নয়া পল্টনে বিএনিপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে চলমান অভিযান সম্পর্কে সন্দেহ প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘সম্প্রতি দেশের কিছু ক্লাব ও দলের নেতাদের বিরুদ্ধে চালানো অভিযানগুলো জনগণকে বোকা বানানো কৌশল ছাড়া আর কিছুই নয়। কেননা বড় দুর্নীতিবাজরা এ সকল অভিযানে ধরা ছোঁয়ার বাইরেই রয়ে গেছে।’
‘আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের নেতারা বাংলাদেশের ব্যাংকগুলোকে শেষ করে দিয়ে নিজেদের বাড়িতেই ব্যাংক ও কোষাগার তৈরি করেছে। বিদেশে বিপুল পরিমানে টাকা পাচার করা শেষে তারা তাদের অতিরিক্ত টাকা নিজেদের বাড়িতে জমিয়ে রাখছে,’ দাবি করেন বিএনপির এ নেতা।
তিনি বলেন, ক্ষমতাসীন দলের নেতারা এমনকি তাদের অঙ্গসংগঠনের পাতি নেতারাও ‘দুর্নীতি ও লুট’ করে প্রচুর ‘অবৈধ টাকা’ জমিয়েছে।
ক্ষমতাসীন দলের নেতারা লুট, জুয়া, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি এবং অন্যান্য অপকর্মের মাধ্যমে পুরো দেশ শেষ করে দিয়েছে। দুর্নীতির বিরুদ্ধে হঠাৎ এ অভিযানকে ঘিরে এখন সাধারণ মানুষের মনে একটাই জিজ্ঞাসা এটা কি সরকারের প্রতি মানুষের ইতিবাচক মানসিকতা তৈরির কৌশল কিনা, তামাশা করে বলেন রিজভী।
তিনি অভিযোগ করেন, ‘জনগণের কাছে দুর্নীতিবাজ হিসেবে পরিচিত এমন কেউ এখনো পর্যন্ত গ্রেপ্তার হয়নি। অবৈধ মাদক ব্যবসা ও দুর্নীতিবাজ গডফাদারদের কেউই এখনো গ্রেপ্তার হয়নি। যদি ক্ষমতাসীন দলের সহযোগী সংগঠনের এক ছোট নেতার কার্যালয়ে শত কোটি টাকা পাওয়া যায় তবে দলের আসল নেতা, মন্ত্রী ও বড় নেতাদের ক্ষেত্রে কী অবস্থা হতে পারে?’
বিএনপি নেতা বলেন, ‘ক্ষমতাসীন দলের নেতারা রাজধানীতে ৬০টিসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে অনেক ক্যাসিনো চালাচ্ছেন এবং বিভিন্ন ধরনের মাদক ব্যবসায় জড়িত আছেন।’
তিনি আরও দাবি করেন, ‘দেশের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রজেক্ট থেকে প্রচুর টাকা লুট করা হয়েছে। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের মন্ত্রণালয়েই সীমাহীন দুর্নীতি হয়েছে। যেখানে অন্য দেশে চার লেনের একটি সড়কের এক কিলোমিটার রাস্তা নির্মাণে ২৮ কোটি টাকা ব্যয় হয় সেখনে ওবায়দুল কাদের ২০০ কোটি টাকা ব্যয় করেছেন। এতেই বুঝা যায় বড় বড় নেতারা কী পরিমানে টাকা লুট করেছেন।’
বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান এ দেশে জুয়ার সংস্কৃতি চালু করেছেন বলে ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের অভিযোগের সমালোচনা করে রিজভী বলেন, ‘এ বলে আওয়ামী লীগের প্রবীণ নেতারা জনগণকে বিভ্রান্ত করছেন এবং তাদের অপকর্ম অন্যের ওপর চাপানোর চেষ্টা করছেন।’