ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) সর্বদলীয় পরামর্শ সভার আয়োজন করে বাম গণতান্ত্রিক জোট (এলডিএ)।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ বাদে অন্যান্য রাজনৈতিক দলের নেতারা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এ সভায় অংশ নেন।
সভায় গণফোরামের সভাপতি ড. কামাল হোসেন, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, সিপিবি সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, বিএসডি নেতা খালেকুজ্জামান, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির নেতা সাইফুল হক ও কল্যাণ পার্টির প্রধান সৈয়দ মুহাম্মাদ ইব্রাহিম প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
উদ্বোধনী বক্তব্যে এলডিএ সমন্বয়কারী বজলুর রশিদ ফিরোজ বলেন, সরকারের উচিত করোনাভাইরাসকে জাতীয় বিপর্যয় হিসেবে ঘোষণা দেয়া।
তিনি বলেন, ‘প্রথম থেকেই আমরা সব দল, পেশাদার, বিশেষজ্ঞ, শিক্ষার্থী এবং অন্যান্য সামাজিক সংগঠনের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টায় দুর্যোগ মোকাবিলার জন্য উদ্যোগ নেয়ার কথা বলে আসছি।’
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. কামাল হোসেন বলেন, করোনভাইরাস একটি জাতীয় সংকট এবং একে ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টায় মোকাবিলা করা উচিত। একতরফা চেষ্টায় এ সমস্যা মোকাবিলা সম্ভব নয়। ঐক্যবদ্ধ জোটের মাধ্যমে পুরো জাতিকে এতে যুক্ত হতে হবে।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘বিএনপি করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের পর থেকেই তা প্রতিরোধে কাজ করে যাচ্ছে। আমরা এর মোকাবিলায় নিয়ে থাকা দুর্বলতা এবং সমস্যাগুলো তুলে ধরার চেষ্টা করছি, কিন্তু সরকার তাতে গুরুত্ব দিচ্ছে না।’
করোনাভাইরাস পরিস্থিতি সামাল দিতে একটি জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটি গঠনের পরামর্শ দেন জেএসডি সভাপতি আবদুর রব। তিনি বলেন, ‘সরকারের উচিত করোনাভাইরাসকে জাতীয় দুর্যোগ হিসাবে ঘোষণা করা এবং এর মোকাবিলায় সমগ্র জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করা।’
মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেন, ‘করোনার সংকট মোকাবিলার সরকারকে সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণের আহ্বান জানাচ্ছি। পাকিস্তানিদের হাত থেকে মুক্তি পেতে আমরা একাত্তরে যেমন ঐক্যবদ্ধ ছিলাম তেমনি করোনাভাইরাসের সংকট থেকে মুক্তি পেতে আমাদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।’