এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) তাদের সর্বশেষ পূর্বাভাসে বলেছে, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে বাংলাদেশের মূল্যস্ফীতি বেড়ে ১০ দশমিক ১ শতাংশ হবে। এই পূর্বাভাস এপ্রিলে দেওয়া পূর্বাভাসের চেয়ে ৩ দশমিক ১ শতাংশ বেশি।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) সম্প্রতি প্রকাশিত তথ্যে দেখা যাচ্ছে, ২০২৪ সালের আগস্টে সাধারণ মূল্যস্ফীতি দাঁড়িয়েছে ১০ দশমিক ৪৯ শতাংশে, যা জুলাইয়ে ছিল ১১ দশমিক ৬৬ শতাংশ। তুলনামূলকভাবে দেখা যায়, ২০২৩ সালের আগস্টে মূল্যস্ফীতি ছিল ৯ দশমিক ৯২ শতাংশ, ২০২২ সালের আগস্টে ৯ দশমিক ৫২ শতাংশ এবং ২০২১ সালের আগস্টে ছিল ৫ দশমিক ৫৪ শতাংশ।
এডিবির পূর্বাভাসে মূল্যস্ফীতির অনুমেয় বৃদ্ধির জন্য চলমান সরবরাহ বিঘ্ন এবং মুদ্রার অবমূল্যায়নের ফলে উচ্চ আমদানি ব্যয়কে দায়ী করা হয়েছে। আন্তর্জাতিক ঋণদাতা সংস্থাটি আশা করছে, ২০২৪-২৫ অর্থবছরের শেষ নাগাদ মূল্যস্ফীতি দুই অঙ্কে থাকবে।
আরও পড়ুন: ২০২৪-২৫ অর্থবছরে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস ৫.১ শতাংশে নামাল এডিবি
গণঅভ্যুত্থানের পর গত ৫ আগস্ট ক্ষমতাচ্যুত সরকার ২০২৩-২৪ অর্থবছরে মূল্যস্ফীতি ৯ দশমিক ৭ শতাংশে উন্নীত হওয়ার পর চলতি অর্থবছরে মূল্যস্ফীতি সাড়ে ৬ শতাংশে নামিয়ে আনার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছিল। এসব প্রচেষ্টা সত্ত্বেও ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথমার্ধে খাদ্য ও খাদ্যবহির্ভূত পণ্যের দাম মূল্যস্ফীতিকে ঊর্ধ্বমুখী করে তুলেছে, যা সরবরাহ শৃঙ্খলের সমস্যা এবং আমদানি ব্যয় বৃদ্ধির কারণে মূল্যস্ফীতি আরও বাড়িয়েছে।
এডিবির মতে, এই কারণগুলো গত দুই বছর ধরে ক্রমাগত মুদ্রাস্ফীতির চাপের মুখোমুখি হওয়া ভোক্তাদের উপর চাপ অব্যাহত রাখবে। এই সময়ের মধ্যে মুদ্রাস্ফীতি ৯ শতাংশের উপরে রয়েছে, যা পরিবারের বাজেটকে প্রভাবিত করেছে এবং জীবনযাত্রার ব্যয় বাড়িয়েছে।
এডিবির সতর্ক দৃষ্টিভঙ্গি সত্ত্বেও আশা করা হচ্ছে, ২০২৫ সালের মাঝামাঝি সময়ে মূল্যস্ফীতি কমে আসতে পারে। বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, ২০২৫ সালের মার্চ-এপ্রিলের মধ্যে মূল্যস্ফীতি ৬-৭ শতাংশে নেমে আসবে।