তিনি বলেন, ‘আদর্শ ছাড়া কোনো লক্ষ্য পূরণ হয় না। তাদের কোনো আদর্শ নেই। ড. কামাল হোসেনের লক্ষ্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সে জন্য তিনি আদর্শ ছেড়ে বিএনপির সাথে জোট বেঁধেছেন। ড. কামালের কী সামর্থ আছে তা আমাদের জানা আছে। তিনি কোনোদিন এমপি নির্বাচিত হতে পারেননি। বঙ্গবন্ধুর ছেড়ে দেয়া আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছিলেন।’
শুক্রবার রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় কোরিয়া বাংলাদেশ চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি আয়োজিত দুই দিনব্যাপী বাণিজ্য মেলা ‘শোকেস কোরিয়া-২০১৮’ উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ২১ আগস্ট শেখ হাসিনার ওপর গ্রেনেড হামলায় তারেক রহমানসহ বিএনপির অনেক নেতা জড়িত ছিলেন, আজ তা প্রমাণিত। বিএনপি একটি সন্ত্রাসী দল হিসেবে প্রমাণিত।’
‘যতই কূটনীতিকদের সাথে বৈঠক করুক না কেন, নির্বাচন হবে দেশের সংবিধান মোতাবেক। বর্তমান সরকারের অধীনে সংবিধান মোতাবেক নির্বাচন কমিশন নির্বাচন পরিচালনা করবে। আমরা বিশ্বাস করি নির্বাচন নিরপেক্ষ, অংশগ্রহণমূলক ও গ্রহণযোগ্য হবে। এতে দেশের সব রাজনৈতিক দল অংশগ্রহণ করবে,’ যোগ করেন তিনি।
বাংলাদেশ-কোরিয়া বাণিজ্য নিয়ে মন্ত্রী জানান, কোরিয়া থেকে বাংলাদেশ অনেক যন্ত্রপাতি আমদানি করে। সে কারণে আমাদের আমদানি বেশি। গত ২০১৬-১৭ অর্থবছর বাংলাদেশ কোরিয়ায় রপ্তানি করেছে ২৩৮ দশমিক ২৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য, একই সময়ে আমদানি করেছে ১ হাজার ২৬৮ দশমিক ২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য।
বাংলাদেশে বিশ্বমানের ওষুধ উৎপাদন করছে জানিয়ে তিনি বলেন, কোরিয়া কম মূল্যে বাংলাদেশ থেকে বিশ্বমানের ওষুধ আমদানি করতে পারে। বাংলাদেশ এখন ১২৯টি দেশে ওষুধ রপ্তানি করছে।
কোরিয়া বাংলাদেশকে অনেকগুলো পণ্য রপ্তানিতে বাণিজ্য সুবিধা দিলেও বাংলাদেশ থেকে সেসব পণ্য রপ্তানি সন্তোষজনক নয় বলে জানান মন্ত্রী।
উল্লেখ্য, শোকেস কোরিয়া প্রদর্শনীতে কোরিয়ার ২০টি এবং বাংলাদেশের ১৩টি কোম্পানির ১০০টি স্টল রয়েছে। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত দর্শনার্থীদের জন্য মেলা খোলা থাকবে। আগামী বছর এ মেলা কোরিয়ায় অনুষ্ঠিত হবে।