তিনি বুধবার ঠাকুরগাঁওয়ে নিজ বাসভবনে সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘জননেত্রী পরিষদের সভাপতি এবি সিদ্দিকীর কাজই হচ্ছে বিরোধী দলের বিরুদ্ধে মামলা করা। তিনি এ পর্যন্ত আমার নামে ১৫টিরও বেশি মামলা করেছেন। তাকে আওয়ামী লীগ সরকার পুষে রেখেছে আমাদের বিরুদ্ধে এ ধরনের অযৌক্তিক মামলা করে হয়রানি করার জন্যই।’
‘এ ধরনের ফ্যাসিস্ট সরকার যখন জনগণের সম্মুখীন হতে পারে না, অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন করতে ভয় পায় তখনই মামলা দিয়ে ক্ষমতায় টিকে থাকতে চায়। বিষয়টি অনেকটাই গ্রাম্য মোড়লের মতো,’ বলেন তিনি।
ভাস্কর্যবিরোধী বক্তব্যে সহযোগিতা করার অভিযোগে পাঁচজনের বিরুদ্ধে আজ ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সত্যব্রত শিকদারের আদালতে মামলা করেন এবি সিদ্দিকী। মামলায় মির্জা ফখরুল ছাড়াও বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া, তার ছেলে দলের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান, হেফাজতে ইসলামের ভারপ্রাপ্ত আমির জুনায়েদ আহমেদ বাবুনগরী, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মুহাম্মদ মামুনুল হক ও ইসলামী শাসনতন্ত্রের সৈয়দ ফয়জুল করিমকে আসামি করা হয়েছে।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বিএনপি নয় আওয়ামী লীগই বর্ণচোরা রাজনীতি করে। তারা স্বাধীনতার পর থেকে মুখে বলে এক আর কাজ কর্মে করে আরেক। মুখে গণতন্ত্রের কথা বললেও পক্ষান্তরে গণতন্ত্র ধ্বংস করে।’
আজ দেশে যে উগ্রবাদের সৃষ্টি হয়েছে এটাও আওয়ামী লীগের সৃষ্টি দাবি করে তিনি বলেন, ‘একটি দেশে যখন এ ধরনের ফ্যাসিস্ট সরকার দীর্ঘদিন রাজ কায়েম করে তখনই দেশে উগ্রবাদ জন্ম নেয়। এছাড়াও এ উগ্রবাদীদের কাজে লাগিয়ে তারা জনসমর্থন নেয়ার চেষ্টা করে।’
জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মির্জা ফয়সল আমীন, ঠাকুরগাঁও পৌর মেয়র প্রার্থী শরিফুল ইসলাম শরিফসহ জেলা বিএনপির নেতারা এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন।