মঙ্গলবার গণমাধ্যমকে পাঠানো এক বিবৃতিতে ক্যাব কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট এসএম নাজের হোসাইন এ দাবি জানান।
ক্যাব চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাধারণ সম্পাদক কাজী ইকবাল বাহার ছাবেরী, মহানগর সভাপতি জেসমিন সুলতানা পারু, সাধারণ সম্পাদক অজয় মিত্র শংকু, যুগ্ম সম্পাদক তৌহিদুল ইসলাম, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা সভাপতি আবদুল মান্নান, ক্যাব যুব গ্রুপের সভাপতি চৌধুরী কেএনএম রিয়াদ ও সম্পাদক নিপা দাস দাবির সাথে একমত প্রকাশ করেন।
বিবৃতিতে নেতারা বলেন, বাজারে অভিযান চালালেই ব্যবসায়ীরা বিক্রি বন্ধ করে ধর্মঘট দিয়ে প্রশাসনের সাথে দেনদরারে চলে যান। আর প্রশাসন বড় বড় ব্যবসায়ীদের চাপে এসব অসাধু ব্যবসায়ী চক্রের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয় না। আর চোরাচালান কায়দায় বৈধ কাগজপত্র ছাড়া পণ্য বিক্রি ও অর্থ লেনদেনের কারণে মানি লন্ডারিংয়ের মতো অপরাধ বাড়ছে এবং সরকার বিপুল পরিমাণ রাজস্ব হারাচ্ছে।
বিবৃতিতে নেতারা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ভারতে পেঁয়াজ উৎপাদনকারী রাজ্যে বৃষ্টি ও বন্যার সংবাদে দেশে পেঁয়াজের মূল্য হঠাৎ করে দুই সপ্তাহ ধরে দফায় বাড়লেও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও জেলা প্রশাসন কোনো প্রকার উদ্যোগ না নিয়ে নীরব থাকায় জনমনে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, যেকোনো পণ্যের দাম বাড়লে বা কৃত্রিম সংকট তৈরি হলে ইতোপূর্বে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও জেলা প্রশাসন ওই খাতের ব্যবসায়ী ও ভোক্তা এবং প্রশাসনের লোকজনকে নিয়ে করণীয় বিষয়ে পরামর্শ সভা করে বিকল্প উৎস থেকে আমদানি, বাজার তদারকি জোরদার করে মজুত ঠেকানো ও টিসিবির মাধ্যমে খোলা বাজারে পণ্য বিক্রি করে অস্থিরতা বন্ধে উদ্যোগ নিয়ে থাকলেও ইদানিং ব্যবসায়ীদের ওপর সবকিছু ছেড়ে দেয়া হয়েছে।
তারা আরও বলেন, মানুষের দুর্ভোগ লাগবে কার্যকরী ও বিকল্প ব্যবস্থা হিসেবে ভ্রাম্যমাণ আদালত, সমন্বিত বাজার তদারকি কার্যক্রমের একটি উদ্ভাবনী মডেল চলমান ছিল। কিন্তু বর্তমানে নিত্যপ্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্যের বাজার স্থিতিশীল রাখা ও নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতের মতো অতি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোতে প্রশাসনের দৃষ্টি না থাকায় তারা সাধারণ জনগণের দুর্ভোগ লাগবে কার্যকর উদ্যোগ নিচ্ছে না। ফলে সরকারের অনেক উদ্ভাবনী উদ্যোগের সুফল তৃণমূল মানষ উপভোগ করতে পারছে না।