যাহত সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে। তিনি বাংলাদেশের শিপবিল্ডিং ও শিপ রিসাইক্লিং, তৈরি পোশাক, মেরিন রিসোর্সসহ উদীয়মান শিল্পখাতে নরওয়ের উদ্যোক্তাদের বিনিয়োগে এগিয়ে আসতে রাষ্ট্রদূতের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। পাশাপাশি শিল্প বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিশেষ করে মেডিকেল বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় নরওয়ের অভিজ্ঞতা বাংলাদেশের কাজে লাগবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
করোনা পরবর্তী অর্থনৈতিক উত্তরণে নরওয়ের সাথে বাংলাদেশ অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে কাজ করতে আগ্রহী বলে তিনি উল্লেখ করেন।
শিল্পমন্ত্রী একজন পেশাদার রাষ্ট্রদূত হিসেবে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখায় বিদায়ী রাষ্ট্রদূতকে ধন্যবাদ জানান। নরওয়ের পরবর্তী রাষ্ট্রদূত এর ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতে সক্ষম হবেন বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।