আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ার অনুমতি নিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করতে হবে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে।
শনিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলায় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘আবেদনটি অবশ্যই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে জমা দিতে হবে। তারপর সে সম্পর্কে আইন মন্ত্রণালয়ের মতামত চাইতে পারে। তাদের আনুষ্ঠানিক জমা দেওয়ার পরে একটি সিদ্ধান্তে পৌঁছানো যাবে।’
আইনমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বদান্যতা ও মহানুভবতায় খালেদা জিয়ার সাজা বহাল থাকার পরও এভারকেয়ার হাসপাতালে মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা পাচ্ছেন।’
এর আগে গত ১৮ সেপ্টেম্বর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ খালেদা জিয়ার কারাদণ্ডের স্থগিতাদেশ আরও ৬ মাস বাড়ানোর প্রজ্ঞাপন জারি করে।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়া নিবিড় পর্যবেক্ষণে: ব্যক্তিগত চিকিৎসক
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, খালেদা জিয়াকে ঢাকায় চিকিৎসা নিতে হবে এবং এই সময়ের মধ্যে তাকে বিদেশে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হবে না।
৭৮ বছর বয়সী প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী লিভার সিরোসিস, আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুস, হার্ট ও চোখের সমস্যাসহ বিভিন্ন রোগে ভুগছেন।
২০২০ সাল থেকে শর্তসাপেক্ষে মুক্তির পর খালেদা জিয়া- হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে একটি মেডিকেল বোর্ডের অধীনে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়াকে কেবিন থেকে সিসিইউতে স্থানান্তর
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিয়ে পুরান ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়। পরে একই বছর দুর্নীতির আরেকটি মামলায় তাকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়।
করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের মধ্যে সরকার ২০২০ সালের ২৫ মার্চ এক নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে খালেদা জিয়াকে গুলশানের বাসায় অবস্থান এবং দেশ ত্যাগ না করার শর্তে সাময়িকভাবে মুক্তি দেয়।
আরও পড়ুন: চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়াকে অবিলম্বে বিদেশে পাঠান: ফখরুল