হয়রানি
প্রতিটি হামলার বিচার হবে, প্রকৃত শিক্ষার্থীদের হয়রানি করা হবে না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, সাম্প্রতিক নাশকতার প্রতিটি হামলার ঘটনার বিচার হবে। আন্দোলনকারী প্রকৃত শিক্ষার্থীদের কোনো হয়রানি করা হবে না।
মন্ত্রী বলেন, যারা গাজীপুরের সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীরের পিএসকে এবং ঢাকায় পুলিশকে হত্যা করে তাদের লাশ ঝুলিয়ে রেখেছে, চট্টগ্রামে ছয়তলা ভবন থেকে ছাত্রলীগ কর্মীদের ফেলে দিয়েছে, মানুষ ও রাষ্ট্রের সম্পত্তি জ্বালিয়ে দিয়েছে এবং বিটিভিতে ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ করেছে- তাদের কেউ আইনের হাত থেকে রেহাই পাবে না।
শুক্রবার (২৬ জুলাই) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে 'দেশবিরোধী, স্বাধীনতাবিরোধী সন্ত্রাস-নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধের দুর্জয় শপথ' শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, ২০১৩-১৪ সালে নাশকতার পর অনেকের বিচার হয়েছে, কেউ কেউ আইনের ফাঁক গলে বের হয়ে গেছেন। এবার সেটি হবে না। প্রত্যেক হামলাকারীকে বিচারের আওতায় আনা হবে।
'রাষ্ট্রের ওপর হামলা বিএনপির তারেক রহমানের নির্দেশে হয়েছে' উল্লেখ করে ড. হাছান বলেন, 'তারেক রহমানের ভয়েস সরকারের হাতে এসেছে। সে বলছে- বড় হামলা করলে বড় পদ, কারফিউ ভঙ্গ কর, না হলে পদ ছাড়। বিএনপির আরেক নেতা বলেছেন-তোমরা আন্দোলনে ঢুকে যাও, নৈরাজ্য সৃষ্টি কর। ছাত্রলীগের কর্মী মারলে ৫ হাজার, পুলিশ মারলে ১০ হাজার টাকা পুরস্কারের স্বীকারোক্তি তারাই দিয়েছে। এটি কোন রাজনৈতিক দল? এটি একটি দেশবিরোধী সন্ত্রাসী সংগঠন।'
আরও পড়ুন: রাজাকারের পক্ষে স্লোগানদাতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
সাম্প্রতিক নাশকতার চিত্র তুলে ধরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ টেলিভিশন স্থাপিত হয়েছে ১৯৬৪ সালে। কিন্তু গত ৬০ বছরে বিটিভিতে কখনো হামলা ভাঙচুর হয়নি। স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় বিটিভির কিছু কর্মকর্তাকে হত্যা করা হয়েছিল। কিন্তু কখনো বিটিভিতে হামলা হয়নি।
তিনি আরও বলেন, দুর্যোগকালে মানুষ যেখানে ছুটে যায়, সেই দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরে ভাঙচুর চালিয়েছে তারা। ঢাকাবাসী ও দেশবাসীর গর্ব মেট্রোরেলের স্টেশন জ্বালিয়ে দিয়েছে তারা। বিদেশি রাষ্ট্রদূত, হাইকমিশনারের আইডি হ্যাক করে ভুল বার্তা পোস্ট করা হয়েছে।
মন্ত্রী হাছান বলেন, আমরা প্রথম থেকেই বলে এসেছি সর্বোচ্চ আদালতের মাধ্যমে সমাধান হবে। শেষ পর্যন্ত তাই হয়েছে। শিক্ষার্থীরা যা চেয়েছিল, তার থেকে বেশিই পেয়েছে। যদি শিক্ষার্থীরা একটু ধৈর্য্য ধরত, তাহলে বিএনপি-জামায়াত এই সুযোগটা পেত না।
ড. হাছান বলেন, আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি সাধারণ কোনো শিক্ষার্থী মানুষ হত্যা বা জনগণ ও রাষ্ট্রের সম্পত্তির ওপর হামলা চালাতে পারে না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আশ্বাস দিয়েছেন, কোনো শিক্ষার্থী হয়রানির শিকার হবে না। কিন্তু অসৎ উদ্দেশ্য হাসিল করতে তোমাদের কেউ যেন ব্যবহার না করতে পারে সেজন্য সতর্ক থাকতে হবে।
সাপ্তাহিক গণবাংলা ও বাংলাদেশ স্বাধীনতা পরিষদের সভায় আওয়ামী লীগ নেতা এম এ করিমের সভাপতিত্বে ও স্বাধীনতা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন টয়েলের পরিচালনায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মহিববুর রহমান, সংসদ সদস্য আওলাদ হোসেন, ফরিদা ইয়াসমিন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক প্রমুখ বক্তব্য দেন।
