তিনি বলেন, ‘আমরা এ ধারা অব্যাহত রেখে সামনের দিনগুলোতে আরও বেশি কাজ করে যাব, সর্বদা দেশের মানুষের পাশে থাকব।’
সিলেট শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবি) জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগে (জিইবি) স্থাপিত কোভিড-১৯ শনাক্তকরণ পিসিআর গবেষণাগারে দুই ছাত্রলীগ নেতার সর্বাত্মক কাজ করার প্রসঙ্গে তিনি ফোনে এ কথা বলেন।
শাবির গবেষণাগারে কাজ করছেন শাখা ছাত্রলীগের দুই নেতা। তারা হলেন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও জিইবি বিভাগের ২০১৯-২০ সেশনের (মাস্টার্স) শিক্ষার্থী হাফিজ আল আসাদ এবং সহ-সম্পাদক ও একই বিভাগের ২০১৩-১৪ সেশনের শিক্ষার্থী মো. মোশারফ হোসেন।
জয় বলেন, ‘করোনা শনাক্তকরণ পরীক্ষার ক্ষেত্রে অনেকেই ভয়ে এগিয়ে আসতে চান না। সেখানে আমাদের শাবির দুই ছাত্রলীগ নেতার ল্যাবে কাজ করাটা সাহসিকতার ও প্রশংসার দাবি রাখে। তারা দেশ মাতৃকার টানে নিজের পরিবার পরিজন রেখে এ দুর্যোগের সময়ে মানুষের সেবার জন্য কাজ করছেন। দুর্যোগের এ সময়ে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে আমার অনেক ছাত্রলীগের ভাইয়েরা নিজ নিজ উদ্যোগে এগিয়ে এসেছেন। ছাত্রলীগ সবসময় মানুষের পাশে থেকে কাজ করে যায়।’
‘বাংলাদেশ ছাত্রলীগ একটি ঐক্যবদ্ধ পরিবার। সাবেক এবং বর্তমানদের নিয়ে যে একটা মিলনমেলা তা আমাদের ছাত্রলীগেই আছে। ছাত্রলীগের সাবেক এবং বর্তমান সবাই সমন্বয় করে একত্রে মাঠে থাকে। মহামারি শুরু হওয়ার প্রথম থেকেই বাংলাদেশ ছাত্রলীগ করোনা মোকাবিলায় বিভিন্ন সচেতনতামূলক কার্যক্রমের পদক্ষেপ নেয়। দেশের ক্রান্তিলগ্নে নেতা-কর্মীরা বিনা পারিশ্রমিকে দিন-রাত কাজ করে যাচ্ছেন। শেখ হাসিনার নির্দেশনা ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে বাস্তবায়নের জন্য বাংলাদেশ ছাত্রলীগ সব ধরনের কাজ করতে প্রস্তুত,’ যোগ করেন তিনি।
করোনা শনাক্তকরণে নিজেদের কাজ করা প্রসঙ্গে হাফিজ আল আসাদ বলেন, ‘দেশের এ সংকটে অর্জিত মেধাকে কাজে লাগাতে পেরে আমি নিজেকে গর্বিত মনে করছি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ করোনা মোকাবিলায় যে অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন, আমরাও যদি যে যার অবস্থান ও সামর্থ্য অনুযায়ী মানুষের পাশে দাঁড়াই ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলি তাহলে আশা করি খুব শিগগিরই এ সংকট কাটিয়ে উঠতে পারবে।’
করোনা সংকট যত দিন থাকবে তত দিন নিজেট সর্বোচ্চটুকু দিয়ে দেশ ও মানুষের জন্য কাজ করে যাওয়ার অঙ্গীকার করে তিনি মহৎ এ কাজে অংশগ্রহণ করার সুযোগ দেয়ার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও বিভাগীয় প্রধানের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।