দেশের কোন চিনিকলই স্থায়ীভাবে বন্ধ করা হয়নি মন্তব্য করে শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বলেছেন, চিনিকল আধুনিকায়নের জন্য সাময়িকভাবে কারখানার কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘দেশের কোন চিনিকলই বন্ধ না। পুনরায় সকল কারখানা চালু করা হবে।’
শুক্রবার চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলা দর্শনা কেরু এ্যান্ড কোম্পানি চিনিকলে ২০২১-২০২২ আখ মাড়াই মৌসুমের শুভ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘কৃষিপণ্য উৎপাদনের ব্যাপারে সরকার সর্বোচ্চ সুবিধা দেয়। এ বিষয়টিও যাচাই বাছাই করা হবে। কৃষকদের দাবি মানার বিষয়টি দেখা হবে।’
আরও পড়ুন: শিল্পায়ন ত্বরান্বিতকরণে দেশি বিদেশি বিনিয়োগে শিল্পমন্ত্রীর আহ্বান
এসময় বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশী বাজারে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ে বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম বাড়লে দেশের বাজারেও সে দাম বৃদ্ধি পায়। তবে আমদানি নির্ভর এসব দ্রব্য মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রাখতে উপজেলা পর্যায়ে টিসিবি কার্যক্রম শুরু করা হবে। আশা করি, আগামী ৩ মাসের মধ্যে ৪০০-৫০০ টিসিবি ট্রাক নামানো হবে।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার, শিল্প সচিব জাকিয়া সুলতানা, বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান আরিফুর রহমান অপু, চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের সংসদ সদস্য হাজী মো. আলী আজগার টগর উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: চিনিকল বন্ধের কোনো সিদ্ধান্ত নেই: শিল্পমন্ত্রী
উল্লেখ্য, ১৯৩৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় দেশের সবচেয়ে বড় চিনিকল দর্শনা কেরু অ্যান্ড কোম্পানি। চিনি উৎপাদন কারখানা, ডিস্টিলারি, জৈব সার কারখানা এবং ওষুধ কারাখানার সমন্বয়ে গঠিত বৃহৎ এ শিল্প কমপ্লেক্সের চিনি কারখানাটি দীর্ঘদিন ধরে অব্যাহতভাবে লোকসান গুনে আসছিল। সরকারিভাবে চিনির মূল্যবৃদ্ধির কারণে কিছুটা ঘুরে দাঁড়িয়েছে কারখানাটি। তবে চিনির মূল্য বাড়লেও আশানুরূপ হারে আখের মূল্য সেভাবে বাড়েনি বলে অভিযোগ চাষিদের। বর্তমানে মিলে আখের মূল্য প্রতি মণ ১৪০ টাকা। তবে প্রতি মণ ২৫০ টাকা দাবি করেছে চাষিরা।