পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম, পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেনসহ মন্ত্রণালয়ের সচিব, মহাপরিচালক এবং পরিচালকদের সঙ্গে নিয়ে শনিবার পায়রা বন্দর ঘুরে দেখেন ড. মোমেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ সময় বন্দর এলাকায় একটি গাছ রোপণ করেন।
সরকারের উন্নয়ন কার্যক্রমসহ দেশের সম্ভাবনাকে সারা বিশ্বে তুলে ধরার সুবিধার্থে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের প্রত্যক্ষ ধারণা অর্জনের জন্য পায়রা বন্দর পরিদর্শনের আয়োজন করা হয় বলে রবিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরু করতে মিয়ানমার ইতিবাচক: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
জনকূটনীতি প্রচারে গণমাধ্যমের সহযোগিতা চান পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা এ বন্দরের কার্যক্ষমতা ও সেবা বর্হিবিশ্বে তুলে ধরতে সক্ষম হবেন বলে এ সময় আশাবাদ ব্যক্ত করেন ড. মোমেন।
বিশ্বের উন্নত বন্দরের ন্যায় পায়রা বন্দরে দ্রত মালামাল উঠানো-নামানোসহ উন্নত সেবা প্রদানের মাধ্যমে বিশ্বে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে এখানকার কর্মকর্তা-কর্মচারীরা আন্তরিকতার সাথে কাজ করে যাবেন বলে প্রত্যাশা করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
এ সময় বন্দরের সার্বিক কার্যক্রম ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা উপস্থাপন করা হয়। এছাড়াও এ বিষয়ে একটি ভিডিও প্রদর্শন করা হয়।
আরও পড়ুন: টিকা উপহার শেখ হাসিনা-নরেন্দ্র মোদির দৃঢ় সম্পর্কের নিদর্শন: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
বাংলাদেশকে সামরিক বাহিনীর ক্ষমতা গ্রহণের ব্যাখ্যা দিয়েছে মিয়ানমার: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
এ সময় জানানো হয়, বর্তমানে ৪৫ কিলোমিটার চ্যানেলে বছরে প্রায় ২০০ জাহাজ চলাচল করছে। তবে নির্মাণকাজ শেষ হলে প্রতিদিন ৫০টি জাহাজ চলাচল করতে পারবে। একটি পাওয়ার প্লান্ট স্থাপনসহ বন্দর ভবনের কিছু অংশের নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে।
পটুয়াখালী জেলার কলাপাড়া রামনাবাদ চ্যানেলে নির্মানাধীন পায়রা বন্দরটি ২০১৩ সালের ১৯ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হসিনা উদ্বোধন করেন। এ বন্দর স্থাপনের মূল উদ্দেশ্য চট্টগ্রাম ও মোংলা বন্দরের চাপ কমানো এবং এ এলাকার আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন।