ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি সাগর-রুনি মিলনায়তন হলে বৃহস্পতিবার ২০২১-২২ অর্থ বছরের বাজেটে মোবাইল ব্যাংকিং সেবায় গ্রাহকের প্রত্যাশা শীর্ষক এক সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি জানায় সংগঠনটি।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে সংগঠনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, বর্তমানে করোনা মহামারির মধ্যে দেশের অর্থনীতির গতি চলমান রাখতে মোবাইল ব্যাংকিং সেবা এমএফএস সবচাইতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। ব্যক্তিগত লেনদেন, ই-কমার্স পেমেন্ট, বিদ্যুৎ, গ্যাস, পানি, পয়ঃনিস্কাশন, ট্যাক্স প্রদানসহ অন্যান্য সকল সেবার বিল পরিশোধের পাশাপাশি পবিত্র মাহে রমজানের জাকাত প্রদান এমনকি ঈদ সালামি প্রদানেও ব্যাপক ভূমিকা পালন করছে মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সেবা। এই সেবায় দৈনিক লেনদেন হচ্ছে প্রায় ২ হাজার ২০০ কোটি টাকা।
তিনি বলেন, এখনো এ সেবার সামর্থ্যের ৬৫ শতাংশ ব্যবহৃত হচ্ছে না। অর্থাৎ ৬৫ শতাংশ মানুষ কোন ধরণের আর্থিক অন্তর্ভুক্তির বাইরে রয়েছে। এমএফএস সেবায় নিবন্ধিত হয়েছে প্রায় ১৪ কোটি গ্রাহক। তবে সক্রিয় লেনদেনকারী সংখ্যা প্রায় ৬ কোটি। এর মধ্যে একটি প্রতিষ্ঠানের গ্রাহক সংখ্যা ৭০ শতাংশ। দেশে বর্তমানে ১৫টি এমএফএস প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম রয়েছে। তার মধ্যে তিনটি প্রতিষ্ঠান একমাত্র প্রতিযোগিতায় রয়েছে। এ সেবার সঠিক ব্যবহার বৃদ্ধি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা গেলে জিডিপির অগ্রগতি যেমন একদিকে হবে তেমনিভাবে কর্মসংস্থানও বাড়বে।
মহিউদ্দিন বলেন, এ সেবার অগ্রগতির প্রধান অন্তরায় হয়ে আছে এর গলাকাটা উচ্চ সার্ভিস চার্জ। আমরা এই সেবা চালুর পর থেকেই এই সার্ভিস চার্জ কমানোর জন্য বিভিন্ন সময় সরকারের কাছে আবেদন করেছি। যদিও সরকারিভাবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক সার্ভিস চার্জ কমানোর কোনো উদ্যোগ আজ পর্যন্ত গ্রহণ করেনি। তবে বাজার প্রতিযোগিতা রক্ষার স্বার্থে রাষ্ট্রীয় অংশিদারিত্বমূলক প্রতিষ্ঠান ‘নগদ’ কিছুটা হলেও সার্ভিস চার্জ কমিয়ে বাজারে প্রতিযোগিতা সৃষ্টি করেছে, এতে কোন সন্দেহ নেই। আশা রাখি আগামী দিনে এই প্রতিযোগিতার ধারা অব্যাহত থাকলে গ্রাহকেরা খুব দ্রুতই এর সুফল ভোগ করতে পারবে।
তিনি বলেন, কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউ শুরুর পর পর বাংলাদেশ ব্যাংক সেন্ড মানি ফ্রি করলেও দেখা গেছে একট অপারেটর মাত্র ৫টা নম্বরে সেন্ড মানি ফ্রি করলেও অন্য অনেক ক্ষেত্রেই সেন্ড মানির খরচ ৫টা থেকে বাড়িয়ে ১০টাকা করেছে। আমরা বিষয়টিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
এছাড়া একটি এমএফএস কোম্পানির বিদেশি মালিকরা বাংলাদেশে আরও কয়েকটি ডিজিটাল কোম্পানি কিনে তাদের এক চেটিয়াত্ব আরও প্রতিষ্ঠিত করতে কাজ করছে