আরও পড়ুন: ধ্বংসযজ্ঞ দেখে কূটনীতিকরা স্তম্ভিত: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
৩ মাস আগে
কৃষকদের হয়রানি করলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে: খাদ্যমন্ত্রী
খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, কৃষকদের হয়রানি করলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এছাড়া এবার থেকে কৃষকরা ফোনে অভিযোগ জানাতে পারবেন।
তিনি বলেন, বোরো ধান-চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ও দাম নির্ধারণ করা হয়। বোরোতে এবার ১৭ লাখ টন ধান ও চাল কিনবে সরকার।
এরমধ্যে- ৫ লাখ টন ধান, ১১ লাখ টন সিদ্ধ চাল, এক লাখ টন আতপ চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রতি কেজি বোরো ধানের সংগ্রহ মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ধান ৩২ টাকা, সিদ্ধ চাল ৪৫ টাকা এবং আতপ চাল ৪৪ টাকা। একইসঙ্গে ৩৪ টাকা দরে ৫০ হাজার টন গম কেনারও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সংগ্রহ কার্যক্রম চলবে আগামী ৩১ আগস্ট পর্যন্ত।
আরও পড়ুন: আম রপ্তানি বাড়াতে এফএও’র সহায়তা চান খাদ্যমন্ত্রী
মঙ্গলবার (৭ মে) সচিবালয়ে খাদ্য মন্ত্রণালয়ে নিজ অফিস কক্ষে ভার্চুয়ালি বিভিন্ন জেলার সঙ্গে যুক্ত হয়ে ধান-চাল ও গম কেনা কর্মসূচি উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
ধান-চাল সংগ্রহ কার্যক্রম ৩১ আগস্ট পর্যন্ত চললেও জুনের মধ্যে লক্ষ্যমাত্রার ৭০ শতাংশ অর্জনের নির্দেশন দিয়েছেন মন্ত্রী।
মন্ত্রী বলেন, আজকে আমরা বোরো মৌসুমে ধান, চাল ও গম কেনার উদ্বোধন করেছি। এর আগে (২১ এপ্রিল) আমরা খাদ্য পরিকল্পনা ও পরিধারণ কমিটির সভায় লক্ষ্যমাত্রা ও দাম নির্ধারণ করেছি।
মন্ত্রী আরও বলেন, বিভিন্ন পয়েন্টে জেলা প্রশাসকরা উপস্থিত ছিলেন। আরসি ফুড (আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক), ডিসি ফুড (জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক), কৃষি উপপরিচালক, কৃষক, চালকল মালিকরা ছিলেন। তাদের সঙ্গে কথা বলেছি, তাদের নির্দেশনা দিয়েছি।
তিনি বলেন, নির্দেশনার মধ্যে রয়েছে সঠিক সময়ে সংগ্রহ (ধান, চাল ও গম) করতে হবে। আমরা জুন মাসের মধ্যে ৭০ শতাংশ সংগ্রহ করার জন্য বলেছি। হাওরের ধানকে প্রাধান্য দিয়ে হাওয়ের বরাদ্দ বেশি দিয়েছি। কৃষক যাতে হয়রানিরি শিকার না হয়, সেজন্য প্রতি ইউনিয়নে তিনজন কৃষি উপসহকারী কর্মকর্তার কাছে একটি করে ময়েশ্চার মিটার (ধানের আর্দ্রতা মাপার যন্ত্র) দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: সরকারি খাদ্য গুদামে হয়রানি করা হলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে: খাদ্যমন্ত্রী
তিনি আরও বলেন, যে কৃষকরা ধান দেবেন বলে আবেদন করেছেন, তালিকা পাঠিয়েছেন, তাদের বাড়ি গিয়ে মিটার দিয়ে ধান পরীক্ষা করে আসবেন। আর্দ্রতা ১৪ শতাংশের বেশি থাকলে তাদের বলবেন আরও শুকিয়ে ১৪ শতাংশে নিয়ে আসেন। যাতে কৃষক হয়রানি না হয় সেজন্য এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। জেলা প্রশাসকদের নির্দেশনা দিয়েছি এডিবি ফান্ডের কৃষির অংশ থেকে আরও ময়েশ্চার মিটার কিনে ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে দেওয়ার জন্য।
সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, গোডাউনে ধান দিতে এসে কোনো শ্রমিক যেন কৃষকদের হয়রানি না করেন, সেজন্য ডিসি ও আমাদের কর্মকর্তাদের নজর রাখতে বলেছি। কোনো কৃষক যেন কোনোভাবে অপমানিত ও হয়রানি না হয়, সেই বিষয়ে আমরা সদা সচেষ্ট থাকব। যদি সেটা (কৃষককে হয়রানি) করে তবে আমরা তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেব।
