তিনি বলেন, ‘ষড়যন্ত্র এখনো শেষ হয়নি। শেখ হাসিনা যখন দেশকে অগ্রগতির পথে এগিয়ে নিয়ে চলেছে, সেই সময় একাত্তরের পরাজিত শক্তি আবার মাথাচারা দিয়েছে ভাস্কর্যকে সামনে নিয়ে।’
সাবেক মন্ত্রী তোফায়েল বলেন, ‘পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে ভাস্কর্য আছে। এ ভার্স্কযের ব্যাপার নিয়ে কোনো আপোস নেই। যতো দিন বাংলাদেশ থাকবে, বাংলার মানুষ থাকবে, তত দিন বঙ্গবন্ধু আমাদের হৃদয়ের মনি কোঠায় থাকবে। বঙ্গবন্ধুর ভার্স্কয হবেই। এটাকে কেউ বাধাগ্রস্ত করতে পারবে না।’
আরও পড়ুন: ধর্মের নামে বিভেদ-বিশৃঙ্খলা সহ্য করা হবে না: প্রধানমন্ত্রী
বেলা ১২টার দিকে ভোলা বাংলা স্কুল মাঠে জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত মহান বিজয় দিবসের আলোচনা সভায় ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন ভোলা-১ আসনের সংসদ সদস্য।
আরও পড়ুন: সাম্প্রদায়িক শক্তিকে নিশ্চিহ্ন করার প্রত্যয় নিতে হবে: তাপস
তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, আমরা ধর্মভিরু কিন্তু ধর্মান্ধ নয়। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, আমরা মুক্তিযুদ্ধে হিন্দু মুসলিম খ্রিষ্টান বৌদ্ধ্য এক হয়ে যুদ্ধ করেছি। এক সাথে স্লোগান দিয়েছি। বাংলার মানুষকে ঐক্যবদ্ধ্য করেছি। জয় বাংলা স্লোগান দিয়ে আমরা পাকিস্তানি সেনা বাহিনীকে মোকাবিলা করেছি।’
ভোলা জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি দোস্ত মাহামুদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় জেলা আওয়ামী লীগের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা অংশ নেন।
এর আগে সকালে বঙ্গবন্ধুর প্রতীকৃতি ও মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিস্তম্ভে পুস্পমাল্য দিয়ে শ্রদ্ধা জানান নেতাকর্মীরা।
আরও পড়ুন: আজ বিজয়ের দিন, সুবর্ণজয়ন্তীর সামনে বাংলাদেশ
এদিকে, ভোলায় ৩১ বার তোপধ্বনির মধ্য দিয়ে জেলায় মহান বিজয় দিবসের সূচনা হয়। বুধবার সূর্য উদয়ের সাথে সাথে যথাযোগ্য মর্যাদায় ভোলা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিস্তম্ভে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মাসুদ আলম ছিদ্দিক পুস্পমাল্য দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।
এর পর ভোলা পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার, কোস্টগার্ড, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, জেলা আওয়ামী লীগ, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড, ভোলা প্রেসক্লাবসহ বিভিন্ন সরকারি স্বায়ত্ব শাসিত প্রতিষ্ঠান, সামাজিক সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক সংগঠনসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানিয়ে মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের জন্য দোয়া মোনাজাত করেন।