তিনি বলেছেন, ‘তানভীর মুহাম্মদ ত্বকী হত্যাকাণ্ড কে বা কারা সংগঠিত করেছে তা সারা বাংলাদেশের কারোর অজানা নয়। কার অদৃশ্য শক্তির ইঙ্গিতে এই হত্যাকাণ্ডের বিচার হচ্ছে না তা আমাদের সকলের জানার অধিকার আছে। পাশাপাশি চঞ্চল, আশিকসহ অন্যান্য হত্যাকাণ্ডের আমরা বিচার চাই। এই সবগুলো হত্যাকাণ্ড সংগঠিত হয়েছে ওসমান পরিবারের মাধ্যমে।’
বুধবার বিকালে দেওভোগে শেখ রাসেল নগর পার্কে তানভীর মুহাম্মদ ত্বকী হত্যাকাণ্ডের ষষ্ঠ বার্ষিকী স্মরণে আয়োজিত শিশু সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আইভী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে অনেক চাঞ্চল্যকর হত্যাকাণ্ডের বিচার হলো, কয়েকটা বিচার ছাড়া। সাগর-রুনির ব্যাপার আমরা অনেকেই জানি, অনেক কিছু জড়িত। তনু হত্যার বিচার কেন হচ্ছে না তাও মানুষ বুঝতে পারে। কিন্তু ত্বকী হত্যাকাণ্ডের সাথে কারা জড়িত? ত্বকী হত্যাকাণ্ডের সাথে সেই পরিবার জড়িত যাদের বাংলাদেশের কেউ ছুতে পারবে না, ধরতে পারবে না।’
সিটি মেয়র বলেন, ‘নারায়ণগঞ্জ বাংলাদেশের আরেকটা ভূখণ্ড মনে হয় আমার। এখানে নির্বিচারে হত্যা, অত্যাচার, অবিচার করা হবে কিন্তু বলার কেউ নেই। আশিক হত্যার বিচার হলে, চঞ্চল হত্যা হতো না; চঞ্চল হত্যার বিচার হলে মিঠু হত্যা হতো না; মিঠু হত্যার বিচার হলে হয়তো ব্যবসায়ী ভুলু হত্যা হতো না। আর শেষ পর্যন্ত আমাদের ছোট সন্তানকে হারাতো হলো, কেন? নারায়ণগঞ্জবাসীকে স্তব্দ করার জন্য, ভয় দেখানোর জন্য।’
তিনি আরও বলেন, ‘যখন পুরো শহর অন্যায়ের বিরুদ্ধে সোচ্চার তখন ছোট একটা শিশুকে হত্যা করে তাদের পিতা-মাতাসহ সবাইকে জুজুর ভয় দেখিয়ে চুপ করার চেষ্টা করা হলো।’
ত্বকী হত্যার বিচারের দাবিতে প্রধানমন্ত্রীর প্রতি অনুরোধ জানিয়ে মেয়র বলেন, ‘খুনি যত বড় প্রভাবশালীই হোক না কেন তাদের বিচারের আওতায় আনা হোক।’
তিনি আরও বলেন, ‘ত্বকী হত্যার বিচার না পেলে আমরা এ দাবি জানিয়ে যাবো। তদ্রুপভাবে ওই ঘাতক, খুনি পরিবারকে আমরা প্রত্যাখ্যান করে যাবো।’
সন্ত্রাস নির্মূল ত্বকী মঞ্চের আহ্বায়ক ও নিহত ত্বকীর পিতা রফিউর রাব্বির সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন- বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ সৈয়দ আনোয়ার হোসেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অধ্যাপক শওকত আরা হোসেন, বাংলাদেশ টেলিভিশনের পরিচালক জাহিদ মোস্তফা, চিত্রশিল্পী অশোক কর্মকার, সন্ত্রাস নির্মূল ত্বকী মঞ্চের সদস্য সচিব কবি হালিম আজাদ।