অভিযোগ জানাতে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে দুটি নম্বর দিয়ে দেওয়া হবে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, যাতে ওই নম্বরে কৃষক বা কোনো ব্যক্তি ফোন করে হয়রানির কথা জানাতে পারেন।
তিনি আরও বলেন, আমরা পরিষ্কারভাবে বলেছি ধান ও চালের গুণগত মান যাতে ভালো হয়, কোয়ালিটির সঙ্গে যাতে কোনো আপস না হয় সেটাই আমরাদের নির্দেশনা।
তিনি বলেন, গত বছর আমরা লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করেছি, এবারও লক্ষ্যমাত্রা পার হবে। চালের বস্তার গায়ে ধানের জাত ও দাম লেখার কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধু বৈষম্যের বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলেন সর্বদা: খাদ্যমন্ত্রী
৬ মাস আগে
রাস্তায় চেকিংয়ের নামে অযথা হয়রানি নয়: পুলিশের উদ্দেশে রাষ্ট্রপতি
রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন বলেন, রাস্তায় রুটিন চেকিংয়ের নামে কেউ যেন অযথা হয়রানির শিকার না হয় সেদিকে বিশেষ খেয়াল রাখতে হবে।
তিনি বলেন, ‘দুঃখের বিষয় হলো- সম্প্রতি পত্রিকা খুলে পুলিশের কিছু নেতিবাচক কর্মকাণ্ডের খবর পেলাম, যা দেশের সকল মানুষের মতো আমাকেও ব্যথিত করেছে।’
আরও পড়ুন: বৈদেশিক বাণিজ্যের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সমন্বিত উদ্যোগ নিতে হবে: রাষ্ট্রপতি
বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) বঙ্গভবনে পুলিশ সপ্তাহ ২০২৪ উপলক্ষে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে এসব কথা বলেন রাষ্ট্রপতি।
তিনি বলেন, খাদ্যদ্রব্যসহ বিভিন্ন পণ্যবাহী যানবাহনকেও চাঁদা দেওয়ার কারণে ভোক্তা পর্যায়ে খাদ্যদ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং জনগণের কষ্ট বাড়ছে।
আরও পড়ুন: নিয়োগের সময় ও জটিলতা কমাতে পদক্ষেপ নিন: পিএসসিকে রাষ্ট্রপতি
তিনি আরও বলেন, ‘এসব কর্মকাণ্ড বন্ধের দায়িত্ব আপনাদেরই নিতে হবে। তবে এসব কর্মকাণ্ডের সঙ্গে পুলিশ বাহিনীর কেউ যেন সম্পৃক্ত না থাকে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।’
নিঃস্বার্থভাবে জনগণের সেবা করা কর্তব্য হওয়ায় দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ারও নির্দেশ দেন রাষ্ট্রপতি।
পুলিশ সব সময় বন্ধুর মতো জনগণের পাশে দাঁড়াবে এবং তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
আরও পড়ুন: আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনের আহ্বান রাষ্ট্রপতির
৮ মাস আগে
মানিকগঞ্জে ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগে মাদরাসার অধ্যক্ষ আটক
মানিকগঞ্জে ছাত্রীকে (১৩) যৌন হয়রানির অভিযোগে মাদরাসার এক অধ্যক্ষকে আটক করা হয়েছে। সোমবার সকাল ১১টার দিকে আফরোজা-রমজান বালিকা মাদরাসায় এ ঘটনা ঘটে।
আটক অধ্যক্ষ মাওলানা মোস্তফা কামালের বাড়ি সিরাজগঞ্জ জেলায়।
এ ঘটনায় সদর থানায় ওই ছাত্রীর পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
ভুক্তভোগী ছাত্রীর বাড়ি সিংগাইর উপজেলার একটি গ্রামে।
আরও পড়ুন: মানিকগঞ্জে পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষ, আটক ৫
তার পরিবারের সদস্যরা জানান, মানিকগঞ্জ পৌরসভার নয়াকান্দি এলাকার আফরোজা-রমজান বালিকা মাদরাসার হিফজ বিভাগে পড়ালেখা করতো ওই ছাত্রী। সোমবার সকাল ১১টার দিকে মাদরাসার অধ্যক্ষ মোস্তফা কামাল ওই ছাত্রীকে তার রুমে ডেকে নিয়ে তার শরীরের স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেন এবং ধর্ষণের চেষ্টা করেন। এসময় ভুক্তভোগী চিৎকার করলে অভিযুক্ত অধ্যক্ষ মোস্তফা কামাল তাকে ছেড়ে দেন। পরে ভুক্তভোগী তার বোনকে মোবাইল ফোনে ঘটনাটি জানালে ভগ্নিপতি মানিকগঞ্জ সদর থানা পুলিশকে বিষয়টি জানান।
পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই ছাত্রীর সঙ্গে কথা বলে অভিযুক্ত মাওলানা মোস্তফা কামালকে মাদরাসা থেকে আটক করেন।
এ বিষয়ে মানিকগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রউফ জানান, পরিবার এখনও লিখিত অভিযোগ না করলেও মৌখিক অভিযোগের প্রেক্ষিতে মাদরাসা থেকে ওই শিক্ষককে আটক করা হয়েছে।
পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে ঘটনার সত্যতা মিলেছে।
পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা দায়ের প্রক্রিয়াধীন বলে জানান তিনি। মামলা হলে অধ্যক্ষ মাওলানা মোস্তফা কামালকে গ্রেপ্তার দেখানো হবে।
আরও পড়ুন: ফরিদপুর চাঁদাবাজির অভিযোগে ৩ ছাত্রলীগ নেতাকর্মী গ্রেপ্তার
মাদারীপুরে ধর্ষণ চেষ্টা মামলার আসামি গ্রেপ্তার
২ বছর আগে
থানাকে জনগণের আস্থার জায়গা পরিণত করার অঙ্গীকার নতুন আইজিপি’র
পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেছেন, দুর্নীতির বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ ঘোষণা করে এরই মধ্যে থানার কার্যক্রমে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার পুলিশ সদর দপ্তরে ক্রাইম রিপোর্টারদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে নতুন পুলিশ প্রধান এ কথা বলেন।
এছাড়া, গত ৩০ সেপ্টেম্বর নতুন আইজিপি হিসেবে যোগদানকারী চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন আরও বলেন, পুলিশ বাহিনী ‘সকল কর্মকাণ্ডে জনগণের কাছে দায়বদ্ধ এবং প্রতিশ্রুতিবদ্ধ’।
আইজিপি বলেন, বাংলাদেশ পুলিশের সংস্কার, উন্নয়ন ও জবাবদিহিতার লক্ষ্যে কার্যক্রম চলমান রয়েছে দাবি করে তিনি বলেন, নিয়োগ, পদোন্নতি ও পদায়নসহ দৈনন্দিন কার্যক্রমে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার উদাহরণ ইতোমধ্যেই দৃশ্যমান।
তিনি আরও বলেন, ‘ভবিষ্যতে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে আমরা আরও দৃঢ়তা ও আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করব। আমি দ্ব্যর্থহীনভাবে বলতে চাই যে দুর্নীতির বিরুদ্ধে আমাদের অবস্থান জিরো টলারেন্স’।
আরও পড়ুন: র্যাবের বর্তমান ডিজি চৌধুরী আবদুল্লাহ নতুন আইজিপি
তিনি বলেন, পুলিশি সেবা প্রদানের প্রধান কেন্দ্র এই থানাকে ‘জনগণের আস্থা ও আস্থার স্থানে’ পরিণত করা হবে।
পুলিশের ভাবমূর্তি যেহেতু ‘থানার আচরণ’ এর ওপর নির্ভর করার কথা উল্লেখ করে আইজিপি বলেন, জনগণ যাতে সহজে ও নির্ভয়ে থানায় আসতে পারে, তাদের সমস্যার কথা বলতে পারে এবং প্রত্যাশিত সেবা পায় সেজন্য তিনি ইতোমধ্যে মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সুস্পষ্ট নির্দেশনা দিয়েছেন।
জনগণের দোরগোড়ায় সেবা পৌঁছে দিতে আরও আন্তরিক ও পরিশ্রমী হওয়ার দৃঢ় অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন আইজিপি।
আরও পড়ুন: সাইবার অপরাধ প্রতিরোধে দেশগুলোর পারস্পরিক সহযোগিতা দরকার: আইজিপি
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এর জন্য প্রধান ও প্রথম কাজ হবে ভালো আচরণ এবং আন্তরিকভাবে জনগণের কথা শোনা এবং খুব দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেয়া। এ বিষয়ে কোনো বিচ্যুতি গ্রহণযোগ্য হবে না।’
পুলিশকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করার অভিযোগের প্রতি তার দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে, নতুন প্রধান দৃঢ়ভাবে তা অস্বীকার করে বলেন: ‘পুলিশ সবসময় পেশাদারিত্বের সঙ্গে সব দায়িত্ব পালন করে। নির্বাচনের সময়, পুলিশ নির্বাচন কমিশন কর্তৃক অর্পিত দায়িত্ব পালন করে।’
আরও পড়ুন: পাহাড়ে পর্যটন শিল্প বিকাশের অফুরান সম্ভাবনা আছে: আইজিপি
২ বছর আগে
টিপ পরায় নারীকে হয়রানি, কনস্টেবল বরখাস্ত
রাজধানীর ফার্মগেট এলাকায় টিপ পরায় এক কলেজ শিক্ষিকাকে হয়রানির অভিযোগের ঘটনায় এক পুলিশ সদস্যকে বরখাস্ত করা হয়েছে।
সোমবার তেজগাঁও বিভাগের উপ-কমিশনার বিপ্লব সরকার জানান, বরখাস্ত করা পুলিশ সদস্যের নাম নাজমুল তারেক। তিনি ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কনস্টেবল (নিরাপত্তা বিভাগ) হিসেবে কর্মরত।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ডিএমপি জানায়, ওই পুলিশ সদস্য দোষ স্বীকার করায় তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
এছাড়া এ ঘটনা তদন্তে দুই সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে এবং কমিটিকে তিন কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
শনিবার রাজধানীর ফার্মগেট এলাকায় টিপ পরায় এক কলেজ শিক্ষিকা হয়রানির শিকার বলে অভিযোগ উঠে। এরপরই নারী ও অধিকার সংগঠনগুলো এ ঘটনার সমালোচনা করতে থাকেন।
আরও পড়ুন: টিপ পরা ছবি প্রকাশ করে তারকাদের প্রতিবাদ
অভিনেত্রী থেকে সাংসদ হওয়া সুবর্ণা মুস্তাফা এ ঘটনায় জড়িত অপরাধীর শাস্তি দাবি করে রবিবার সংসদে বিষয়টি উত্থাপন করলে এটি সংসদ পর্যন্ত গড়ায়।
হয়রানির শিকার শিক্ষিক তেজগাঁও কলেজের থিয়েটার অ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগের প্রভাষক লতা সমাদ্দার। তিনি এ ঘটনায় রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন।
তিনি জানান, ফার্মগেট এলাকার শেজান পয়েন্ট শপিংমলের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
উপ-কমিশনার বিপ্লব বলেন, ‘জিডির পর পুলিশ দুই দিনের প্রচেষ্টায় ওই কনস্টেবলকে শনাক্ত করে।’
আরও পড়ুন: ‘টিপ’ পরায় শিক্ষিকাকে হয়রানি: অভিযুক্ত শনাক্ত
তেজগাঁও কলেজের প্রভাষক অভিযোগ করেন, শনিবার কর্মস্থলে যাওয়ার সময় কপালে টিপ পরার কারণে ফার্মগেট এলাকায় তাকে এক পুলিশ সদস্য হয়রানি ও মৌখিকভাবে লাঞ্ছিত করেন।
তিনি আরও অভিযোগ করে বলেন, ওই পুলিশ সদস্য তাকে হুমকি দেয় এবং প্রতিবাদ করলে তাকে মোটরসাইকেল দিয়ে আঘাত করার চেষ্টা করে।
বাংলাদেশ ও অন্যান্য দক্ষিণ এশীয় দেশের নারীরা সংস্কৃতির অংশ হিসাবে তাদের কপালে টিপ পরেন।
২ বছর আগে
হয়রানি ছাড়া ন্যায়বিচার নিশ্চিত করুন: রাষ্ট্রপতি
বিচারপ্রার্থীরা যেন হয়রানির শিকার না হন সেজন্য বিচারক ও আইনজীবীদের একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। তিনি বলেন, ‘মানুষ তাদের সমস্যার সমাধান ও ন্যায়বিচার পেতে সহায়তার জন্য আপনাদের কাছে আসে। তাই তারা যাতে কোনো ভাবে কোনো ধরনের হয়রানি বা ভোগান্তির শিকার না হন সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।’
রবিবার কিশোরগঞ্জ জেলার নবনির্মিত মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালত ভবনের উদ্বোধন ও জেলা আইনজীবী সমিতির ‘রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ’ ভবনের নির্মাণ কাজের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন রাষ্ট্রপতি। তিনি বঙ্গভবন থেকে ভার্চুয়ালি এ অনুষ্ঠানে যুক্ত হন।
রাষ্ট্রপ্রধান বলেন, দেশে শুধু আইনের শাসন নয়, জনগণের প্রত্যাশা অনুযায়ী সুশাসন প্রতিষ্ঠা সবার লক্ষ্য হওয়া উচিত।
তিনি বলেন, আইনের শাসন ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করে মুক্তিযুদ্ধের সুফল সর্বত্র পৌঁছে দিতে হবে।
আরও পড়ুন: পুলিশ থেকে দুর্নীতিবাজদের বিতাড়নের আহ্বান রাষ্ট্রপতির
আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় স্বাধীন বিচার বিভাগের কোনো বিকল্প নেই উল্লেখ করে আবদুল হামিদ বলেন, বর্তমান সরকার বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে অত্যন্ত আন্তরিক।
বিচারকদের সংখ্যা বৃদ্ধি, প্রশিক্ষণ ও আদালত সংকট নিরসনের পাশাপাশি মামলা পরিচালনায় বিশেষ নজর দেয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, দরিদ্র ও সুবিধাবঞ্চিতদের আইনি সহায়তা দিতে দেশের ৬৪ জেলায় এবং সুপ্রিম কোর্টে আইনি সহায়তা অফিস স্থাপন করা হয়েছে।
তিনি বলেন, এই প্রচেষ্টার মাধ্যমে দরিদ্র ও অসহায় মানুষ আইনি সহায়তা পাচ্ছেন।
তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, ‘আজকের উদ্বোধনসহ ৩১টি জেলায় মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালত ভবন উদ্বোধন করা হয়েছে। আমার আশা এই ভবনগুলো নির্মাণের মাধ্যমে জনগণের দোরগোড়ায় ন্যায়বিচারের সুফল পৌঁছে দেয়া সম্ভব হবে।’
আরও পড়ুন: সরকারি কাজে স্বচ্ছতা প্রতিষ্ঠার আহ্বান রাষ্ট্রপতির
রাষ্ট্রপতি বলেন, কিশোরগঞ্জে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ভবন উদ্বোধন করা তার জন্য অত্যন্ত আনন্দের। কারণ এই জেলার সঙ্গে তার জীবন জড়িত।
তিনি বলেন, ‘এর মাধ্যমে জেলার বিচারপ্রার্থী মানুষ দ্রুততম সময়ে বিচারিক সেবা পাবে। পাশাপাশি মানুষ সুন্দর পরিবেশ পাবে, এটা আমার জন্য আনন্দের।’
প্রয়োজনীয় স্থানের অভাবে দায়িত্ব পালনকালে বিচারক ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ভোগান্তির কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, নতুন ভবন নির্মাণের ফলে আপনারা সুন্দর পরিবেশে বিচার কার্য পরিচালনা করতে পারবেন।
কর্মক্ষেত্রে এর ইতিবাচক প্রভাব পড়বে এবং মানুষ উপকৃত হবে বলেও আশা প্রকাশ করেন রাষ্ট্রপতি।
আরও পড়ুন: তরুণদের মানবতা ও জনকল্যাণে কাজ করার আহ্বান রাষ্ট্রপতির
২ বছর আগে
হয়রানির উদ্দেশ্যে ডিজিটাল আইনে মিথ্যা মামলা করেছে জাপানি নারী!
জাপান থেকে আসা দুই শিশুর মা জাপানি নাগরিক এরিকো নাকানো তাদের বাবা ইমরান শরীফকে হয়রানির উদ্দেশ্যে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মিথ্যা মামলা করেছে বলে অভিযোগ তুলেছে তার আইনজীবীরা।
বৃহস্পতিবার সুপ্রিমকোর্টের এনেক্স ভবনের সামনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ তুলে ধরেন তার আইনজীবী মুসতাক আহমেদ। এসময় শিশু দুটির বাবা ইমরান শরীফসহ তার আইনজীবীরা উপস্থিত ছিলেন।
আইনজীবী মুসতাক আহমেদ বলেন, শিশু দুটিকে নিয়ে করা মামলা আপিল বিভাগে বিচারাধীন রয়েছে। এ অবস্থায় নিছক হয়রানির উদ্দেশ্যে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে এরিকো নাকানো বাদী হয়ে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ইমরান শরীফের বিরুদ্ধে মামলা করেছে। মামলার অভিযোগে সে বলেছে, ইমরান শরীফ তার ফোনের চ্যাট অ্যাপ হ্যাক করেছেন। ঘটনাটি তিন মাস আগে ঘটেছে বলে এরিকো দাবি করেছে। এই আইনজীবী আরও বলেন, তার কোন অভিযোগ থাকলে সে আপিল বিভাগকে জানাতে পারতো। কিন্তু তা না করে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে হয়রানির উদ্দেশ্যে মামলা করেছে।
আরও পড়ুন: জাপানি দুই শিশু থাকবে বাবার হেফাজতে: হাইকোর্ট
আইনজীবী মুসতাক বলেন, আপিল বিভাগ বাচ্চাদের সঙ্গে তার বাবা ইমরান শরীকফে সকাল ৯টা থেকে রাত ৯টার মধ্যে যে কোন সময় দেখা করার সুযোগ দিতে বলেছেন। কিন্তু শিশুদের সঙ্গে তাদের বাবাকে দেখা করতে দেয়া হচ্ছে না। আবার আপিল বিভাগ বাচ্চাদের স্কুলে যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করতে বলেছেন। কিন্তু বাচ্চাদেরকে স্কুলে যেতে দেয়া হচ্ছে না। এসব কর্মকান্ডের মাধ্যমে আপিল বিভাগের আদেশকে লংঘন করা হচ্ছে। বিষয়গুলো আমরা আগামী ২৩ জানুয়ারি আপিল বিভাগের কাছে তুলে ধরবো।
এর আগে গত ৩ জানুয়ারি আপিল বিভাগ জাপান থেকে আসা দুই শিশু ২৩ জানুয়ারি পর্যন্ত তাদের মা জাপানের নাগরিক এরিকো নাকানোর সঙ্গে থাকবে এবং শিশুদের বাবা বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ইমরান শরীফ শিশুদের সঙ্গে দেখা করতে পারবেন বলে আদেশ দেন। বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত বাবা ইমরান শরীফ এই সময়ে স্বাধীনভাবে সকাল ৯টা থেকে রাত ৯টার মধ্যে যেকোনো সময় শিশুদের সঙ্গে দেখা করতে পারবেন। আদালত ২৩ জানুয়ারি পর্যন্ত শুনানি মুলতবি করে এই সময়ের মধ্যে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল করতে বলেন আপিল বিভাগ।
আরও পড়ুন: জাপানি মায়ের রিট: ২ মেয়েসহ বাবা ও ফুপুকে ৩১ আগস্ট হাজিরের নির্দেশ
জানা যায়, ২০০৮ সালের ১১ জুলাই এরিকো ও ইমরানের বিয়ে হয়, তাঁদের তিন মেয়ে সন্তান রয়েছে। গত বছরের ১৮ জানুয়ারি এরিকোর সঙ্গে বিয়ে বিচ্ছেদের আবেদন করেন ইমরান। এরপর ২১ ফেব্রুয়ারি দুই মেয়েকে নিয়ে বাংলাদেশে চলে আসেন তিনি। পরে ছোট মেয়েকে তার নানির কাছে রেখে গত ১৮ জুলাই বাংলাদেশে আসেন এরিকো। ইমরানের কাছ থেকে ১০ ও ১১ বছর বয়সী দুই মেয়ে শিশুকে ফিরে পেতে ঢাকায় এসে ১৯ আগস্ট রিট করেন তিনি। পরে ছোট মেয়েকে ফিরে পেতে আরেকটি রিট করেন ইমরান।
এ রিটের ওপর গত ২১ নভেম্বর বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ রায় দেন। রায়ে আদালত বলেন, এ রিটটি চলমান থাকবে। দুই মেয়ে পাঁচ নম্বর বিবাদীর (ইমরান শরীফ) হেফাজতে থাকবে। মা দেখা সাক্ষাৎ এবং একান্তে সময় কাটানোর সুযোগ পাবেন। যেহেতু মা জাপানি নাগরিক এবং সেখানে বসবাস ও কর্মরত সে কারণে তিনি তার সুবিধা মতো সময়ে বাংলাদেশে এসে শিশু সন্তানদের সঙ্গে প্রতিবার কমপক্ষে ১০ দিন সময় কাটাতে পারবেন। এ ক্ষেত্রে বছরে তিনবার বাংলাদেশে যাওয়া আসাসহ ১০ দিন অবস্থানের যাবতীয় খরচ পাঁচ নম্বর বিবাদীকে বহন করতে হবে। এর বাইরে যাওয়া আসার খরচ দরখাস্তকারী (মা) বহন করবেন। ছুটির দিনে মাসে অন্তত দুইবার শিশুদের সঙ্গে ভিডিও কলে মাকে কথা বলিয়ে দেবেন। গত কয়েকমাসে বাংলাদেশে অবস্থান ও যাতাযাত খরচ বাবদ আগামী সাত দিনের পাঁচ নম্বর বিবাদী দরখাস্তকারীকে ১০ লাখ টাকা দেবেন। রিটটির চূড়ান্ত নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত আদেশ প্রতিপালিত না হলে বা অন্য কোনো আদেশের জন্য আদালতে পক্ষগুলো আসতে পারবে। সংশ্লিষ্ট সমাজসেবা কর্মকর্তা শিশুদের দেখভাল অব্যাহত রাখবেন। তাকে প্রতি তিন মাস পর পর শিশুদের বিষয়ে হাইকোর্টের রেজিস্ট্রারের কাছে প্রতিবেদন দিতে হবে। তবে জাপানে থাকা ছোট মেয়ে হেনাকে হাইকোর্টে হাজির করানোর নির্দেশনা চেয়ে বাবা ইমরান শরীফের করা রিট খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট।
আরও পড়ুন: জাপানি ২ শিশুকে ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে রাখার নির্দেশ
পরে ডা. এরিকো নাকানোর দুই শিশু বাবার জিম্মায় থাকবেন বলে দেয়া হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করেন। এর ধারাবাহিকতায় আপিল বিভাগে শুনানি চলছে।
২ বছর আগে
চাঁদপুরে হাসপাতালে ভর্তির সময় কিশোরীকে যৌন হয়রানির অভিযোগ!
চাঁদপুরের মতলব উপজেলায় চিকিৎসা নিতে আসা ১৪ বছর বয়সী এক স্কুলছাত্রী রোগীকে যৌন হয়রানির শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। মতলব উত্তর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গত ২৭ আগষ্ট সন্ধ্যায় এ ঘটনায় ঘটে বলে জানা যায়।
ওই হাসপাতালে কর্মরত ক্লিনার আকাশ নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে ওই কিশোরী। পরে ওই ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয় এবং এলাকাবাসী ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে।
হয়রানির শিকার উপজেলার বদরপুর মোল্লাকান্দি গ্রামের ওই রোগী গত ২৭ আগস্ট অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল। ওইদিন সন্ধ্যায় তাকে ট্রলিতে করে নিয়ে যাওয়ার সময় তার শ্লীলতাহানি করা হয় বলে অভিযোগ।
রবিবার সকালে ওই স্কুলছাত্রী শ্লীলতাহানির বিচার চেয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দেয়। পরে আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা ডা. মোনাস তাকে বাড়িতে চলে যাওয়ার পরামর্শ দিলে তিনি ছাড়পত্র নিয়ে চলে যান।
আরও পড়ুন: কিশোরীকে যৌন কাজে বাধ্য করা নারী কাউন্সিলর রিমান্ডে
এদিকে ঘটনার পর থেকে ক্লিনার আকাশকে হাসপাতালে পাওয়া যাচ্ছে না । তার ব্যবহরিত মুঠোফোনও বন্ধ পাওয়া গেছে।
ওই ভুক্তভোগী স্কুলছাত্রীর বড় বোন রত্না বেগম বলেন, ‘গত শুক্রবার সন্ধ্যায় আমার বোন হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে মতলব উত্তর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাই। সেখানে জরুরি বিভাগে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পর ডাক্তার তাকে ভর্তি করান। পরে আমার বোনকে ট্রলিতে করে দোতলায় ওয়ার্ডে নেওয়ার সময় সিড়িতে রেখে শ্রীলতাহানি করে। আমি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ দিয়েছি। এর সুষ্ঠু বিচার চাই।’
এ ব্যাপারে হাসপাতালের মেডিকেল কর্মকর্তা ডা. ইসমাইল হোসেনের সাথে কথা বলতে চাইলে তিনি কথা বলতে রাজি হননি। আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা ডা. মোনাস বলেন সাংবাদিকদের সাথে কথা বলার অনুমতি কর্তৃপক্ষ আমাদেরকে দেননি। আপনারা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার সাথে কথা বলুন।
আরও পড়ুন: বরিশালে রিমান্ডে নারী আসামিকে যৌন নির্যাতন: ওসি-পরিদর্শক প্রত্যাহার
এদিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. নুশরাত জাহান মিথেন এর সাথে কথা বলার জন্য তার অফিসে গেলে ওই সময় তাকে পাওয়া যায়নি। মুঠোফোনেও বহুবার কল দিলেও তিনি তা রিসিভ করেননি।
এ ব্যাপারে চাঁদপুর জেলা সিভিল সার্জন ডা. মোঃ সাখাওয়াত উল্লাহ বলেন, ‘আমি ঘটনাটি শুনেছি। অভিযোগ তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
৩ বছর আগে
বিএসএফের হয়রানি: বেনাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
বিএসএফ কর্তৃক ভারতীয় ট্রাক চালকদের হয়রানির প্রতিবাদে সোমবার (১৬ আগস্ট) সকাল থেকে বেনাপোল-পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে় আমদানি-রপ্তানি বন্ধ করে দিয়েছে ব্যবসায়ীরা। পণ্য আমদানি বন্ধ থাকায় পেট্রাপোল বন্দরে কয়েক হাজার পণ্যবোঝাই ট্রাক আটকা পড়েছে। ফলে সৃষ্টি হয়ে়ছে ভয়াবহ যানজট।
বেনাপোল বন্দরের উপপরিচালক মামুন তরফদার জানান, ভারতের ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, ভারতীয় ট্রাক চালকররা যখন পণ্য নিয়ে পেট্রাপোল বন্দরের দিকে আসে তখন ভারতের জয়ন্তিপুর বিএসএফ ক্যাম্পর সদস্যরা তাদেরকে নানাভাবে হয়রানি করে থাকে।
বিএসএফের এ ধরনের হয়রানি বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত তারা বেনাপোল বন্দর দিয়ে পন্য রপ্তানি করবে না বলে জানিয়েছেন।
বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারত থেকে প্রতিদিন ৪০০ থেকে ৫০০ পণ্যবাহী ট্রাক প্রবেশ করে। যার অধিকাংশই শিল্প কল কারখানাসহ শতভাগ রপ্তানিমুখী গার্মেন্টস শিল্পের কাঁচামাল।
বেনাপোল কাস্টম হাউসের উপকমিশনার মোস্তাফিজুর রহমান জানান, সকাল থেকে বেনাপোল-পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ রয়েছে। ভারতে সমস্যার সমাধান হলে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য সচল হবে।
আরও পড়ুন: ভারতের উপহার `লাইফসাপোর্ট অ্যাম্বুলেন্স’ বেনাপোল বন্দরে
বেনাপোল দিয়ে ২০০ মেট্রিক টন অক্সিজেন দেশে পৌঁছেছে
৩ বছর আগে